২০০৬ বিশ্বকাপের সেই ঢুঁশ বিতর্কের ১৭ বছর পেরিয়ে গেলেও কাটেনি রেশ। সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হলেই বিষয়টি টেনে আনেন সে দিনের নায়ক মার্কো মাতেরাজ্জি। যাঁর ফাঁদে পা দিয়ে সোনালি ট্রফিটা হারিয়েছিল ফ্রান্স। আর খলনায়ক বনে যান ফরাসিদের ইতিহাসের অন্যতম সেরা তারকা জিনেদিন জিদান।

তবে ঢুঁশ দিয়ে জিজু ফ্রান্সের মানুষের সে দিন মন খারাপের কারণ হলেও পরে ঠিকই আপন হয়ে যান। তাঁকে কিছুতেই খাটো করে দেখতে পারেনি ফরাসিরা। তার উল্টোটা হয়েছিল মাতেরাজ্জির বেলায়। যে কৌশলে জিদানকে ঘোল খাওয়ান তিনি, দিন শেষে তাঁকেই শুনতে হয়েছে নানা কথা।

ইতালির ভক্তরাও তাঁকে কাঠগড়ায় তুলেছেন। যেটা এখনো মাতেরাজ্জিকে তাড়িয়ে বেড়ায়, ‘ম্যাচ শেষ হওয়ার পর সে আমাকে জার্সি দিতে চেয়েছিল। কিন্তু আমি বলে দেই আমি জার্সি নেব না, তোমার বোনকে আমি পছন্দ করি। আসলে সে কিছুতেই এটা মানতে পারেনি। তবে ওই দিনের পর আমার জীবনে অনেক কিছুই বদলে গেছে। অনেকে আমাকে ভিন্ন চোখে দেখেছে।’

 সেই দিনটি এখনও সবার চোখে ভাসছে। প্রথমার্ধে জিদানের পেনাল্টি গোলে এগিয়ে যায় ফ্রান্স। এরপর হেডে দলকে সমতায় ফেরান মাতেরাজ্জি। আর দ্বিতীয়ার্ধে জিদানকে আজেবাজে কথা বলে রাগিয়ে দেন মাতেরাজ্জি। আর সেসব কথা শুনে মেজাজ ধরে রাখতে পারেননি জিজু। ঢুঁশ মেরে বসেন মাতেরাজ্জিকে।

এরপর লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় তাঁকে। ফ্রান্স ১০ জনের দলে পরিণত হওয়ার পর ইতালি আরও আগ্রাসী হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত সময়ে স্কোরলাইন সমান হওয়ায় টাইব্রেকারে গড়ায় ম্যাচটি।