ঢাকা মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪

এশিয়াডে নেই, জানেন না জামাল

এশিয়াডে নেই, জানেন না জামাল

ক্রীড়া প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯ মে ২০২৩ | ১৮:০০ | আপডেট: ১০ মে ২০২৩ | ০৯:০০

এশিয়াডে পুরুষ ফুটবল দলকে পাঠাবে না বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন। এমন কথা শোনার পর ফোনের ওপাশে থাকা জামাল ভূঁইয়া যেন আকাশ থেকে পড়েছেন। বিওএর এ সিদ্ধান্ত তাঁর কাছে বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতোই মনে হয়েছে। কারণ, কয়েক দিন ধরে এটা নিয়ে যে আলোচনা চলছে, তা দৃষ্টিগোচর হয়নি বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়কের। 

মঙ্গলবার এ প্রতিবেদকের কাছে প্রথম শুনেছেন জামাল, ‘কী বলেন? আমি এই প্রথম  শুনেছি, এশিয়ান গেমসে পুরুষ ফুটবল দলকে পাঠাবে না। যদি সেটা সত্যি হয়, তা হবে দুঃখজনক। আমাদের সবার খুব কষ্ট লাগবে। সবাই জানে, সর্বশেষ এশিয়ান গেমসে আমরা কাতারকে হারিয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠে ইতিহাস গড়েছিলাম। তাহলে কেন পুরুষ ফুটবল দলকে বাদ দেওয়া হচ্ছে, তা আমার বোধগম্য নয়। আশা করি, এমনটা হবে না।’

সেপ্টেম্বরে চীনের হ্যাংঝুতে অনুষ্ঠিত হবে এশিয়ান গেমস। এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য ১৭টি ডিসিপ্লিনকে চূড়ান্ত করেছে অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন। ফুটবল থাকলেও সেখানে অংশ নেবে মেয়েরা। এর পেছনে বিওএর কর্তাদের যুক্তি, ছেলেদের চেয়ে মেয়েদের পারফরম্যান্স ভালো। তবে শনিবার অনুষ্ঠিত সভায় বাফুফের সহসভাপতি এবং ন্যাশনাল টিমস কমিটির চেয়ারম্যান কাজী নাবিল আহমেদও উপস্থিত ছিলেন। সেদিন তিনি এ ব্যাপারে কোনো কথাই নাকি বলেননি। পরে অবশ্য অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতির সঙ্গে ছেলেদের দলকেও পাঠানোর জন্য পুনর্বিবেচনা করতে বলেন নাবিল। 

এরই মধ্যে বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনকে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। বাফুফে আশাবাদী, পুরুষ ফুটবল দলকে না পাঠানোর বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করবে বিওএ। কয়েক দিনের মধ্যেই চূড়ান্ত হবে জামালরা এশিয়াডে যাচ্ছেন কিনা।

এশিয়ান গেমসে পুরুষ দলকে না পাঠানোর সিদ্ধান্তে জামালের মতো মন খারাপ অনেকেরই। অনূর্ধ্ব-২৩ বয়সী ফুটবলারদের বাইরে সিনিয়র তিনজন খেলতে পারবেন এশিয়াডে। তাই দলে থাকা বা না থাকা নিয়ে দোটানা থাকায় কয়েকজনই নাম প্রকাশ করতে চাননি। তবে তাঁদের একটাই কথা, ২০১৮ সালে ইন্দোনেশিয়ায় অনুষ্ঠিত গেমসে ইতিহাস গড়া দলকে যেন এবার বঞ্চিত না করা হয়।

এশিয়ান গেমসের আগে বাংলাদেশের বড় পরীক্ষা হলো সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ। ২১ জুন আট দল নিয়ে ভারতের বেঙ্গালুরুতে শুরু হচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলের সবচেয়ে বড় আসর। জামালও মনে করছেন এবার পথটা কঠিন, ‘সত্যি কথা বলতে, এর আগে আমরা দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে লড়াই করেছিলাম। এবার কুয়েত-লেবাননের অন্তর্ভুক্তি টুর্নামেন্টটি আকর্ষণীয় করেছে। তবে আমাদের জন্য অনেক কঠিন হয়ে গেল। বলতে পারেন খুব চ্যালেঞ্জ। তাই আমি আপনাকে বলতে পারব না যে ফাইনাল খেলব। আগে গ্রুপ পর্ব পার হতে হবে। তারপর সেমিফাইনাল, তখনই আপনি ফাইনালের চিন্তা করবেন।’

আরও পড়ুন

×