সরে গেছে বসুন্ধরা
অসহায় শেখ জামাল ও শেখ রাসেল

প্রিমিয়ার লিগে শেখ রাসেল ও শেখ জামাল অনিশ্চিত।
ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৫ আগস্ট ২০২৪ | ১৩:৫০
দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতির কথা চিন্তা করে প্রিমিয়ার লিগের দল বদলের সময় বাড়াতে ফিফার কাছে আবেদন করে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। কিন্তু বুধবার বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা থেকে জানানো হয়, দল বদলের সময় বাড়াতে পারবে না। তাতে ১৯ আগস্টই হচ্ছে প্রিমিয়ার ফুটবল লিগের দল বদলের শেষ। এই অবস্থায় বেকায়দায় পড়ে গেছে ঢাকা ওয়ান্ডারার্স, ফকিরাপুল ইয়ংমেন্স এবং ব্রাদার্স ইউনিয়নের মতো ক্লাবগুলো।
তবে দেশের ফুটবলের জন্য সবচেয়ে বড় ধাক্কা হয়ে এসেছে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের প্রিমিয়ার লিগে অংশ না নেওয়ার খবরটি। শুধু শেখ রাসেলই নয়, শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবেরও লিগে অংশ নেওয়াটা অনিশ্চিত। দুটি ক্লাবকে এতদিন ধরে পৃষ্ঠপোষকতা করে আসছে বসুন্ধরা গ্রুপ। সরকার পরিবর্তনের পর এই গ্রুপটিও এখন শেখ জামাল ও শেখ রাসেলকে পৃষ্ঠপোষকতা করবে না বলে জানিয়ে দেয়।
তাতে করে দেশের অন্যতম দুটি শক্তিশালী ক্লাবের ফুটবলাররা পড়ে গেছেন মহাসংকটে। খেলোয়াড়দের নতুন ক্লাব খুঁজে নেওয়ার নির্দেশ দিলেও এই কয়েক দিনে ঠিকানা বদল করাটাও কঠিন তাদের জন্য।
বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় অবস্থিত শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র ক্লাবটি। সেখানে আছে ট্রেনিং গ্রাউন্ড। আর ধানমন্ডিতে অবস্থিত শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর এই ক্লাবটিতে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় দুর্বৃত্তরা। নতুন মৌসুমের জন্য শেখ জামাল দলও গুছিয়ে ফেলে। শেখ রাসেলও ঘর গোছানোর কাজটি প্রায় সম্পন্ন করে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর বসুন্ধরার নিয়ন্ত্রণে থাকা দুটি ক্লাবকে নিয়ে দেখা দেয় অনিশ্চয়তা। গতকাল শেখ রাসেলের ডিরেক্টর অব ফিন্যান্স মো. ফখরুদ্দিন সমকালকে তাদের অসহায়ত্বের কথা এভাবেই জানান, ‘আমাদের দলও গোছানো হয়নি। বসুন্ধরা থেকে যে ফান্ড পেতাম, সেটা এবার পাব না। এখনও পর্যন্ত যতটুকু জানি, হয়তো শেখ রাসেল প্রিমিয়ার লিগে খেলবে না।’
শেখ জামালের একটি সূত্র না খেলার বিষয়টি নিশ্চিত না করলেও যেহেতু এই ক্লাবটিও বসুন্ধরার গ্রুপের অধীনে, তাতে ধরে নেওয়া যায়, প্রিমিয়ার লিগের সাবেক চ্যাম্পিয়নদের দেখা যাবে না নতুন মৌসুমে।
দল বদল পেছানোর জন্য বেশি অনুরোধ ছিল নতুন দুই ক্লাব ঢাকা ওয়ান্ডারার্স এবং ফকিরাপুল ইয়ংমেন্স ক্লাবের। এখন বাফুফের অনুরোধ ফিফা প্রত্যাখ্যান করায় ব্যাকফুটে চলে গেছে ওয়ান্ডারার্স। দলটির সভাপতি আওয়ামী লীগের রাজনীতি করায় বর্তমানে চলে গেছেন আড়ালে। দেখভাল করছেন সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ কামাল হোসেন। লিগে খেলবে কি খেলবে না ওয়ান্ডারার্স তা নিয়ে এখনই কিছু বলতে পারছেন না তিনি, ‘শুরুর দিকে ক্যাম্প করতে চেয়েছিলাম। অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির কারণে সেটা আর হয়নি। সার্বিক বিষয় নিয়ে আমরা সবাই বসব।’
কষ্ট হলেও ১৮ কিংবা ১৯ আগস্ট দল বদল করতে চায় ফকিরাপুল। ১৬ আগস্ট ক্যাম্প শুরুর চিন্তা করছেন ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান মাইনু। গত মৌসুমে অবনমন হলেও নির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্তে প্রিমিয়ারে টিকে যাওয়া ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্লাবও দেশি কিংবা বিদেশি কোনো ফুটবলার নিবন্ধন করেনি। মঙ্গলবার ফুটবলার নিবন্ধনের ফরম বাফুফে থেকে পেয়েছে ক্লাবটি। তবে এই কয়েক দিনের মধ্যে দল গুছিয়ে দল বদল কার্যক্রম করতে চায় ব্রাদার্স।
- বিষয় :
- প্রিমিয়ার লিগ