ফলোঅন করানোই বিপদ হলো ইংল্যান্ডের। প্রথম ইনিংসে ফলোঅনে পড়ে নিউজিল্যান্ড। ২২৬ রানে পিছিয়ে দ্বিতীয় ইংনিসে ব্যাট করতে নামে ব্ল্যাকক্যাপসরা। কেন উইলিয়ামসন ও টম ব্লান্ডেলের ব্যাটিংয়ে রানের পাহাড়ে ওঠে স্বাগতিকরা। জয়ের জন্য ইংল্যান্ডের লক্ষ্য দাঁড়ায় ২৫৯ রান।

শেষমেশ ইংল্যান্ড ওয়েলিংটনে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্ট হেরেছে মাত্র ১ রানে। এমন রুদ্ধশ্বাস টেস্ট জয়ের নজির ওয়েস্ট ইন্ডিজ ছাড়া আর কোনও দলের ছিল না। ১৯৯৩ সালে অ্যাডিলেডে অস্ট্রেলিয়াকে ১ রানের ব্যবধানে হারিয়েছিল ক্যারিবিয়ানরা।

শেষ দিনে ব্যাট করতে নামে আগের দিন ২৩ রানে ক্রিজে থাকা বেন ডাকেন ও ১ রানে থাকা অলিয়ে রবিনসন। তবে দিনের শুরুতেই রবিনসনকে ফেরান সাউদি। ডাকেটও ফেরেন দ্রুতই। তখনই মিলছিল জয়ের আভাস। তবে প্রতিরোধ গড়েন জো রুট। স্টোকসকে নিয়ে লড়াই জমিয়ে তোলেন।

স্টোকস ৩৩ রানে ফেরার পরপরই ফিরে যান সেঞ্চুরির পথে থাকা রুট (৯৫ রান)। এরপর লড়াইটা চালিয়ে যান বেন ফোকস। তবে সঙ্গ পাননি কারও। অবশেষে তিনিও ফেরেন ৩৫ রানে। এরপর খুব বেশি পথ বাকিও ছিল না।

শেষ উইকেটে ইংল্যান্ডের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৭ রান। ১১ নম্বরে নামা জেমস অ্যান্ডারসন বাউন্ডারি হাঁকিয়ে সমীকরণ আরও সহজ করেন। ২ রান দূরে থাকতে কিউই পেসার নেইল ওয়েগনারের লেগ স্টাম্পের বাইরের বল ফ্লিক করতে গিয়ে উইকেটকিপার টম ব্লান্ডেলের হাতে ধরা পড়েন তিনি।

নিউজিল্যান্ডের ওয়াগনার শেষ ইনিংসে ৪ উইকেট নেন। ৩ উইকেট দখল করেন টিম সাউদি। ২ উইকেট নেন ম্যাট হেনরি। ম্যাচের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জেতেন কেন উইলিয়ামসন। ২ টেস্টে সাকুল্যে ৩২৯ রান ও ১ট উইকেট সংগ্রহ করে সিরিজের সেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হন হ্যারি ব্রুক।