- খেলা
- মিরপুরে অচেনা নিউজিল্যান্ড দল
মিরপুরে অচেনা নিউজিল্যান্ড দল
কন্ডিশন পরিচিতির পাশাপাশি বিশ্বকাপের রিজার্ভ বেঞ্চকে ম্যাচ খেলার সুযোগ করে দিতে বাংলাদেশে পাঠানো ড্যান ক্লেভারদের

মাঠে ঢুকেই সেন্টার উইকেট দেখতে ছুটে আসেন নিউজিল্যান্ড দলের ক্রিকেটাররা। সোমবার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে : বিসিবি
যে খেলোয়াড়দের নিয়ে সিরিজ খেলতে এসেছে নিউজিল্যান্ড, সেখানে বিশ্বকাপ দলের আটজনই নেই। এই দলের বেশির ভাগ ক্রিকেটারই বাংলাদেশের মানুষের কাছে অপরিচিত। তেমনি বাংলাদেশ আর মিরপুরের কন্ডিশনও অচেনা কিউইদের কাছে। প্রশ্ন হতে পারে, দ্বিপক্ষীয় এ সিরিজটি বিশ্বকাপের প্রস্তুতির সিরিজ হওয়ার পরও কেন বিকল্প ক্রিকেটারদের খেলানোর সিদ্ধান্ত? এ জন্য একাধিক কারণ দেখাতে পারে কিউইরা।
বিশ্বকাপের পর পরই বাংলাদেশে দুই টেস্টের সিরিজ খেলবে তারা। তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের দল থেকে কিছু ক্রিকেটারকে টেস্ট স্কোয়াডে রাখা হতে পারে। কন্ডিশন পরিচিতির পাশাপাশি বিশ্বকাপের রিজার্ভ বেঞ্চকে ম্যাচ খেলার সুযোগ করে দিতে বাংলাদেশে পাঠানো ড্যান ক্লেভারদের। ২০২১ সালের টি২০ বিশ্বকাপের আগেও তো বিকল্প ক্রিকেটার পাঠিয়েছিল নিউজিল্যান্ড। মূলত যে কোনো বড় টুর্নামেন্টের আগে এ রকম কৌশল নিয়ে থাকে তারা।
কিউই এই দলের বেশির ভাগ ক্রিকেটার যেমন অপরিচিত, তেমনি কোচিং স্টাফও। তবে কোচিং স্টাফের একজনের কাছে বাংলাদেশ মোটামুটি মুখস্থ। কিউই পেস বোলিং কোচ অস্ট্রেলিয়ার শেন জার্গেনসেনের কথা বলা হচ্ছে। স্টুয়ার্ট ল-পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচও হয়েছিলেন তিনি। জাতীয় দলের সঙ্গে কাজের সুবাদে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়াম তাঁর কাছে পরিচিত।
গতকাল সেই স্টেডিয়ামে জার্গেনসেনের তত্ত্বাবধানে প্রথম অনুশীলন ছিল নিউজিল্যান্ডের। কিউরেটর গামিনি ডি সিলভার সঙ্গে ছবি টুইট করে নস্টালজিক হয়েছেন তিনি। জার্গেনসেন নস্টালজিক হলেও তাঁর খেলোয়াড়দের কাছে মিরপুর অচেনা। কেমন উইকেটে খেলা হবে, জানেন না তারা। কেবল পূর্বসূরিদের কাছ থেকে পাওয়া কিছু তথ্য আর ভিডিও অ্যানালিস্টের পর্যালোচনাকে সম্বল করে খেলতে হবে তিন ম্যাচের সিরিজটি।
ইশ সৌধি, কাইল জার্মিসন, অ্যাডাম মিলনে, ট্রেন্ট বোল্ট, লকি ফার্গুসনরা না থাকলে আম্পায়ারদের জন্যও কঠিন হয়ে পড়ত ম্যাচ পরিচালনা করা। দেশটির ক্রিকেটারদের সম্পর্কে তথ্য-উপাত্ত পেতে আইসিসির সহযোগিতা নিতে হতো তাদের। কয়েকজন সিনিয়র ক্রিকেটার থাকায় রক্ষা, তেমন কিছু করতে হচ্ছে না আন্তর্জাতিক আম্পায়ারদের। আসলে বিশ্বকাপের ঠিক আগে এ রকম কোনো সিরিজ থাকলে কিছু করারও থাকে না।
কোনো দলই নিয়মিত ক্রিকেটারদের বেশি ম্যাচ খেলিয়ে ঝুঁকিতে ফেলতে চায় না। ভারত যেমন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজে সিনিয়র ক্রিকেটারদের বিশ্রাম দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তেমনি বাংলাদেশও হোম সিরিজ খেলছে নিয়মিত ছয় ক্রিকেটার ছাড়া। এ ছাড়া নিউজিল্যান্ডের মূল দলটা তো কিছু দিন আগেই ইংল্যান্ডে খেলে এসেছে। ওয়ার্ক লোড ম্যানেজ করার চিন্তা থেকেই রোটেশন পলিসিতে খেলছে তারা।
২১ থেকে ২৬ সেপ্টেম্বর তিন ম্যাচের সিরিজ শেষ করার পরদিনই বিশ্বকাপের বিমান ধরতে হবে বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ডকে। সাকিব আল হাসানরা যাবেন আসামের গৌহাটিতে। কিউইরা ঢাকা থেকে যাবে হায়দরাবাদে। ২৯ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ গৌহাটিতে খেলবে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আর কিউইরা হায়দরাবাদে খেলবে পাকিস্তানের সঙ্গে। বিকল্প ক্রিকেটার খেলালেও সিরিজটি সাদামাটা ভাবার কারণ নেই। উভয় দলের চেষ্টা থাকবে ভালো ক্রিকেট খেলে সিরিজ জিতে নেওয়া। কারণ জয়-পরাজয়ের সঙ্গে আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে নেওয়ার একটা ব্যাপার থাকবে। বিসিবি কর্মকর্তারা আশা করছেন, লিটনের নেতৃত্বে মিরপুরে ভালো ক্রিকেট খেলবে টাইগার বাহিনী।
মন্তব্য করুন