সহজ সমীকরণই ছিল রংপুরের। চার ম্যাচের একটা জিতলেই শেষ ষোল নিশ্চিত হবে নুরুল হাসানের দলের। সেই কাজটাই তিন ম্যাচ হাতে রেখেই করলো রংপুর। ঢাকা ডমিনেটর্সকে হারিয়ে শেষ চার নিশ্চিত করেছে রংপুর রাইডার্স। আগে ব্যাট করে ১৩০ রানে গুটিয়ে যায় ঢাকা। জবাবে  ৩ বল হাতে রেখে ২ উইকেটের জয় নিশ্চিত করে রংপুর।

১৩১ রানের লক্ষ্যে নেমে ৯ রানেই দুই ওপেনারকে হারায় রংপুর। এরপর রনি তালুকদার ও সোহানের ৯২ রানের জুটি রংপুরকে জয়ের কাছাকাছি নেয়। রনি ৩৪ ও সোহান ৬১ রানে বিদায় নেন। একসময় হারের শঙ্কা জেকে বসে রংপুরে। শামীম হোসেন ১০ বলে ৮ করে ম্যাচ রংপুরের দিকে ফেরান। 

দলীয় ১২৪ রানে ঢাকার অধিনায়ক নাসিরের বলে শামীম ও রাকিবুল হাসান প্যাভিলিয়নে ফিরলে জমে ওঠে ম্যাচ। শেষ ওভারে জয়ের জন্য রংপুরের দরকার ছিল ৫ রান। মুক্তার আলি করা শেষ ওভারে প্রথম দুই বলে তিন রানের পর শেষ বলে চার মেরে জয় নিশ্চিত করেন হারিস রউফ।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারেই রান আউট হয়ে ফেরেন মোহাম্মদ মিঠুন(৫)। পরের ওভারে আজমতউল্লাহর বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন অধিনায়ক নাসির হোসেন(২)। আরেক ওপেনার সৌম্য সরকারও পারেননি চাপের মুখে হাল ধরতে। ১২ বলে ৩ রান করে আজমতউল্লাহর দ্বিতীয় শিকারে ফেরেন তিনি।

এরপর আব্দুল্লাহ আল মামুন ও অ্যালেক্স ব্লেক ধাক্কা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু তারাও খুব বেশিদূর যেতে পারেননি। ১৮ রান করে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন ব্লেক। সর্বোচ্চ ২৯ রান এসেছে আরিফুল হকের ব্যাট থেকে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৩ রান করেছেন মামুন। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৯৪ রান সংগ্রহ করে ঢাকা। রংপুরের হয়ে বল হাতে আজমতউল্লাহ  নেন ৩টি উইকেট। এছাড়া হারিস, মাহমুদ, মাহেদী ও নাওয়াজ নিয়েছেন একটি করে উইকেট।

ঢাকা ডমিনেটর্স: নাসির হোসেন (অধিনায়ক), মুক্তার আলী, মোহাম্মদ মিঠুন, সৌম্য সরকার, মোহাম্মদ আরিফুল হক, অ্যালেক্স ব্লেক, আরাফাত সানি, মোহর শেখ, শরিফুল ইসলাম, আমির হামজা, আবদুল্লাহ আল মামুন।

রংপুর রাইডার্স: নুরুল হাসান সোহান (অধিনায়ক), নাঈম শেখ, রনি তালুকদার, শেখ মেহেদী, শামীম পাটওয়ারি, রাকিবুল হাসান, হাসান মাহমুদ, শোয়েব মালিক, মোহাম্মদ নওয়াজ, হারিস রউফ, আজমতউল্লাহ ওমরজাই।