অনেকটা অনুমিত ছিল, প্রিমিয়ার ফুটবল লিগের টানা চতুর্থ শিরোপা জিততে যাচ্ছে বসুন্ধরা কিংস। কিংস অ্যারেনায় শেখ রাসেলকে হারালেই দেশের ফুটবলে চূড়ায় ওঠে যাবে বসুন্ধরা, হলোও তাই। শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রকে ৬-৪ গোলে হারিয়ে নতুন ইতিহাস গড়লো তারা। স্বাধীন বাংলাদেশের ফুটবল লিগের ইতিহাসে টানা চার শিরোপাজয়ের কীর্তি গড়েছেন বসুন্ধরা কিংস। ১৭ ম্যাচে ৪৬ পয়েন্ট পাওয়া বসুন্ধরার কিংসের তিন ম্যাচ হাতে রেখেই চ্যাম্পিয়নশিপ নিশ্চিত হয়ে যায়।

১৯৮৩-৮৫তে ঢাকা আবাহনী আবার ১৯৮৬-৮৮ ঢাকা মোহামেডান হ্যাটট্রিক শিরোপা জিতেছে। ২০০৭ সালে পেশাদার লিগ চালুর পর প্রথম তিনবার চ্যাম্পিয়ন আবাহনী। তবে কোনো দলই পারেনি টানা চারটি লিগ জিততে। 

ম্যাচের শুরু থেকেই নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করে খেলতে থাকে কিংস। ৬ মিনিটে দরিয়েলতনের গোলে বসুন্ধরা কিংস লিড নেয়। ২৬ মিনিটে সুজন বিশ্বাস শেখ রাসেলকে সমতায় ফেরান। ৩৮ মিনিটে দীপক রায়ের গোলে এগিয়ে যায় কিংস। তবে প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে গোল করে দলকে সমতায় ফেরান কিংসের অধিনায়ক রবসন রবিনহো। দুই মিনিট পরেই মোরসালিনের গোলে স্বস্তি ফেরে কিংস শিবিরে। ৩-২ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় কিংস। 

দ্বিতীয়ার্ধে বসুন্ধরা কিংস আরও তিন গোল করলে শেখ রাসেল আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি। ম্যাচের ৫০ এবং ৬৫ মিনিটে গোল করে নিজের হ্যাটট্রিক পূরণ করেন দোরিয়েলতন। ৬৯ মিনিটে কেনেথ ইকেচুকুর গোল ব্যবধান কমায় রাসেল। ৭৬ মিনিটে নিজের চতুর্থ এবং দলের হয়ে ছয় নম্বর গোলটি করেন দোরিয়েলতন। ম্যাচের ৮৯ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে ব্যাবধান কমান কেনেথ ইকেচুকু। ৬-৪ গোলে জিতে উৎসবে মাতে বসুন্ধরা কিংস।