সিলেটে উইন্ডিজ 'এ' দলের বিপক্ষে চারদিনের ম্যাচে বাংলাদেশ 'এ' দলের হয়েও ভালো করছেন দিপু। 'এ' দলের বাকি ব্যাটাররা যখন প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ, তখন ব্যাট হাতে নজর কেড়েছেন ২১ বছর বয়সী দিপু।

ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে চারদিনের ম্যাচের প্রথম ইনিংসে দলের বিপর্যয়ে একা হাল ধরেন ডানহাতি দিপু। পাঁচ নম্বরে নেমে ১২৪ বলে ১০ চার ও ২ ছক্কায় করেছেন ৭৩ রান। দ্বিতীয় ইনিংসেও করেন ফিফটি। আউট হওয়ার আগে ৬৮ বলে করেন ৫০ রান। 

দিপুর এই পরিসংখ্যান দেখে হয়তো বোঝা যাবে না, কতটা কার্যকরী ছিল তার ইনিংস। ক্যারিবিয়ান পেসারদের বাউন্স-মুভমেন্টে টেস্ট মেজাজেই ব্যাট চালিয়েছেন তিনি। ছাড়ার বল ছেড়েছেন, মারার বল মেরেছেন। দুই ইনিংস দিয়েই আপাতত টেম্পারমেন্টের পরীক্ষায় পাশ মার্কস পাচ্ছেন তিনি।

দিপুর ব্যাটিংয়ে মুগ্ধ হয়েছেন নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন। এখন জাতীয় দলে খেলা না হলেও ভবিষ্যতে দিপু টেস্টে ভালো করবেন, মনে করেন জাতীয় দলের এই নির্বাচক। তিনি বলেন, 'তাকে অনেক অরগানাইজড মনে হয়েছে। লঙ্গার ভার্শনে যেরকম ব্যাটিং করতে হয় দিপুকে দেখে ওরকমই মনে হয়েছে। খুবই অরগানাইজড। টেকনিকও বেশ ভাল। ওর ব্যাটিং বেশ মুগ্ধকর।' 

দিপুর ইনিংসের প্রশংসা করে বাশার আরও বলেন, 'উইকেটটা কিন্তু অত সহজ ছিল না। কারণ, সিলেটে দুই ম্যাচেই ৬ মিলি গ্রাস রেখেছি। বেশ সিমিং কন্ডিশন। এই কন্ডিশনে কে কেমন ব্যাটিং করে দেখার বিষয় ছিল। দিপু তো ভালো ব্যাটিং করছে অনেক দিন ধরেই। আমাদের ফাস্ট ক্রিকেটেও ভালো ব্যাটিং করেছেন। এভাবে ধরে রাখতে পারলে ভবিষ্যতের জন্য ভালো খেলোয়াড় হতে পারবে।'

ঘরোয়া ক্রিকেটে নিজেকে প্রমাণ করে চলা দিপু মাত্র ১৮টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচে ২ সেঞ্চুরি ও ৮ ফিফটিতে করেছেন ১ হাজার ১১৯ রান। আর ৩৬ লিস্ট 'এ' ম্যাচে ৩টি করে সেঞ্চুরি ও হাফ সেঞ্চুরিতে করেছেন ১ হাজার ১৫০ রান।

দিপুর ব্যাটিংয়ে মুগ্ধ হলেও 'এ' দলের বাকি ব্যাটাররা বাশারের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি। বাশার জানান, 'প্রত্যাশা বেশি ছিল। এই দলে কিন্তু বর্তমান (জাতীয় দলের) খেলোয়াড় আছে। তাদের কাছে চারদিনের ম্যাচে প্রত্যাশা বেশি ছিল। অবশ্যই তাদের কাছ থেকে যথেষ্ট পাইনি। তবে আরও একটা ইনিংস ম্যাচ বাকি আছে। আশা করি, আমাদের সেই প্রত্যাশাটা পূরণ করতে পারবে।'