- খেলা
- বিরোধিতা আছে, দায়িত্ব নেওয়ার নেই কেউ
বিরোধিতা আছে, দায়িত্ব নেওয়ার নেই কেউ

ছবি: ফাইল
শেষ কবে ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (কোয়াব) বার্ষিক সাধারণ সভা হয়েছে বলতে পারেননি নাঈম ইসলামরা। নিজেদের সংগঠন হলেও স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ নেই কারোরই। বরং ২০১৯ সালের আন্দোলন থেকে কোয়াবের বর্তমান কমিটি বাতিল করার দাবি উঠেছিল।
করোনাকাল লিগ ও খেলার তাগিদ থেকে কোয়াবের সঙ্গে খেলোয়াড়দের সম্পৃক্ততা বাড়লেও সক্রিয় অংশগ্রহণ খুব একটা দেখা যায় না। এজন্য খেলোয়াড়দের দিকে আঙুল তোলার সুযোগও নেই। কারণ কোয়াব এখনও ঠিকানাবিহীন একটি প্রতিষ্ঠান। দেশের কোথাও কোনো কার্যালয় নেই এর। ক্রিকেটাররা চান কোয়াবকে ক্রিকেটার্স ক্লাবের মতো করে গড়ে তোলা হোক।
কোয়াবের বর্তমান সভাপতি নাঈমুর রহমান দুর্জয়ও চান ক্রিকেটারদের প্রত্যাশা পূরণ করতে। সে কারণে দেরিতে হলেও বার্ষিক সাধারণ সভা ও নির্বাচনের উদ্যোগ নিয়েছেন তাঁরা। কালই (শনিবার) মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে খেলোয়াড়রা ঠিক করবেন কোয়াবের ভবিষ্যৎ।
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের মতো বিসিবিও একটা সময় পর্যন্ত কোয়াবের স্বীকৃতি দিতে চায়নি। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে কোয়াব কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিসিবি কর্মকর্তাদের সখ্য গড়ে উঠেছে। কোয়াবের অনুরোধে খেলোয়াড়দের জন্য কিছু ইতিবাচক সিদ্ধান্তও নেয় বিসিবি। করোনাকালে সবচেয়ে বেশি সরব ছিল প্রতিষ্ঠানটি। বেশ কিছু মানবিক কাজ করেছে খেলোয়াড়দের আর্থিক অনুদান দিয়ে।

অসুস্থ ক্রিকেটারদের পাশে দাঁড়াতে দেখা গেছে সম্প্রতি। দেশের জেলায় জেলায় কোয়াবের উপকমিটি গড়ে তোলা হয়েছে। এরপরও কোয়াব একটি কার্যকর প্রতিষ্ঠান হয়ে উঠতে পারছে না। বর্তমান কমিটির কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কোয়াবকে পুরোপুরি কার্যকর করতে হলে ক্রিকেটারদের সরব অংশগ্রহণ থাকতে হবে। তহবিল গড়ে তুলতে আর্থিক বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরেন তাঁরা। ক্রিকেটারদের সংগঠন হলেও কোনো ধরনের বার্ষিক ফি নেওয়া হয় না। এজিএমের মাধ্যমে এগুলোর সুরাহা করতে চায় বর্তমান কমিটি।
বাইরে থেকে সমালোচনা করা হলেও ক্রিকেটাররা নির্বাহী কমিটিতে থাকতে রাজি নন। জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার থেকে বর্তমান ক্রিকেটারদের কেউই নির্বাচন করতে রাজি না। নাঈম ইসলাম বলেন, ‘আমরা চাই কোয়াবের একটি ক্লাব অফিস থাকুক, ক্রিকেটাররা যেখানে সময় কাটাতে পারবেন। বছরে ধুমধাম করে পিকনিক হবে। আমার বিশ্বাস চেষ্টা করলেই নেতৃত্বে যাঁরা রয়েছেন, তাঁরা পারবেন।’
এবারের এজিএমে নাঈমুর রহমান দুর্জয় ও দেবব্রত পালদের বড় চ্যালেঞ্জ থাকবে ক্রিকেটারদের মনের কথা শোনা। খেলোয়াড়রা নির্বাচনের পক্ষে রায় দিলে বর্তমান কমিটিকে তা মেনে নিতে হবে। কারণ বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনও চান কোয়াবের নির্বাচন। গতকাল বিসিবি সভাপতি মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার মতে অবশ্যই নির্বাচন হওয়া উচিত। নির্বাচন হতেই হবে।’ বিসিবি সভাপতির এ কথায় উজ্জীবিত হলেও হতে পারেন ক্রিকেটাররা।
মন্তব্য করুন