- খেলা
- আইপিএলে কোহলি-গম্ভীর বিবাদে কলকাতা পুলিশ!
আইপিএলে কোহলি-গম্ভীর বিবাদে কলকাতা পুলিশ!

আইপিএলের মাঝে আরও একবার বিবাদে জড়িয়েছেন বিরাট কোহলি ও গৌতম গম্ভীর। লখনৌ সুপার জায়ান্টসকে হারানোর পরে মাঠেই বাদানুবাদে জড়িয়েছেন দু'জনে। কোহলি-গম্ভীরের সেই বিবাদে নজর রয়েছে কলকাতা পুলিশেরও। জনসাধারণকে সতর্ক করার জন্য কোহলি-গম্ভীরকে ব্যবহার করে বিশেষ বার্তা দিয়েছে কলকাতা পুলিশ বিভাগ।
ঘটনার সূত্রপাত ম্যাচ শেষে দু'দলের ক্রিকেটারদের হাত মেলানোর সময়। ম্যাচ চলাকালীন লখনৌর একটা করে উইকেট পড়ার পরে নিজের স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে উল্লাস করছিলেন কোহলি। লখনৌর ডাগআউটের দিকে তাকিয়ে মুখে আঙুল দিয়ে চুপ করে থাকার ভঙ্গি দেখান। স্ত্রী আনুশকা শর্মার দিকে চুমুও ছুড়তে দেখা যায় তাকে। আফগানিস্তানের ক্রিকেটার নবীন উল হক আউট হওয়ার সময়ও উত্তেজিত হয়ে উল্লাস করেন কোহলি। টুপি খুলে মাটিতে ছুড়ে ফেলেন। সেটা হয়তো ভালোভাবে নেননি নবীন। তাই হাত মেলানোর সময় কোহলিকে কিছু একটা বলেন নবীন। তার পরেই সেখানে আসেন গম্ভীর। তিনি কোহলিকে কিছু একটা বলেন। তার পরেই বিবাদে জড়িয়ে পরেন দুজনে। পরিস্থিতি সামলালেন দু'দলের বাকি ক্রিকেটার ও সাপোর্ট স্টাফরা। সতীর্থরা এগিয়ে না এলে কথা-কাটাকাটি হাতাহাতির পর্যায়ে চলে যেতেও পারত।
গম্ভীর-কোহলির এই বাদানুবাদ আইপিএল কর্তৃপক্ষ স্বাভাবিকভাবে নেয়নি। বার্তা সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, দ্বন্দ্বে জড়িয়ে আচরণবিধির দ্বিতীয় স্তরের ২.২১ ধারা লঙ্ঘন করেছেন ভারতের হয়ে বিশ্বকাপ জেতা দুই ক্রিকেটার। শাস্তি হিসেবে তাদের ম্যাচ ফির পুরোটাই কেটে (১০০% জরিমানা) নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া লখনৌর আফগান পেসার নবীন উল হককে ম্যাচ ফির ৫০ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে।
মূলত, কলকাতা পুলিশ এই ঘটনাকে জনসচেতনতার প্রচারের কাজেই ব্যবহার করেছে। কলকাতা পুলিশের তরফে একটি মিম শেয়ার করা হয়েছে। যেখানে দেখা গিয়েছে, মানি হেইস্টের 'প্রফেসর', বিরাট কোহলি ও গৌতম গম্ভীরকে। প্রফেসরের কানে ইয়ারফোন দেওয়া একটি ছবি, যেন তিনি ফোনে কিছু জানতে চাইছেন। পাশে লেখা, 'আপনার ফোনে যে ওটিপি গিয়েছে, সেটি বলুন।' আর অন্য দিকে বিরাট ও গম্ভীরের মুখে আঙুল দিয়ে চুপ করানোর সেই বিতর্কিত ভঙ্গির ছবি। যাতে প্রতারকরা ওটিপি নম্বর চাইলে এভাবেই মুখে আঙুল দিয়ে চুপ থাকেন আমজনতা সেই বার্তাই দেওয়ার চেষ্টা পুলিশের।
কোহলির সঙ্গে গম্ভীরের বিবাদ বেশ পুরোনো। এর আগে গম্ভীর যখন কলকাতা নাইট রাইডার্সের অধিনায়ক ছিলেন তখনও দু'জনের মধ্যে মাঠে বিবাদ হয়েছে। একে অপরের দিকে তেড়ে গিয়েছেন তারা। এমনকি ব্যাঙ্গালুরুরকে হারিয়ে ডাগআউটে চেয়ারে লাথিও মারতে দেখা গেছে গম্ভীরকে। এত বছর পরেও সেই বিবাদ কমেনি। দেখা হলেই চোখ রাঙানি লেগে রয়েছে দুই ক্রিকেটারের মধ্যে।
উল্লেখ্য, ফেসবুকে কলকাতা পুলিশের এমন রসিকতা নতুন কিছু না। ২০২২ সালে বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টেও রসিকতা করেছিল ভারতীয় পুলিশের এই বিভাগ। সে সময় টাইগারদের তুলনামূলকভাবে খর্বাকার মুমিনুল হক ও কিউইদের দীর্ঘাকার কাইল জেমিসনের ছবি পোস্ট করে করোনা ভাইরাস নিয়ে সতর্ক করা হয়। কারণ, ভারতে তখন করোনার তৃতীয় ঢেউ চলছিল; রুপক অর্থে জেমিসনকে দিয়ে তা বোঝানো হয়েছিল, আর মুমিনুলকে দিয়ে বোঝানো হয়েছিল মাস্ক ব্যবহার অনীহা দেখানো মানুষদের।
এছাড়া ইডেন গার্ডেন্সে অনুষ্ঠিত ভারত-বাংলাদেশে প্রথম দিন-রাতের টেস্টকেও হাতিয়ার করে কলকাতা পুলিশ। ভারতীয় পেশার ইশান্ত শর্মার বাউন্সার বল বাংলাদেশী ব্যাটার মোহাম্মদ মিঠুনের হেলমেটে লাগার লাগার মুহূর্তের ছবিটি পোস্ট করে 'সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইভ'-এর প্রচারে ব্যবহার করে কলকাতা পুলিশ। ছবির ক্যাপশনে লেখা ছিল 'রাখে হেলমেট, মারে কে!'
মন্তব্য করুন