- খেলা
- বাংলাদেশের উন্মাদনা ছুঁয়ে যায় মেসির হৃদয়
বাংলাদেশের উন্মাদনা ছুঁয়ে যায় মেসির হৃদয়
-samakal-63ddf9e9b9b3e.jpg)
আরব বিশ্বের বিশ্বকাপের ঢেউটা এবার দারুণভাবে ছড়িয়ে পড়ে দক্ষিণ এশিয়ায়। বিশেষ করে বাংলাদেশে এর রেশ ছিল আসরজুড়েই। দুই দর্শকনন্দিত দেশ ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনাকে নিয়ে নিয়মিতই মাতোয়ারা ছিলেন এখানকার ফুটবলপ্রেমীরা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বদৌলতে এসব দৃশ্য ও ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে নেট দুনিয়ায়। যা নিয়ে খোদ আর্জেন্টিনার নীতিনির্ধারকরাও রোমাঞ্চিত ছিলেন। শুধু তাই নয়, কিছু উন্মাদনা বিশ্বকাপজয়ী লিওনেল মেসিরও হৃদয় ছুঁয়ে যায়। আর্জেন্টিনার গণমাধ্যম দিয়ারিও ওলে'কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তেমন ইঙ্গিতই দিয়েছেন লিও, যার উল্লেখযোগ্য অংশ সমকাল পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো-
প্রশ্ন: প্রথম ম্যাচে সৌদির কাছে হারার পরও কীভাবে সব কিছু এমন দুর্দান্ত হলো?
মেসি: দেখুন আমাদের আত্মবিশ্বাসের কোনো ঘাটতি ছিল না, আমরা দুটি ট্রফি জিতে কাতারে পা রাখি। এর পর যখন সৌদির কাছে হেরে যাই, আমরা মোটেও হতাশ হইনি। কারণ আমাদের এগিয়ে যাওয়ার বিশ্বাসটা ছিল। জানতাম প্রতিপক্ষ যে-ই হোক স্বাভাবিক লড়াইটা চালিয়ে গেলে নিশ্চয়ই যে কাউকে হারানো যাবে। তবে বিশ্বকাপটা মোটেও সহজ নয়, যেখানে পদে পদে পরীক্ষায় পড়তে হয়। এটা ঠিক সৌদির কাছে হারটা আমাদের জন্য শুভ কিছু এনে দিয়েছিল।
প্রশ্ন: আপনি কি এখনও রোমাঞ্চিত? এমনকি বাংলাদেশে যা হয়েছিল, সেসব নিয়ে...
মেসি: এটা এমন একটা একক অর্জন, যার স্মৃতি থেকেই যায়। সবাইকে যেভাবে খুশি হতে দেখলাম, যেভাবে তাঁদের উচ্ছ্বাস করতে দেখলাম, তা সত্যিই অন্যরকম। পুরো একটি মাস আর্জেন্টিনা উপভোগ করছে। অনেক বেশি আনন্দে কাটিয়েছে সবাই। আর হ্যাঁ, হ্যাঁ আমি দেখেছি (বাংলাদেশের মানুষের উন্মাদনা)। জার্সিটা সবখানে ছড়িয়ে পড়েছিল। এক সাংবাদিক আমাকে ফাইনালের আগে বলেছিল এবং দেখিয়েছিল কীভাবে সবাই আর্জেন্টিনার ১০ নম্বর জার্সি নিয়ে মেতেছিল। এটা সত্যি সুন্দর একটা দৃশ্য।
প্রশ্ন: ফাইনালে আর্জেন্টিনা ৮০ মিনিট পর্যন্ত ভালো খেলেছিল। এর পর যা হলে...
মেসি: আমি সেটা (ফাইনালে প্রথম ৮০ মিনিট ভালো খেলা) মনে করতে চাচ্ছি না। আমার মনে হয় ওই ম্যাচেও আমরা ভালো করেছি। ওটা প্রথম ম্যাচ নয় যে আমরা সেভাবে খেলে যাব। ফাইনাল ছিল, সেই সঙ্গে আবার প্রতিপক্ষ ফ্রান্স, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। তবে ফলটা আমাকে অবাক করেনি। কেননা আমরা এটার প্রাপ্য ছিলাম। আর দিবুর (এমিলিয়ানো মার্টিনেজ) সেভগুলো, লাওতারোর শট। আমি এখনও সেই ভিডিও এবং সেই মুহূর্তগুলো দেখে চমকে উঠি।
প্রশ্ন: যখন ট্রফিতে চুমু আঁকলেন, সেই মুহূর্তটা কেমন লেগেছে?
