- খেলা
- গ্রেপ্তার এড়াতে ছদ্মবেশ নিয়েছিলেন শহর আলী
গ্রেপ্তার এড়াতে ছদ্মবেশ নিয়েছিলেন শহর আলী

গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত যুদ্ধাপরাধী শহর আলীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-২। গত বুধবার গাজীপুরের শ্রীপুরে অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার এড়াতে তিনি চার বছর ছদ্মবেশে বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপনে ছিলেন।
গতকাল শুক্রবার র্যাব-২ এর জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) এএসপি ফজলুল হক জানান, মুক্তিযুদ্ধের সময় ময়মনসিংহ এলাকায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সহযোগী ছিলেন শহর আলী। তিনিসহ রাজাকার বাহিনীর অন্য সদস্যরা অপহরণ, ধর্ষণ, পাশবিক নির্যাতন, অগ্নিসংযোগ, হত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধে সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলেন।
১৯৭১ সালের ২৩ মে রাতে শহর আলীসহ ১৫-১৬ জন সশস্ত্র রাজাকার পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একটি দল নিয়ে ময়মনসিংহের ফুলপুর থানার মৈশাকান্দা গ্রামে যায়। সেখানে তারা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মানুষ ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকদের ওপর নির্যাতন চালায় এবং ১০-১২টি বাড়িতে লুটপাট চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। এরপর ৪ আগস্ট ফুলপুর থানা শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান ও রাজাকার রজব আলী ফকিরের নেতৃত্বে শহর আলীসহ ২০-২৫ জন সশস্ত্র রাজাকার ফুলপুর থানার পূর্ব বাখাই ও পশ্চিম বাখাই এলাকার স্বাধীনতাকামী নিরীহ মানুষের বাড়িতে লুটপাট চালায়। তারা ৯-১০ জনকে কংস নদের শর্চাপুর ঘাটে নিয়ে গিয়ে গুলি চালিয়ে হত্যা করে।
এসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৭ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা হয়। ২০১৯ সালের ১৯ মার্চ যুদ্ধাপরাধী শহর আলীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
মন্তব্য করুন