গত মৌসুমে শেষ ম্যাচ পর্যন্ত লিগ শিরোপার লড়াই করেছে লিভারপুল। এবার তারা বহু কষ্টে সেরা চারের লড়াইয়ে ফিরেছে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে গত মৌসুমে ফাইনাল খেলেছে রেডসরা। এবার তারা শেষ ষোলোর প্রথম লেগে রিয়ালের বিপক্ষে ৫-২ গোলে হেরেছে। 

সব মিলিয়ে চলতি মৌসুমে যেন মৃত এক দল লিভারপুল। কিন্তু বিষাক্ত সাপ মরলেও কাঁটায় নাকি বিষ থাকে। লিগ ম্যাচে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে সেটাই যেন বোঝাল জার্গেন ক্লপের দল। অ্যানফিল্ডে রোববার রাতের ম্যাচে এরিক টেন হাগের ম্যানইউ'কে বিধ্বস্ত করলো ৭-০ গোলের বিশাল ব্যবধানে।

লিভারপুলকে ম্যাচের প্রথমার্ধে প্রায় আটকেই রেখেছিল ম্যানইউ। ৪৩ মিনিটে গোল মুখ খোলেন শীতকালীন দলবদলের মৌসুমে রেডস শিবিরে যোগ দেওয়া ডাচ তরুণ কোডি গাকপো। দ্বিতীয়ার্ধে ওই গোল শোধ করার চেষ্টাই কাল হয়েছে রেড ডেভিলসদের। ৪৭ মিনিটে লিভারপুলের আরেক তরুণ ডারউইন নুনিয়েজ লিড ২-০ করেন। গোলের ওই ধারা আর থামেনি। 

লিভারপুলের গোল উদযাপন। ছবি: টুইটার

লিভারপুল ৫০ মিনিটে ৩-০ গোলের লিড নেয়। এবারও গোল করেন ২৩ বছর বয়সী গাকপো। তাকে দিয়ে গোল করানোর পর ৬৬ মিনিটে গোল পান মোহামেদ সালাহ। মিশরীয় তারকার গোলে টেন হ্যাগের দল ৪-০ গোলে পিছিয়ে পড়ে। নুনিয়েজ ৭৫ মিনিটে নিজের ডাবল ও দলের পক্ষে পঞ্চম গোল করেন। 

গাকপো, নুনিয়েজের ডাবলের পর জোড়া গোলের দেখা পান সালাহও। ৭৯ মিনিটে বদলি নামা রর্বাতো ফিরমিনো ৮৩ মিনিটে বাঁ-পায়ের এই ফরোয়ার্ডকে দিয়ে গোল করান। সালাহও বন্ধুর ঋণ শোধ করেন। ৮৮ মিনিটে সালাহ গোল করান মৌসুম শেষে ফ্রি এজেন্টে অ্যানফিল্ড ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার ফিরমিনোকে।

একের পর এক গোল খেয়ে হতাশ ডি গিয়া। ছবি: টুইটার

বিশাল এই হারে ম্যানইউ বাজে রেকর্ড গড়েছে। লিভারপুলের হয়েছে কীর্তি। লিগ ইতিহাসে যৌথভাবে এটি ম্যানইউ'র সবচেয়ে বড় হার। ওই ব্যবধানে ১৯২৬ সালে তারা ব্লাকবার্ন রোভার্স, ১৯৩০ সালে অ্যাস্টন ভিলা এবং ১৯৩১ সালে উলভসের বিপক্ষে হেরেছিল। এবার হারল লিভারপুলের বিপক্ষে। 

ম্যানইউ কোচ এরিস টেন হ্যাগের প্রায় ৪৮১ ম্যাচের কোচিং ক্যারিয়ারে এটি সবচেয়ে বড় হার। অন্যদিকে ম্যানইউ-এর বিপক্ষে লিভারপুলের এটি সবচেয়ে বড় জয়। ১৯৯৫ মৌসুমে ডেভিলসদের বিপক্ষে রেডসরা ৭-১ গোলের জয় পেয়েছিল। এছাড়া প্রিমিয়ার লিগের চতুর্থ জুটি হিসেবে একই ম্যাচে সালাহ, গাকপো এবং নুনিয়েজ জোড়া গোল পেয়েছেন। ১৯৯৯ সালের পর যে কীর্তি এই প্রথম।