অন্যদের চেয়ে দলীয় অনুশীলন কিছুটা কম করেন সাকিব আল হাসান। ইংল্যান্ড সিরিজের আগে যেমন দু’দিন অনুশীলন করেছেন তিনি। ওই অনুশীলনও ছিল ব্যাটিং কেন্দ্রীক। বোলিং অনুশীলন কিছুটা কমই করেন তিনি।

তিন ম্যাচের শেষ ওয়ানডের আগেও চট্টগ্রামে একদিন পরে গেছেন সাকিব। তবে রোববার সকালে চট্টগ্রামে গিয়েই অনুশীলন শুরু করে দেন টাইগার অলরাউন্ডার। এদিন বোলিং নিয়েও বেশি অনুশীলন করেছেন তিনি। ওই অনুশীলনও চট্টগ্রামের উইকেট বুঝে। 

মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে উইকেট ধীর ও নিচু থাকে। সেখানে বোলিংয়ের ধরন এক। চট্টগ্রামের উইকেট ভিন্ন আচরণ করবে বলেই মনে হচ্ছে। বাংলাদেশের স্পিন বোলিং কোচ রঙ্গনা হেরাথ এবং ইংল্যান্ডের পেসার মার্ক উড জানিয়েছেন, মিরপুরের চেয়ে চট্টগ্রামের উইকেট কিছুটা শক্ত। 

সেজন্য সাকিব বেশ কিছুক্ষণ ধরে জোরের ওপর বোলিং করার অনুশীলন করেছেন। ওই জোরের ওপর বোলিং কার্যকর হচ্ছে কিনা, জোরে যাচ্ছে কিনা তা বোঝার জন্য সিনিয়র ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিমের মতামতও নিয়েছেন বাঁ-হাতি স্পিন অলরাউন্ডার। 

সাকিবের বোলিং অনুশীলন। ছবি: এএফপি

নেটে মুশফিকুর রহিমকে পাঠিয়ে বেশ কিছু বল করার পর সাকিব তাকে প্রশ্ন করেছেন, ‘আমার বোলিংয়ের পেস কিছুটা বেড়েছে?’ শুধু জোরের ওপর বোলিং নয় নানান ভেরিয়েশন নিয়ে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের নেটে কাজ করেছেন সাকিব। 

কারণটা অনুমান করা যায়, সর্বশেষ বাংলাদেশ চট্টগ্রামে ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছে ভারতের বিপক্ষে। ওই ম্যাচে ৪০৯ রান করেছিল প্রতিবেশিরা। ইশান কিশান ডাবল সেঞ্চুরি করেছিলেন। বিরাট কোহলি খেলেছিলেন শত রানের ইনিংস। রঙ্গনা হেরাথ সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ওই ম্যাচের অপেক্ষা এবারের উইকেট ভিন্ন। তবে স্পিনারদের জন্য যে সুবিধা কম সেটাও বলেছেন তিনি। 

উইকেটে স্পিনারদের জন্য সুবিধা কম থাকায় ভেরিয়েশন কাজে লাগাতে হবে তা সাকিবকে শিখিয়ে দেওয়ার দরকার পড়ে না। দরকারী অনুশীলনে ফাঁকি দেন না তিনি। নিজে যেমন বোলিং করেছেন, তেমনি স্পিন বোলিং নিয়ে সতীর্থ তাইজুলের সঙ্গে বুদ্ধি-পরামর্শও করেছেন। যদিও শেষ ওয়ানডে ম্যাচে তাইজুলের একাদশে থাকার সম্ভাবনা কম। তার জায়গায় বাড়ানো হতে পারে একজন পেসার।