মেসি: আসলে সেই অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। আমি এটাকে (ট্রফি) দেখলাম। খুব কাছে ছিল, আমি গিয়ে হাতে নিলাম এর পর চুমু দিলাম... ওই সময়টা বলে বোঝানো যাবে না। অনেক দিন তো এর অপেক্ষায় ছিলাম, আগের বিশ্বকাপগুলোতে; বিশেষ করে ২০১৪ সালে অনেক কাছে থেকেও আমি পারিনি হাতে নিতে। এর পর অনেক কিছু হলো, অনেক কঠিন সময় পার করেছি, অনেক ত্যাগ, অনেক হার- শেষ পর্যন্ত চমৎকার এই সময়টার দেখা।
প্রশ্ন: মেক্সিকোর বিপক্ষে হাফটাইমের সময়টা কেমন ছিল। আপনারা কি নতুন কোনো পরিকল্পনা করেছিলেন?
মেসি: সেটা খুবই কঠিন একটা সময় ছিল। আমরা নিজেরা এ নিয়ে আলাপ করেছিলাম। তবে কঠিন হলেও আমাদের কীভাবে এই সংকট কাটিয়ে উঠতে হবে, সেই উপায় নিয়ে ভাবতে শুরু করি। আমরা ৩৫ ম্যাচে হারিনি এবং যদি ভাবি যে আমরা মেক্সিকোর থেকে ভালো দল, তাহলে অনেক কাজই সহজ মনে হবে। এসব আমি সবাইকে বলার চেষ্টা করি।
প্রশ্ন: আপনি কি মনে করেন সবাই চেয়েছিল আর্জেন্টিনা চ্যাম্পিয়ন হোক?
মেসি: হ্যাঁ আমার মনে হয়েছে সবাই চেয়েছে আমার হাতে ট্রফিটা উঠুক। তবে এর পেছনে কারণটা কী, সেটা বলতে পারব না। পরে ভেবে মনে হয়েছে যে মানুষ দেখেছে আমি যেটার জন্য লড়েছি, সেটা পেয়েছি শুধু বিশ্বকাপটাই বাকি ছিল। অনেকে আমাকে ভালোবাসে, যারা চেয়েছিল আমাকে চ্যাম্পিয়ন দেখতে। সব শেষে সৃষ্টিকর্তাকেও ধন্যবাদ।
প্রশ্ন: এবার তো অনেক রেকর্ড গড়লেন, যার মধ্যে একটা ইতিহাসও রয়েছে...
মেসি: জানি না কীভাবে কী হলো! এসব খুবই মনোমুগ্ধকর। ব্যক্তিগতভাবে পুরো বিশ্বকাপ দুর্দান্ত কেটেছে আমার। প্রায়ই মিক্সড জোনে দাঁড়িয়ে বলতাম আমি এবার খুব বেশি উপভোগ করছি, অন্যবারের চেয়ে এটা আমার কাছে আলাদা লাগত।
প্রশ্ন: ৩৫ বছরে বিশ্বকাপ জিতলেন। যদি ২০২৬ বিশ্বকাপে সুযোগ পান, খেলবেন?
মেসি: আমি মনে করি এর চেয়ে ভালোভাবে শেষ আমি করতে পারতাম না। জানি না সামনে কী অপেক্ষা করছে। আমি সবসময় বলে আসছি বয়সের কারণে এটা (২৬ বিশ্বকাপ খেলা) নিয়ে ভাবা কিংবা তাদেরও (জাতীয় দল) আমাকে নিয়ে চিন্তা করা কঠিন হবে। আমি ফুটবল খেলতে ভালোবাসি, আর যতক্ষণ নিজেকে ফিট মনে হবে কিংবা ভালো অনুভব করব, এটা চালিয়ে যাব। পরের বিশ্বকাপ এখনও অনেক দূরে। সামনের সময়টা কেমন যাবে, তার ওপর অনেক কিছুই নির্ভর করছে।
প্রশ্ন: এমবাপ্পের সঙ্গে নাকি আপনার সম্পর্কটা ভালো যাচ্ছে না! কী বলবেন...
