কলম্বোর প্রেমাদাসায় বৃষ্টি যেমন ব্যাটারদের টেনশন বাড়িয়ে দেয়, তার চেয়ে তারা বেশি টেনশনে থাকেন স্পিনারদের নিয়ে। একটা সময় এই ভেন্যুতে শাসন করেছেন দুই লঙ্কান মুরালিধরন ও মেন্ডিস। তাদের প্রতিটি ওভার ছিল অন্য প্রান্তের ব্যাটারদের জন্য চরম আতঙ্কের। পরিসংখ্যান বইয়েও তাদের নাম। সবচেয়ে বেশি ৭৫ উইকেট নিয়েছেন মুরালিধরন। আর ২০ রানে ৬ উইকেট নিয়ে সেরা বোলিংয়ের চেয়ারটা এখনও নিজের দখলে রেখেছেন মেন্ডিস। এবার সেই মঞ্চে ঝলক দেখানোর পালা ভারত ও লঙ্কান স্পিনারদের। এরই মধ্যে সুপার ফোরের ম্যাচে দু’দলের স্পিনাররা দেখিয়ে দিয়েছেন, তাদের সামনে কতটা অসহায় প্রতিপক্ষ ব্যাটাররা। আজ এশিয়া কাপের ফাইনালেও স্পিনাররা হবেন বড় একটা ফ্যাক্টর।

দু’দলে রয়েছেন একাধিক স্পিনার। ভারতের স্পিন অ্যাটাকের মূল দায়িত্ব থাকবে কুলদীপ যাদবের কাঁধে। তাঁকে সঙ্গ দেবেন রবীন্দ্র জাদেজা। অন্যদিকে লঙ্কানদের ভরসার নাম দুনিত ভাল্লালাগে। ভারতের বিপক্ষে সুপার ফোরে তিনি একাই তুলে নেন পাঁচ ব্যাটারকে। তবে শ্রীলঙ্কার রহস্য স্পিনার থিকসেনার ছিটকে যাওয়া তাদের জন্য বড় ধাক্কা। অবশ্য তাঁর বদলি এরই মধ্যে ঠিক করে ফেলেছেন লঙ্কানরা। আজ ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে লঙ্কান একাদশে দেখা যেতে পারে লেগ স্পিনার দুশান হেমন্তকে। আন্তর্জাতিক ওয়ানডেতে অভিষেক হয়েছে বেশি দিন হয়নি। এ বছরের জুনে আফগানদের বিপক্ষে এক দিনের ক্রিকেটে নাম লেখান হেমন্ত। এরপর আরেকটা ম্যাচে অংশ নিয়েছেন তিনি। সব মিলিয়ে দুই ওয়ানডে খেলা এই লেগি নিয়েছেন দুটি উইকেট। তবে কলম্বোর স্পিনসহায়ক উইকেটে হেমন্তও হতে পারেন তুরুপের তাস।

ভারতের আস্থা কুলদীপকে ঘিরে। অভিজ্ঞতার দিক থেকে লঙ্কান স্পিনারদের চেয়ে অনেকটা এগিয়ে তিনি। তাঁর মূল তিন অস্ত্র– লেগ ব্রেক, গুগলি ও ফ্রন্ট অব দ্য হ্যান্ডে বোলিং করা। চলমান এশিয়া কাপেও সেই ঝলক দেখিয়েছেন। সুপার ফোরে পাকিস্তানের বিপক্ষে ২৫ রান দিয়ে ৫ উইকেটে শিকার করেন তিনি। এরপর লঙ্কানদের সঙ্গে ৪৩ রান খরচায় তুলে নেন চার ব্যাটারকে। আজও তাঁকে মোকাবিলা করা সহজ হবে না আশালঙ্কা-শানাকাদের।