লখনৌ সুপার জায়ান্টস বনাম রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর ম্যাচ শেষে ফের বিবাদে জড়ালেন বিরাট কোহলি ও গৌতম গম্ভীর। মাঠের ধারে উত্তপ্ত বাদানুবাদ হলো দু'জনের মধ্যে। পরিস্থিতি সামলালেন দু'দলের বাকি ক্রিকেটার ও সাপোর্ট স্টাফরা। সতীর্থরা এগিয়ে না এলে কথা-কাটাকাটি হাতাহাতির পর্যায়ে চলে যেতেও পারত।

গম্ভীর-কোহলির এই বাদানুবাদ আইপিএল কর্তৃপক্ষ স্বাভাবিকভাবে নেয়নি। বার্তা সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, দ্বন্দ্বে জড়িয়ে আচরণবিধির দ্বিতীয় স্তরের ২.২১ ধারা লঙ্ঘন করেছেন ভারতের হয়ে বিশ্বকাপ জেতা দুই ক্রিকেটার। শাস্তি হিসেবে তাদের ম্যাচ ফির পুরোটাই কেটে (১০০% জরিমানা) নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া লখনৌর আফগান পেসার নবীন উল হককে ম্যাচ ফির ৫০ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে।

ঘটনার সূত্রপাত ম্যাচ শেষে দু'দলের ক্রিকেটারদের হাত মেলানোর সময়। ম্যাচ চলাকালীন লখনৌর একটা করে উইকেট পড়ার পরে নিজের স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে উল্লাস করছিলেন কোহলি। লখনৌর ডাগআউটের দিকে তাকিয়ে মুখে আঙুল দিয়ে চুপ করে থাকার ভঙ্গি দেখান। স্ত্রী আনুশকা শর্মার দিকে চুমুও ছুড়তে দেখা যায় তাকে। আফগানিস্তানের ক্রিকেটার নবীন উল হক আউট হওয়ার সময়ও উত্তেজিত হয়ে উল্লাস করেন কোহলি। টুপি খুলে মাটিতে ছুড়ে ফেলেন। সেটা হয়তো ভালোভাবে নেননি নবীন। তাই হাত মেলানোর সময় কোহলিকে কিছু একটা বলেন নবীন। তার পরেই সেখানে আসেন গম্ভীর। তিনি কোহলিকে কিছু একটা বলেন। তার পরেই বিবাদে জড়িয়ে পরেন দুজনে।

কোহলির সঙ্গে গম্ভীরের বিবাদ বেশ পুরোনো। এর আগে গম্ভীর যখন কলকাতা নাইট রাইডার্সের অধিনায়ক ছিলেন তখনও দু'জনের মধ্যে মাঠে বিবাদ হয়েছে। একে অপরের দিকে তেড়ে গিয়েছেন তারা। এমনকি ব্যাঙ্গালুরুরকে হারিয়ে ডাগআউটে চেয়ারে লাথিও মারতে দেখা গেছে গম্ভীরকে। এত বছর পরেও সেই বিবাদ কমেনি। দেখা হলেই চোখ রাঙানি লেগে রয়েছে দুই ক্রিকেটারের মধ্যে।