গেমস ভিলেজে অ্যাথলেটদের পদচারণা বাড়ছে। ২৩ সেপ্টেম্বর রঙিন উদ্বোধনে আনুষ্ঠানিকভাবে পর্দা উঠবে ১৯তম এশিয়ান গেমসের। তার আগেই হ্যাংঝু গেমসের ময়দানি লড়াই শুরু হচ্ছে। আজ থেকে শুরু হওয়া ফুটবল এবং নারী ক্রিকেটের লড়াইয়ে আছে বাংলাদেশও। তবে নারী ক্রিকেট দল সরাসরি কোয়ার্টার ফাইনাল খেলবে বলে ২২ সেপ্টেম্বর মাঠে নামবে তারা। ছেলেদের ফুটবলে বাংলাদেশের যাত্রা আজ থেকেই।

২০১৮ সালে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় অনুষ্ঠিত এশিয়ান গেমসে দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠে নতুন ইতিহাস গড়েছিল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩ দল। পাঁচ বছরের ব্যবধানে অনেক কিছু পরিবর্তন হলেও স্বপ্নটা বদলায়নি লাল-সবুজের দলটির। জাকার্তার স্মৃতি হ্যাংঝুতে ফিরিয়ে আনার স্বপ্ন দেখা হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরার দলের প্রথম পরীক্ষা মিয়ানমার। জিওশান স্পোর্টস সেন্টার স্টেডিয়ামে গ্রুপ ‘এ’র এই ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টায়। এই গ্রুপে বাংলাদেশের অন্য দুই প্রতিপক্ষ ভারত ও স্বাগতিক চীন।

২০১৮ এশিয়ান গেমসে নকআউট পর্বে খেলা ফুটবলারদের মধ্যে শুধু রহমত মিয়াই আছেন বর্তমান দলে। বসুন্ধরা কিংসের এএফসি কাপ এবং ফর্মের কারণে অনেক তারকা ফুটবলার নেই এবারের এশিয়াডে। তারুণ্যনির্ভর দল নিয়ে এশিয়ান গেমসের মতো বড় মঞ্চে সফল হওয়া যে অনেক কঠিন, তা ভালো করেই জানা বাংলাদেশ কোচ ক্যাবরেরার, ‘এশিয়ান গেমসের মতো বড় আসরে অংশ নিতে পারাটা অনেক বড় বিষয়। ব্যক্তিগতভাবে যদি বলতে হয়, তাহলে আমি খুবই রোমাঞ্চিত। মাঠের পারফরম্যান্সে অবশ্যই ভালো করার লক্ষ্য আমাদের। জানি না কতদূর যেতে পারব, তবে এই মুহূর্তে আমি মিয়ানমারের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ নিয়েই ভাবছি।’ 

অনূর্ধ্ব-২৩ বয়সের বাইরে সিনিয়র পর্যায়ের তিন ফুটবলার খেলতে পারবেন এশিয়াডে ছেলেদের ফুটবলে। কিংসের এএফসির কাপের কারণে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা শেখ মোরসালিনসহ বেশ কয়েকজন ফুটবলার নেই। তবে নতুনদের নিয়েই ভালো করার প্রত্যয় ক্যাবরেরার কণ্ঠে, ‘নানা কারণে বেশ কয়েকজন ফুটবলারকে আমরা পাচ্ছি না এশিয়ান গেমসে। তবে যারা আছে, তাদের জন্য এটা বড় সুযোগ বলে মনে করছি আমি।’ 

প্রতিপক্ষ মিয়ানমারের সঙ্গে অতীতে কখনোই কোনো টুর্নামেন্টে খেলেনি বাংলাদেশ। যে ছয়বার দেখা হয়েছিল, সবই প্রীতি ফুটবল ম্যাচে। দু’দলের সর্বশেষ লড়াই হয়েছিল ২০১১ সালের ২৩ মার্চ। সেই ম্যাচে বাংলাদেশ জিতেছিল ২-০ গোলে। শারীরিক শক্তি এবং স্কিলে এগিয়ে থাকা মিয়ানমারকে আটকানোর চ্যালেঞ্জ রহমত মিয়াদের।