- খেলা
- দিল্লি সংসদের ‘অখণ্ড ভারত’ ম্যুরাল নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া
দিল্লি সংসদের ‘অখণ্ড ভারত’ ম্যুরাল নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া

ভারতের নয়াদিল্লিতে নতুন সংসদ ভবনে ‘অখণ্ড ভারত’ মানচিত্রের ম্যুরাল স্থাপন নিয়ে দক্ষিণ এশিয়ায় ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা চলছে। ভারতের নতুন সংসদ ভবন এখন বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাঁড়িয়েছে। পাকিস্তান ও নেপাল ইতোমধ্যে ভারতের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে। নেপালে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বিরোধী দল। খবর বিবিসি ও দ্য ডনের।
মানচিত্রে অখণ্ড ভারতের মধ্যে আফগানিস্তান, পাকিস্তান, নেপাল, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও মিয়ানমারের অঞ্চল ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। গত ২৮ মে হিন্দুত্ববাদের প্রবক্তা বিনায়ক দামোদর সাভারকরের জন্মদিনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নতুন সংসদ ভবন উদ্বোধন করেন।
সংসদ ভবন উদ্বোধন ঘিরে দেশটিতে তীব্র রাজনৈতিক বিতর্ক হয়। পরে নেপালের প্রধানমন্ত্রী প্রচণ্ডের দিল্লি সফরের মধ্যেই দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী বাবুরাম ভট্টরাই এক বিবৃতিতে ভারতের সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, এই মানচিত্র ভারতের অন্য প্রতিবেশী দেশে অহেতুক ও ক্ষতিকর বিতর্কের জন্ম দিতে পারে। ভারতের সঙ্গে দেশগুলোর ধর্মীয় চেতনাগত ঘাটতি বাড়িয়ে দেওয়ার মতো উপাদান এ মানচিত্রে রয়েছে। পাশাপাশি ভারতের সঙ্গে দেশগুলোর দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
পাকিস্তান অখণ্ড ভারতের (বৃহত্তর ভারত) ধারণা নিয়ে মোদি সরকারের এ কর্মকাণ্ডে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। পাকিস্তানের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র মমতাজ জাহরা বালুচ বলেছেন, ম্যুরালে তথাকথিত ‘প্রাচীন ভারত’কে চিত্রিত করা হয়েছে, যার মধ্যে বর্তমানের পাকিস্তান এবং অন্যান্য দেশের অংশ রয়েছে। ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় কোয়াত্রা সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হলে তাঁকে মানচিত্র বিতর্কের বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। কোয়াত্রা কোনো মন্তব্য না করলেও সংসদীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশি এক টুইটে উল্লেখ করেন, ‘সংকল্প স্পষ্ট, অখণ্ড ভারত’।
হিন্দুত্ববাদী রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ (আরএসএস) মনে করে, প্রাচীনকালের গান্ধার (কান্দাহার) থেকে ব্রহ্মদেশ (মিয়ানমার) ও তিব্বত-নেপাল থেকে শ্রীলঙ্কা পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল ভারতের সভ্যতা ও সংস্কৃতি। এই অখণ্ড ভূমিই তাদের কাছে ‘অখণ্ড ভারত’।
মন্তব্য করুন