- খেলা
- আফগান সিরিজে পরীক্ষা, কখনোই না
আফগান সিরিজে পরীক্ষা, কখনোই না

ওহ, সেই ভয়ংকর বিকেল! সারাদিন থেমে থেমে বৃষ্টির পর ভেজা মাঠ, ফিল্ডারদের ঝুঁকি ছিল চোটে পড়ার। কিন্তু আফগানদের জেদ তারা খেলবেই– মাথার ওপর ঘনকালো মেঘ, সেই অবস্থাতেই ফ্লাডলাইট জ্বালিয়ে খেলা চলল। আর তিনটি ওভার ঠেকিয়ে দিতে পারলেই ড্র হয় ম্যাচ। কিন্তু রশিদ খান তখন ভয়ংকর রূপ নিয়েছেন চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। ১৪৩ থেকে ১৭৩– মাত্র কুড়ি রানের মধ্যেই বাংলাদেশ অলআউট। হারিয়ে বসে সাকিব, মিরাজ, তাইজুল আর সৌম্যকে।
রশিদ খানের গুগলির সামনে দাঁড়াতেই পারেনি কেউ। টেস্টে দু’দলের প্রথম দেখাতেই আফগানদের কাছে প্রচণ্ড ধাক্কা খায় ঘরের ছেলেরা। ২০১৯ সালের ৯ সেপ্টেম্বরের পর আবার টেস্ট খেলতে আসছে আফগানিস্তান। এবার অবশ্য চট্টগ্রাম নয়, ১৪ জুন পছন্দের মিরপুরেই হবে টেস্ট। আর এবার কোনো ধরনের পরীক্ষাও নয়। একেবারে মূল দলের সর্বোচ্চ শক্তি নিয়েই নামবে বাংলাদেশ।
এ কথা গতকাল পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু। ‘আফগানদের সঙ্গে আমাদের পূর্ব অভিজ্ঞতা ভালো না। সেদিক থেকে কোনো পরীক্ষা করা তো অসম্ভব। আফগানিস্তানের সঙ্গে আমরা কোনো পরীক্ষাতেই যাব না। আগামী সপ্তাহেই আফগান সিরিজের জন্য সম্ভাব্য সেরা দলটি দিয়ে দেব।’
গতকাল মিডিয়ার সঙ্গে আলাপকালে সদ্য ইংল্যান্ডফেরত প্রধান নির্বাচককে আফগান সিরিজে সাকিবকে টেস্টে না পাওয়া নিয়ে কিছুটা দুশ্চিন্তা দেখায়। ‘সাকিব দলের সেরা খেলোয়াড়, একই সঙ্গে অধিনায়ক। টেস্টে তাঁর না থাকাটা মানসিকভাবে কিছুটা পিছিয়ে থাকা। তবে অন্যরা আত্মবিশ্বাসী। একটি ম্যাচ যেহেতু, সবাই সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করবে।’
প্রধান নির্বাচক আশাবাদী, টেস্টের পর লম্বা বিরতি দিয়ে ৫ জুলাই থেকে ওয়ানডে সিরিজ শুরু। সেখানে সাকিব তাঁর আঙুলের চোট সারিয়ে ফিরে আসবেন।
সাকিবের পরিবর্তে সহঅধিনায়ক লিটন আফগানদের বিপক্ষে নেত্বত্ব দিতে পারেন। নান্নু জানান, পরপর সিরিজ থাকায় কোনো কিছু নিয়ে তাড়াহুড়া করবেন না তিনি। ২৪ জনের যে জাতীয় পুল রয়েছে, সেখান থেকেই কাউকে দিয়ে সাকিবের শূন্যস্থান পূরণ করবেন এবং এই জায়গাটিতে শুধু প্রধান নির্বাচক নান্নু নন, কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহেরও জোর ভূমিকা থাকবে। সর্বশেষ আয়ারল্যান্ড টেস্টে ওপেনার জাকির হাসানকে দেখা যায়নি। হয়তো আফগান সিরিজে সুযোগ মিলবে তার।
মন্তব্য করুন