মেসি: মানুষ যেটা ভাবে, আসলে তার উল্টো। তার সঙ্গে আমার কোনো সমস্যা নেই। বিশ্বকাপের ফাইনাল নিয়ে আমরা কথা বলেছি। এমবাপ্পে আমার কাছে জানতে চেয়েছিল শিরোপা জয়ের পর আমাদের ওখানে কেমন উৎসব হয়েছিল। এর বাইরে কোনো কথা হয়নি। আমাদের মধ্যে সম্পর্কটা চমৎকার।
প্রশ্ন: প্রথম ম্যাচে সৌদির কাছে হারার পরও কীভাবে সব কিছু এমন দুর্দান্ত হলো?
মেসি: দেখুন আমাদের আত্মবিশ্বাসের কোনো ঘাটতি ছিল না, আমরা দুটি ট্রফি জিতে কাতারে পা রাখি। এর পর যখন সৌদির কাছে হেরে যাই, আমরা মোটেও হতাশ হইনি। কারণ আমাদের এগিয়ে যাওয়ার বিশ্বাসটা ছিল। জানতাম প্রতিপক্ষ যে-ই হোক স্বাভাবিক লড়াইটা চালিয়ে গেলে নিশ্চয়ই যে কাউকে হারানো যাবে। তবে বিশ্বকাপটা মোটেও সহজ নয়, যেখানে পদে পদে পরীক্ষায় পড়তে হয়। এটা ঠিক সৌদির কাছে হারটা আমাদের জন্য শুভ কিছু এনে দিয়েছিল।
প্রশ্ন: আপনি কি এখনও রোমাঞ্চিত? এমনকি বাংলাদেশে যা হয়েছিল, সেসব নিয়ে...
মেসি: এটা এমন একটা একক অর্জন, যার স্মৃতি থেকেই যায়। সবাইকে যেভাবে খুশি হতে দেখলাম, যেভাবে তাঁদের উচ্ছ্বাস করতে দেখলাম, তা সত্যিই অন্যরকম। পুরো একটি মাস আর্জেন্টিনা উপভোগ করছে। অনেক বেশি আনন্দে কাটিয়েছে সবাই। আর হ্যাঁ, হ্যাঁ আমি দেখেছি (বাংলাদেশের মানুষের উন্মাদনা)। জার্সিটা সবখানে ছড়িয়ে পড়েছিল। এক সাংবাদিক আমাকে ফাইনালের আগে বলেছিল এবং দেখিয়েছিল কীভাবে সবাই আর্জেন্টিনার ১০ নম্বর জার্সি নিয়ে মেতেছিল। এটা সত্যি সুন্দর একটা দৃশ্য।
প্রশ্ন: ফাইনালে আর্জেন্টিনা ৮০ মিনিট পর্যন্ত ভালো খেলেছিল। এর পর যা হলে...
মেসি: আমি সেটা (ফাইনালে প্রথম ৮০ মিনিট ভালো খেলা) মনে করতে চাচ্ছি না। আমার মনে হয় ওই ম্যাচেও আমরা ভালো করেছি। ওটা প্রথম ম্যাচ নয় যে আমরা সেভাবে খেলে যাব। ফাইনাল ছিল, সেই সঙ্গে আবার প্রতিপক্ষ ফ্রান্স, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। তবে ফলটা আমাকে অবাক করেনি। কেননা আমরা এটার প্রাপ্য ছিলাম। আর দিবুর (এমিলিয়ানো মার্টিনেজ) সেভগুলো, লাওতারোর শট। আমি এখনও সেই ভিডিও এবং সেই মুহূর্তগুলো দেখে চমকে উঠি।
প্রশ্ন: যখন ট্রফিতে চুমু আঁকলেন, সেই মুহূর্তটা কেমন লেগেছে?
