আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টি-২০ ম্যাচে ৭৭ রানে জিতেছে বাংলাদেশ। বৃষ্টির কারণে ১৭ ওভারে নেমে আসা ম্যাচে ৩ উইকেট হারিয়ে ২০২ রান তোলে বাংলাদেশ। জবাবে ১২৫ রানে আটকে গেছে আয়ারল্যান্ড। 

এর আগে বৃষ্টিবিঘ্নিত সিরিজের প্রথম ম্যাচে ১৯.২ ওভারে ২০৭ রান করেছিল বাংলাদেশ। বৃষ্টি আইনে জয় পেয়েছিল ২২ রানে। দ্বিতীয় ম্যাচের বড় এই জয়ে সিরিজ নিশ্চিতের পাশাপাশি অনেকগুলো রেকর্ড গড়েছে বাংলাদেশ। 

লিটন দাস ও রনি তালুকদার ৯.২ ওভারে ১২৪ রানের জুটি গড়েন। ৭.১ ওভারে তারা দলীয় একশ’ রান পূর্ণ করেন। টি-২০ ক্রিকেটে ওটাই বাংলাদেশের দ্রুততম একশ’ রান করার রেকর্ড।

এছাড়া ১২৪ রানের জুটি ওপেনিংয়ে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ এবং যেকোন উইকেটে দ্বিতীয় সেরা। এর আগে ২০১২ সালে মিরপুরে তামিম ইকবাল ও মাহমুদউল্লাহ দ্বিতীয় উইকেটে ১৩২ রানের জুটি গড়েছিলেন। 

টি-২০ ক্রিকেটে বাংলাদেশের ২০২ রান চতুর্থ সর্বোচ্চ। এর আগে ২০১৮ সালে নিদাহাস ট্রফিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২১৫ রান করেছিল বাংলাদেশ। যেটা দলীয় সর্বোচ্চ। ওই বছরই মিরপুরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২১১ করেছিল টাইগাররা। গত সোমবার আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে করা ২০৭ রান বাংলাদেশের তৃতীয় সর্বোচ্চ টি-২০ রান। 

আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশ ৭৭ রানে জিতেছে। টি-২০ ফরম্যাটে নিজেদের দ্বিতীয় সেরা জয় এটি। ২০২১ বিশ্বকাপে পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে ৮৪ রানের জয় রানের হিসেবে বাংলাদেশে সেরা। এছাড়া আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ২০১২ সালে ৭১ রানের একটি জয় আছে বাংলাদেশের। গত বছর আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৬১ রানের জয় বাংলাদেশের চতুর্থ সেরা। 

সাকিব আইরিশদের বিপক্ষে ৪ ওভারে ২২ রান দিয়ে ৫ উইকেট নিয়েছেন। এটি টি-২০ ক্যারিয়ারে তার দ্বিতীয় ফাইফার এবং দ্বিতীয় সেরা বোলিং। ২০১৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২০ রানে ৫ উইকেট তার ক্যারিয়ার সেরা। 

ওই পাঁচ উইকেট নিয়ে সাকিব আন্তর্জাতিক টি-২০ ক্রিকেটে সর্বাধিক উইকেটের মালিক হয়েছেন। ১১৪ ম্যাচে তার উইকেট ১৩৬টি। টিম সাউদিকে হটিয়ে শীর্ষস্থান নিয়েছেন টাইগার অলরাউন্ডার। সাউদির উইকেট ১৩৪টি। তাদের পরে থাকা রশিদ খানের উইকেট ১২৯টি।