ফিফা র‍্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ১৯২ আর সিশেলসের ১৯৯। দুটি আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ ফুটবল সিরিজের প্রথম ম্যাচে আগামীকাল আফ্রিকান এই দেশটির মুখোমুখি হবে স্বাগতিক বাংলাদেশ। এদিন সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু বিকেল পৌনে চারটায়।

এই সিরিজকে সামনে রেখে ছয়টি সেশনের প্রস্তুতি নিয়েছে সিশেলস, অন্যদিকে বাংলাদেশের প্রস্তুতি প্রায় ১৭ দিনের। এর মধ্যে ঘরের মাটিতেই খেলবে বাংলাদেশ। সবকিছু স্বাগতিকদের অনুকূলে থাকলেও বাংলাদেশ কোচ আছেন মহা চিন্তায়। প্রতিপক্ষকে দুর্বল ভেবে পরে আফসোসের আগুনে পুড়তে চান না তিনি। 

সংবাদ সম্মেলনে কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরার কথায় বোঝা গেল কতটা সতর্ক তারা, 'অবশ্যই, আমাদের লক্ষ্য দুই ম্যাচই জেতা। এটা সহজ চ্যালেঞ্জ হবে না। আমরা আরও ধারাবাহিকতা আনতে চাই। যেটা গত বছর ছিল না। সৌদিতে আমরা যেভাবে অনুশীলন করেছি, সেটার প্রতিফলন এখানে ঘটাতে চাই। এই দুই ম্যাচ নিয়ে আমাদের আরও সিরিয়াস হওয়া উচিত। বাংলাদেশের সবাইকে দেখাতে চাই, আমরা এই বছরটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছি। আমাদের দুটি ম্যাচই জেতা দরকার, জিততে চাই। আমাদের মূল লক্ষ্য স্বাগতিক দর্শকদের সামনে ভালো খেলা। তাদের গর্বিত করা। এর পর সাফ, বিশ্বকাপ বাছাই আছে। সমর্থকদের সমর্থন চাই আমরা।'

ক্যাবরেরা বলেন, 'সিশেলসকে খাটো করে দেখা যাবে না। তারা ৭০ ধাপ উপরের দল কমোরোসকেও হারিয়ে দিয়েছে। তাই সিশেলস ছোট দল এটা বিশ্বাস করা যাবে না। এই ভুল করা যাবে না। তারা শারীরিকভাবে শক্তিশালী দল। আক্রমণভাগে বেশ কয়েকজন আছে, যারা পার্থক্য গড়ে দিতে পারে। তবে আমরা নিজেদেরকেই নিয়েই ভাবছি।'

২০২৩ সালে এই প্রথম খেলতে নামছে দুই দলই। গত বছরের পরিসংখ্যানের পাতায় সিশেলসের জন্য সুখের কোনো স্মৃতি নেই। ফিফা র‍্যাঙ্কিংয়ে ১৯৯তম স্থানে থাকা দলটি হেরেছিল ৯ ম্যাচের ছয়টিতে, বাকি তিনটি ড্র। বাংলাদেশের প্রাপ্তিও অম্ল-মধুর। আট ম্যাচের মধ্যে জয় কেবল কম্বোডিয়ার বিপক্ষে। দুটিতে ড্র, বাকি ছয়টিতে হার।

দ্বিপাক্ষিক সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচটি একই মাঠে গড়াবে ২৮ মার্চ।