খুলনায় এক ব্যতিক্রমী মিলনমেলার আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের কৃষকরা জড়ো হয়েছেন। তারা অন্য কৃষকদের চেয়ে একটু আলাদা। তারা শুধু ধান চাষই করেন না, ধানের নতুন নতুন জাত উদ্ভাবন করেন।

আজ বুধবার খুলনা মৎস্য বীজ উৎপাদন খামার সম্মেলন কক্ষে ওই মিলনমেলায় কৃষকরা তাদের উদ্ভাবনের নানা পরিক্রমা তুলে ধরেন।

‘ধানের নতুন জাত উদ্ভাবনের গল্প’ অনুষ্ঠানে নেত্রকোনার ব্রিডার কৃষক নয়ন মিয়া চারটি ও সৈয়দ আহম্মেদ খান বাচ্চু চারটি, মানিকগঞ্জের মনোয়ার হোসাইন তিনটি, ময়মনসিংহের আব্দুল বারী দুটি, সাতক্ষীরার শেখ সিরাজুল ইসলাম একটি, দিলীপ তরফদার দুটি, রংপুরের আদিবাসী কৃষক মালতী মিনজি একটি এবং খুলনার আরুনি সরকার ১০টি জাত উদ্ভাবনের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন।

বেসরকারি উন্নয়ন সংগঠন লোকজ-এর আয়োজন এবং মিজরিও-জার্মানির সহযোগিতায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট সাংবাদিক-গবেষক, লোকজ-এর সভাপতি গৌরাঙ্গ নন্দী। স্বাগত বক্তৃতা করেন লোকজ-এর নির্বাহী পরিচালক দেবপ্রসাদ সরকার। তথ্য উপাত্ত উপস্থাপন করেন কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের সাবেক অধ্যক্ষ এস এম ফেরদৌস।

বক্তব্য দেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় এগ্রোটেকনোলজি ডিসিপ্লিনের অধ্যাপক মনিরুল ইসলাম রিপন, অধ্যাপক রায়হান আলী, অধ্যাপক রেজাউল ইসলাম, অধ্যাপক সাঈদা রেহেনা, ডিএই অতিরিক্ত পরিচালক খুলনাঞ্চল মোহন কুমার ঘোষ, ব্রি সাতক্ষীরার প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা তাহমিদ আনসারি, হারুন-অর রশিদ, জেলা বীজ প্রত্যায়ণ অফিসার নজরুল ইসলাম, বীনা’র উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা বাবুল আক্তার, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা আতিয়ার রহমান, বটিয়াঘাটা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে খুলনার শিক্ষাবিদ, কৃষি গবেষক, সরকারি কর্মকর্তা, বিভিন্ন উন্নয়ন সংগঠন ও সিভিল সমাজের প্রতিনিধি, সাংবাদিক, বিভিন্ন পর্যায়ের কৃষকরা উপস্থিত ছিলেন।