মেসি: আসলে সেই অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। আমি এটাকে (ট্রফি) দেখলাম। খুব কাছে ছিল, আমি গিয়ে হাতে নিলাম এর পর চুমু দিলাম... ওই সময়টা বলে বোঝানো যাবে না। অনেক দিন তো এর অপেক্ষায় ছিলাম, আগের বিশ্বকাপগুলোতে; বিশেষ করে ২০১৪ সালে অনেক কাছে থেকেও আমি পারিনি হাতে নিতে। এর পর অনেক কিছু হলো, অনেক কঠিন সময় পার করেছি, অনেক ত্যাগ, অনেক হার- শেষ পর্যন্ত চমৎকার এই সময়টার দেখা।
প্রশ্ন: মেক্সিকোর বিপক্ষে হাফটাইমের সময়টা কেমন ছিল। আপনারা কি নতুন কোনো পরিকল্পনা করেছিলেন?
মেসি: সেটা খুবই কঠিন একটা সময় ছিল। আমরা নিজেরা এ নিয়ে আলাপ করেছিলাম। তবে কঠিন হলেও আমাদের কীভাবে এই সংকট কাটিয়ে উঠতে হবে, সেই উপায় নিয়ে ভাবতে শুরু করি। আমরা ৩৫ ম্যাচে হারিনি এবং যদি ভাবি যে আমরা মেক্সিকোর থেকে ভালো দল, তাহলে অনেক কাজই সহজ মনে হবে। এসব আমি সবাইকে বলার চেষ্টা করি।
প্রশ্ন: আপনি কি মনে করেন সবাই চেয়েছিল আর্জেন্টিনা চ্যাম্পিয়ন হোক?
মেসি: হ্যাঁ আমার মনে হয়েছে সবাই চেয়েছে আমার হাতে ট্রফিটা উঠুক। তবে এর পেছনে কারণটা কী, সেটা বলতে পারব না। পরে ভেবে মনে হয়েছে যে মানুষ দেখেছে আমি যেটার জন্য লড়েছি, সেটা পেয়েছি শুধু বিশ্বকাপটাই বাকি ছিল। অনেকে আমাকে ভালোবাসে, যারা চেয়েছিল আমাকে চ্যাম্পিয়ন দেখতে। সব শেষে সৃষ্টিকর্তাকেও ধন্যবাদ।
প্রশ্ন: এবার তো অনেক রেকর্ড গড়লেন, যার মধ্যে একটা ইতিহাসও রয়েছে...
মেসি: জানি না কীভাবে কী হলো! এসব খুবই মনোমুগ্ধকর। ব্যক্তিগতভাবে পুরো বিশ্বকাপ দুর্দান্ত কেটেছে আমার। প্রায়ই মিক্সড জোনে দাঁড়িয়ে বলতাম আমি এবার খুব বেশি উপভোগ করছি, অন্যবারের চেয়ে এটা আমার কাছে আলাদা লাগত।
প্রশ্ন: ৩৫ বছরে বিশ্বকাপ জিতলেন। যদি ২০২৬ বিশ্বকাপে সুযোগ পান, খেলবেন?
মেসি: আমি মনে করি এর চেয়ে ভালোভাবে শেষ আমি করতে পারতাম না। জানি না সামনে কী অপেক্ষা করছে। আমি সবসময় বলে আসছি বয়সের কারণে এটা (২৬ বিশ্বকাপ খেলা) নিয়ে ভাবা কিংবা তাদেরও (জাতীয় দল) আমাকে নিয়ে চিন্তা করা কঠিন হবে। আমি ফুটবল খেলতে ভালোবাসি, আর যতক্ষণ নিজেকে ফিট মনে হবে কিংবা ভালো অনুভব করব, এটা চালিয়ে যাব। পরের বিশ্বকাপ এখনও অনেক দূরে। সামনের সময়টা কেমন যাবে, তার ওপর অনেক কিছুই নির্ভর করছে।
প্রশ্ন: এমবাপ্পের সঙ্গে নাকি আপনার সম্পর্কটা ভালো যাচ্ছে না! কী বলবেন...
মেসি: মানুষ যেটা ভাবে, আসলে তার উল্টো। তার সঙ্গে আমার কোনো সমস্যা নেই। বিশ্বকাপের ফাইনাল নিয়ে আমরা কথা বলেছি। এমবাপ্পে আমার কাছে জানতে চেয়েছিল শিরোপা জয়ের পর আমাদের ওখানে কেমন উৎসব হয়েছিল। এর বাইরে কোনো কথা হয়নি। আমাদের মধ্যে সম্পর্কটা চমৎকার।
মন্তব্য করুন