বাংলাদেশ ‘এ’ আর ‘বাংলাদেশ টাইগার্স’ দলে এ বছর থেকে বিদেশি কোচ রাখায় মোটা অঙ্কের টাকা খরচ করতে হচ্ছে । বিসিবির ব্যাটিং পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ পাওয়া জেমি সিডন্সের বেতন মাসে ১৬ হাজার ডলার।

চুক্তিভিত্তিক নিয়োগে থাকা পেস বোলিং কোচ চম্পকা রামানায়েককে দিনে দিতে হয় সাড়ে ৬০০ ডলার। মাসের হিসাবে প্রায় ২০ হাজার ডলার বেতন এ শ্রীলঙ্কানের। বিগত কয়েক বছর এইচপিতে কাজ করা চম্পকাকে এ বছর ‘এ’ দল ও টাইগার্সের সঙ্গে জুড়ে দিয়েছে বিসিবি। তার সঙ্গে বোর্ডের চুক্তি শেষ হবে এ বছর ৩০ জুলাই। 

জেমি ও চম্পকার বেতন প্রায় ৩৬ হাজার ডলারের কাছাকাছি। মে মাসে এ দুই কোচের পেছনে বেতন বাবদ প্রায় ৩৭ লাখ ৮০ হাজার টাকা ব্যয় করতে হয়েছে বিসিবিকে। এই কোচদেরও বিমান ভাড়া আর ঢাকার আবাসন সুবিধা দিতে হয়। অথচ এক বছর আগেও ‘এ’ দল আর বাংলাদেশ টাইগার্সে বিদেশি কোচ ছিল না। দেশি কোচরা কাজ করায় মোটা অঙ্কের টাকা বেচে গেছে বিসিবির।

বাংলাদেশ টাইগার্সেও বিদেশি কোচ। ছবি- সমকাল

এদিকে এইচপিতে বাড়ছে বিদেশি কোচ। ইংলিশ টবি রেডফোর্ডকে চুক্তিভিত্তিক প্রধান কোচ হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হলেও মাত্র এক মাস কাজ করেছেন। আসি আসি করে এরপর আসা হয়নি তার। তাই ২০২২ সালে এইচপির ক্রিকেটারদের প্রশিক্ষণ দিয়েছেন চম্পকা। 

এবার ডেভিড হেম্পকে প্রধান কোচ হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে সম্ভবত মাসে ৭ হাজার ডলার বেতনে। পেস বোলিং কোচ ওয়েস্ট ইন্ডিজের কলি মোরকে বেতন দেওয়া হতে পারে ৯ হাজার ডলার। এ মাসেই কাজে যোগ দেবেন এ ক্যারিবিয়ান। 

একজন মনোবিদও কাজ করবেন এইচপির সঙ্গে। বিসিবির হেড অব প্রোগ্রাম ডেভিড মুরের সুপারিশে বিদেশি কোচ নিয়োগ করা হয়েছে। এইচপির বিদেশি কোচিং স্টাফের বেতনের পেছনে আগামী মাস থেকে বিসিবির খরচ হবে প্রায় ১৬ হাজার ডলার বা ১৬ লাখ ৪০ হাজার টাকা। এই বিভাগেও গত বছরের চেয়ে বিদেশি কোচ একজন বেড়েছে।

এইচপিতে বাড়ছে বিদেশি কোচ। ছবি- সমকাল