- খেলা
- এক যুগের অভিযাত্রা, এতকিছু সিটিও ভাবেনি
এক যুগের অভিযাত্রা, এতকিছু সিটিও ভাবেনি
-samakal-647d8a5871e3e.jpg)
ধৈর্যের ফল সব সময়ই মধুর হয়। তবে এতটা মধুর যে হবে, তা কল্পনা করতে পারেনি স্বয়ং ম্যানচেস্টার সিটিও। ২০০৮ সালে আবুধাবি গ্রুপ ম্যানসিটির মালিকানা নিয়েছিল মূলত চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতার আশায়। কিন্তু কাঁড়ি কাঁড়ি পেট্রো ডলার খরচ করেও তাদের সে লক্ষ্য পূরণ হচ্ছিল না, কেবল প্রিমিয়ার লিগে দাপট দেখিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছিল। ১২ বছরের এত বিনিয়োগ, এত ধৈর্যের ফসল অবশেষে উঠতে যাচ্ছে সিটির ঘরে। শুধু চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিই নয়, ঐতিহাসিক ট্রেবল জিতে ইতিহাস গড়ার পথে পেপ গার্দিওলার সিটি।
প্রিমিয়ার লিগের হ্যাটট্রিক শিরোপা সিটি নিশ্চিত করেছে তিন ম্যাচ হাতে রেখেই। গত ছয় মৌসুমে এটি তাদের পঞ্চম লিগ শিরোপা। গত শনিবার ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে ২-১ গোলে হারিয়ে এফএ কাপও জিতে নেন গার্দিওলার শিষ্যরা। এখন বাকি কেবল চ্যাম্পিয়ন্স লিগ। ১০ জুন ইস্তাম্বুলে ইন্টার মিলানের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল খেলবেন ব্রুইনা-হালান্ডরা। সেটা জিততে পারলেই ইতিহাসে জায়গা করে নেবে গার্দিওলার সিটি। দ্বিতীয় ইংলিশ ক্লাব হিসেবে ট্রেবল জিতবে তারা। এর আগে ১৯৯৯ সালে স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসনের ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ট্রেবল জিতেছিল।
ম্যানচেস্টার সিটির এই পথটা কিন্তু মসৃণ ছিল না। বিশেষ করে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে তাদের এক যুগের যাত্রাটা বেশ বন্ধুরই ছিল। ২০০৮ সালে শেখ মনসুর বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের আবুধাবি গ্রুপ সিটি কেনে। নতুন মালিকানায় চ্যাম্পিয়ন্স লিগে গিয়েই প্রথম রাউন্ড থেকে বিদায় নিতে হয়েছিল রবার্তো মানচিনির সিটিকে। বায়ার্ন মিউনিখ ও ন্যাপোলির পেছনে থেকে গ্রুপে তৃতীয় হয় তারা। ২০১৩-১৪ মৌসুমে প্রথম নকআউটে যায় সিটি। তবে বার্সার কাছে ৪-১ গোলে হেরে শেষ ষোলো থেকে বিদায় নিতে হয় তাদের। ২০১৫-১৬ মৌসুমে গিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নকআউটে প্রথম জয়ের দেখা পায় সিটি।
এর পর টানা তিন মৌসুম কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নেওয়ার পর হতাশা ঘিরে ধরেছিল। ২০২০-২১ মৌসুমে ফাইনালে ওঠে সিটি। কিন্তু চেলসির কাছে হেরে শিরোপা বঞ্চিত হয় গার্দিওলার দল। এবার কী ঘুছবে সেই অপেক্ষা!
এসব ভেবেই হয়তো এফএ কাপ জয়ের পর কিছুটা আবেগ তাড়িত হয়ে পড়েছিলেন পেপ গার্দিওলা। চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি স্প্যানিশ এ কোচ। ‘খেলোয়াড়রা সবাই জানে আমাদের সামনে কী রয়েছে। আমরা এখন এমন একটি অবস্থানে রয়েছি, যেখানে হয়তো আর কোনোদিনই পৌঁছাতে পারব না।’ যোগ্য স্বীকৃতিটি পেতে আমাদের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিততেই হবে।’ ইন্টার মিলানের বিপক্ষে ১০ জুনের ফাইনালে কাগজে-কলমে সিটিই ফেভারিট। তবে ২০২১ সালে চেলসির বিপক্ষে ফাইনালের মতো ভজকট না পাকিয়ে ফেললেই হয়!
মন্তব্য করুন