বাংলাদেশি এক কিশোরীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে কলকাতা সংলগ্ন মহেশতলা থানা এলাকায়। এ ঘটনায় আটক করা হয়েছে অভিযুক্ত দুই ভারতীয় যুবককে।  

জানা গেছে, ১৫ বছর বয়সী ওই কিশোরীর বাড়ি বরিশালের দশমিনা থানার দক্ষিণ দাসপাড়ায়। পরিবারের আর্থিক পরিস্থিতি বদলের আশায় বাংলাদেশে পরিচয় হওয়া এক ভারতীয় নারীর দেওয়া চাকরির প্রলোভনে সে কলকাতায় পাড়ি জমায়। ভারতে একটি শাড়ি তৈরির কারখানায় কাজ দেওয়ার কথা বলে তাকে আনা হয়েছিল। তবে কলকাতা আসার পরে তাকে ড্যান্স বারে কাজের অফার দেন ওই নারী। পরে কিশোরী পালিয়ে তার পরিবারের পরিচিত কলকাতার এক বাসিন্দাকে ফোন করে। ওই ব্যক্তির পরামর্শে শিয়ালদহ স্টেশনে আমিন আলি নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করে। আমিন আলী তাকে বাটানগরের ফ্ল্যাটে নিয়ে যায়। কিশোরীর অভিযোগ, সেখানে আটকে রেখে যৌন নির্যাতন চালায় আমিন আলি এবং তার দুই বন্ধু শেখ বাপি ও মোহাম্মদ ইমরান। 

রোববার বন্ধ ফ্ল্যাটে চিৎকার করতে থাকলে বিপরীত দিকের আবাসনের বাসিন্দা ও নিরাপত্তারক্ষীরা স্থানীয় থানায় ফোন করেন। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে। এরপর অভিযুক্ত বাপি ও ইমরানকে আটক করে। তবে আমিন আলি পালিয়ে গেছেন।

সোমবার আদালতে তোলা হলে আটকদের আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশি হেফাজতে পাঠানো হয়। এদিকে, ওই কিশোরীকে ডাক্তারি পরীক্ষার পরে সরকারি একটি হোমে পাঠানো হয়েছে।