তরল প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি করতে কাতারের সঙ্গে ১৫ বছর মেয়াদী চুক্তি স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার কাতারের রাজধানী দোহায় দুই দেশের মধ্যে এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

এ চুক্তির আওতায় ২০২৬ থেকে ২০৪০ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশকে এলএনজি সরবরাহ করবে কাতার। এর মধ্যে ২০২৬ সালে কাতার থেকে ১২ কার্গো এলএলজি (অতিরিক্ত ১২ কার্গো অপশনসহ) এবং ২০২৭ সালে ২৪ কার্গো এলএনজি (যা কমবেশি ১.৫ এমটিপিএ এলএনজির সমতুল্য) বাংলাদেশে আসবে।

চুক্তিতে বাংলাদেশের পক্ষে পেট্টোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ নাথ সরকার এবং কাতার এনার্জি ট্রেডিংয়ের পক্ষে নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট আব্দুল্লাহ আহমাদ আল হোসাইনি স্বাক্ষর করেন।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে সকল প্রকার জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে। বিশ্বের অন্যতম দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশ হিসেবে বাংলাদেশে প্রতিনিয়ত গ্যাস ও বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ছে। বাড়তি জ্বালানি যোগান দিয়ে দেশের শিল্পায়ন ও অর্থনীতিকে আরও গতিশীল করতে গ্যাস ও অন্যান্য জ্বালানির চাহিদা বাড়ছে। প্রয়োজনীয় জ্বালানি সঠিক সময়ে সরবরাহের উদ্যোগ অব্যাহত রয়েছে।

কাতার সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এবং কাতারের মধ্যকার জ্বালানি মৈত্রী, দুই দেশের বিরাজমান বন্ধুত্বে নতুন মাত্রা যোগ করল। পৃথিবীজুড়ে জ্বালানি অস্থিরতার এই সময়ে দীর্ঘমেয়াদী চুক্তিটি নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত স্বস্তিদায়ক অর্জন।

তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কূটনৈতিক দক্ষতার জন্যই দ্রুত এই দীর্ঘমেয়াদী এলএনজি চুক্তি স্বাক্ষর করা সম্ভব হয়েছে।

কাতারের জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী সাদ বিন সেরিদা আল কাবি চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বলেন, বাংলাদেশে বৃহত্তম এলএনজি সরবরাহকারী দেশ হতে পেরে আমরা গৌরাম্বিত। কাতার থেকে বার্ষিক ৩.৫ মিলিয়ন টন এলএনজি সরবারাহ বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থাসহ সার্বিক উন্নয়নে অবদান রাখবে।

প্রসঙ্গত, এলএনজি আমদানিতে ২০১৭ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর কাতারে রাস গ্যাস-এর সঙ্গে প্রথম চুক্তি করে বাংলাদেশ। ২০১৮ থেকে ২০৩৩ সাল পর্যন্ত ১৫ বছর মেয়াদী চুক্তিতে ১.৮-২.৫ এমটিপিএ (বর্তমানে ২.৫ এমটিপিএ, ৪০ কার্গো এলএনজি) এলএনজি পাচ্ছে বাংলাদেশ। দুটি চুক্তিই জিটুজি প্রক্রিয়ায় করা হয়েছে।