- খেলা
- কমলাপুরের টার্ফ নিয়ে ভুটান নেপালের ক্ষোভ
কমলাপুরের টার্ফ নিয়ে ভুটান নেপালের ক্ষোভ
পাঁচ ফুটবলার হাসপাতালে

কমলাপুর স্টেডিয়ামে রোববার নেপালের কাছে ৪-০ গোলে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নেন ভুটানের মেয়েরা - সংগৃহীত
ম্যাচ শেষে হারের প্রসঙ্গ উঠতেই ভুটান কোচ কারমা দেমার কণ্ঠে ক্ষোভ। কমলাপুরের মানহীন টার্ফ নিয়ে একের পর এক মন্তব্য করে যাচ্ছিলেন তিনি। অনূর্ধ্ব-২০ নারী সাফে ভারতের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে পা ভেঙে যায় দলটির এক নম্বর গোলরক্ষক নরবু জাংমোর। স্ট্রেচারে করে মাঠ ছাড়তে হয়েছিল গঙ্গা গালি ও সোনম গাকি পেলজনকে।
রোববার নেপালের বিপক্ষে চন্দ্র মায়া পাওডেল চোটে পড়লে তাঁকেও স্ট্রেচারে করে মাঠ ছাড়তে হয়েছে। মেয়েদের বয়সভিত্তিক সাফ খেলতে আসা ভুটান দলের চার ফুটবলারকে যেতে হয়েছে হাসপাতালে। তাঁদের টুর্নামেন্টও শেষ হয়ে গিয়েছে। বাজে টার্ফে খেলে শুধু ভুটানেরই নয়, নেপালেরও কুসুম কাতিওয়াকে যেতে হয়েছে হাসপাতালে। ভুটান কোচের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নেপাল কোচ ইয়াম প্রসাদ গুরুংও সমালোচনা করেছেন এই টার্ফের।
বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে সংস্কারকাজ চলছে। ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় মেয়েদের খেলতে হচ্ছে কমলাপুর স্টেডিয়ামের টার্ফেই। গত মৌসুমে এই টার্ফে খেলা দেওয়ায় ফেডারেশন কাপ খেলেনি বসুন্ধরা কিংস। এরপর প্রিমিয়ার লিগে দলের অন্যতম ডিফেন্ডার তপু বর্মণ চোটে পড়ে অনেক দিন মাঠের বাইরে ছিলেন। কিংসের ব্রাজিলিয়ান জোনাথন ফার্নান্দেজ তো কমলাপুরে খেলে যে চোটে পড়েছিলেন, শেষ পর্যন্ত দেশে ফিরে যেতে হয়েছিল তাঁকে।
ফুটবলারদের ইনজুরির শঙ্কায় ছেলেদের ঘরোয়া ফুটবলের এবারের মৌসুমে এই কমলাপুরে কোনো খেলা রাখেনি পেশাদার লিগ কমিটি। কিন্তু মেয়েদের খেলার ভেন্যুই হলো কমলাপুর স্টেডিয়াম। ঝুঁকিপূর্ণ টার্ফ জানা সত্ত্বেও কমলাপুরে বয়সভিত্তিক নারী সাফ দেওয়ায় সমালোচিত হতে হয়েছিল বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকে। যদিও ফেডারেশনের কর্তারা তা কর্ণপাত করেননি। আর টার্ফ প্রসঙ্গ উঠলেই বিষয়টি বারবার এড়িয়ে গিয়েছেন তাঁরা।
এবার তো চার দলের টুর্নামেন্টের দুই দেশ নেপাল ও ভুটান টাফ নিয়ে নিজেদের অসন্তোষ জানিয়েছেন। গতকাল নেপালের কাছে ৪-০ গোলে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিলেও ভুটান কোচ কারমার চিন্তা চার ফুটবলারকে নিয়ে, 'আমার প্রথম পছন্দের গোলরক্ষক, দুই সেন্টারব্যাক চোটে পড়েছে। আজ (রোববার) একজন ডিফেন্ডার চোটে পড়ল। আমাদের টার্ফের সঙ্গে তুলনা দিলে এখানকার টার্ফ খুবই বাজে। এ ধরনের মাঠে আমরা এই প্রথম খেলছি। আমার মেয়েদের প্রায় সবারই চোটটা লেগেছে পায়ে। আমার দলের একজনের তো পা-ই ভেঙে গেছে! এখানকার টার্ফ খুবই বাজে।'
বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে নেপালি ফুটবলার কুসুম চোটে পড়েছিলেন। তাঁর টুর্নামেন্টই শেষ হয়ে গিয়েছে। এ নিয়ে হতাশ নেপাল কোচ প্রসাদ, 'এই টার্ফে আমাদের খেলোয়াড়রা নিজেদের সেরাটা দিতে পারেনি। আমি আগেও বলেছি, বল আর টার্ফ নিয়ে সমস্যা হচ্ছে। নেপাল আর এখানকার টার্ফ পুরোপুরি আলাদা। এখানকার টার্ফটা অনেক শক্ত। এখানে খেললে হ্যামস্ট্রিং চোট, মাসল ক্র্যাম্প, হাঁটুর চোট হওয়ার আশঙ্কা বেশি।'
মন্তব্য করুন