মনোহরদীতে প্রেমিকার টিকটক আইডির পাসওয়ার্ড জানতে চাওয়ায় শরিফ মিয়া নামে যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। শাকিল নামে এক কিশোরের বিরুদ্ধে এই খুনের অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। নিহত শরিফ মিয়া চালাকচর ইউনিয়নের বাঘবের গ্রামের মফিজ মিয়ার ছেলে।

নিহতের নানা ইসমত মিয়া জানান, মেয়েটির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল শাকিল ও নিহত শরিফের। গত ১৫ মে মনোহরদী উপজেলার চন্দনবাড়ি ইউনিয়নের চন্দনপুর গ্রামে প্রেমিকার টিকটক আইডির পাসওয়ার্ড নিয়ে তাদের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে শরিফকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে শাকিল। পরে শরিফকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গত বুধবার বিকেলে হাসপাতালেই শরিফের মৃত্যু হয়।

স্থানীয়রা জানায়, মাধুপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল শরিফের। শরিফ প্রবাসে চলে যাওয়ার পর চন্দনবাড়ি ইউনিয়নের চন্দনপুর গ্রামের আতিকুল ইসলামের ছেলে শাকিলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে মেয়েটি। তার টিকটিক আইডির পাসওয়ার্ড জানত শাকিল। প্রেমিকার টিকটক আইডিতে বিভিন্ন ধরনের আপত্তির ভিডিও আপলোড দিত সে। এই নিয়ে দেশে থাকা প্রেমিক শাকিল ও প্রবাসফেরত প্রেমিক শরিফের বিরোধ সৃষ্টি হয়। পরে শাকিলকে টিকটক আইডিতে আপত্তিকর ভিডিও ছাড়তে নিষেধ করে ও পাসওয়ার্ড চায় শরিফ। কিন্তু শাকিল তা দিতে রাজি হয়নি। এ কারণে ছুরি দিয়ে শরিফকে কুপিয়ে জখম করে।

অভিযুক্ত শাকিল মাধুপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে। ঘটনার পর থেকে পরীক্ষায় অনুপস্থিত সে। 

এ বিষয়ে শরিফের বাবা বলেন, ‘আমার ছেলেকে শাকিল ছুরি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে। আমি এর বিচার চাই।’

মনোহরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদ উদ্দিন বলেন, এ ঘটনায় আগেই মামলা হয়েছে। আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।