চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর দ্বিতীয় লেগে ম্যানচেস্টার সিটির মাঠ ইতিহাদ স্টেডিয়ামে বিধ্বস্ত হয়েছে জার্মান ক্লাব আরবি লাইপজিগ। প্রথম লেগে ঘরের মাঠে তারা ১-১ গোলে সমতা করেছিল। দ্বিতীয় লিগে বড় কিছুর স্বপ্ন নিয়ে ম্যানচেস্টারে এসেছিল তারা। সেখানে পুরনো শত্রু আর্লিং হ্যালন্ডের আগুনে পুড়ে ৭-০ গোলে হেরেছে লাইপগিজ।

ম্যাচের ২২ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে প্রথম লিড এনে দেন নরওয়েজিয়ান স্ট্রাইকার হ্যালন্ড। এরপর প্রথমার্ধে দলকে ৩-০ গোলে এগিয়ে নেন তিনি। নিজের হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন। ম্যাচের ২৪ মিনিটে দ্বিতীয় এবং প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে গোল করেন জার্মান ক্লাব বরুশিয়া ডর্টমুন্ড থেকে চলতি মৌসুমে ম্যানসিটি আসা হ্যালন্ড। 

এরপর দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ইলকে গুন্ডোগান গোল করেন। ম্যাচের ৫৩ ও ৫৭ মিনিটে আবার গোল করেন হ্যালন্ড। ৬৩ মিনিটে তাকে বদলি করে তুলে নেওয়া না হলে হয়তো চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে প্রথম ফুটবলার হিসেবে ডাবল হ্যাটট্রিকে পেয়ে যেতেন বাঁ-পায়ের এই ফুটবলার। ম্যাচের শেষ বাঁশির আগে কেভিন ডি ব্রুইনি গোল করে ম্যানসিটিকে ৭-০ গোলে জিতিয়েছেন। 

দলের দুর্দান্ত জয়ে পাঁচ গোল করে বেশ কিছু রেকর্ড গড়েছেন হ্যালন্ড। ২০১৪ সালে শাখতার দোনেস্কের লুইস আদ্রিয়ানো ও ২০১২ সালে বার্সার লিওনেল মেসির পরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের এক ম্যাচে পাঁচ গোল করার কীর্তি গড়েছেন হ্যালন্ড। দীর্ঘদেহি এই স্ট্রাইকার সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ম্যানসিটির হয়ে এক মৌসুমেই পাঁচটি হ্যাটট্রিক করে ফেলেছেন। যে কীর্তি ইউরোপের টপ ফাইভ লিগে কোন ফুটবলার আগে করতে পারেননি। 

এছাড়া চ্যাম্পিয়ন্স লিগে হ্যালন্ড ভেঙেছেন লিওনেল মেসি, ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, কিলিয়ান এমবাপ্পেদের রেকর্ড। ২৫ ম্যাচে ৩০ গোল করেছেন তিনি। এতো কম ম্যাচে ৩০ গোল আগে কেউ করতে পারেননি। এছাড়া সব চেয়ে কম বয়সে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ৩০ গোলের কীর্তি ছুঁয়েছেন হ্যালন্ড। এছাড়া চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে যৌথভাবে সব চেয়ে বড় জয়ের রেকর্ড হয়েছে সিটিজেনদের।