ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫

যেভাবে সভাপতি হলেন ফারুক

যেভাবে সভাপতি হলেন ফারুক

বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ।

ক্রীড়া প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২২ আগস্ট ২০২৪ | ১১:০৮

বিসিবির নতুন সভাপতি হলেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ফারুক আহমেদ। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কোটায় বিসিবি পরিচালক মনোনীত হন ফারুক ও নাজমুল আবেদীন ফাহিম। গতকাল যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত জরুরি সভায় এ দুই পরিচালককে অন্তর্ভুক্ত করে নেওয়া হয় প্রথমে। পরবর্তী সময়ে নাজমুল হাসান পাপনের শূন্য পদে সভাপতি নির্বাচিত করা হয় ফারুককে। 

বিসিবির একজন কর্মকর্তা জানান, সিইও নিজামউদ্দিনের কাছে ই-মেইলে আগেই পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছিলেন পাপন। গতকাল সভা শুরু হলে পদত্যাগের বিষটি উত্থাপন করা হলে সর্বসম্মতিতে গ্রহণ করা হয়। সরকারের পরামর্শ অনুযায়ী, সভাপতি হিসেবে ফারুকের নাম প্রস্তাব করা হলে সর্বসম্মতিতে নির্বাচিত হন। প্রথমবারের মতো একজন সাবেক ক্রিকেটার বিসিবি সভাপতি নির্বাচিত হলেন। 

পাপন ২০১২ সাল থেকে বোর্ড সভাপতি ছিলেন। প্রথমে অ্যাডহক ভিত্তিতে আ হ ম মুস্তফা কামালের স্থলাভিষিক্ত হন। ২০১৩ সালে হন নির্বাচিত সভাপতি। টানা তিন মেয়াদে নির্বাচিত সভাপতি ছিলেন আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী পাপন। মন্ত্রী হওয়ার পরও বিসিবি সভাপতির পদে বহাল ছিলেন। 

মূলত চাটুকারদের তোষামোদে ক্ষমতার লোভ সামলাতে পারেননি বলে অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে। বিসিবির কোনো সিদ্ধান্তই গণতান্ত্রিক নিয়মে হতো না। শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ হওয়াতে স্বেচ্ছাচারী হয়ে উঠেছিলেন তিনি। তাঁর মতের বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস দেখাননি কেউ। কেবল ফারুক আহমেদ ২০১৬ সালে পাপনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গিয়ে পদত্যাগ করেছিলেন প্রধান নির্বাচকের পদ থেকে। জাতীয় দলের প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের সঙ্গে ঠান্ডা লড়াই ছিল ফারুকের। তিনিই সভাপতিকে দিয়ে জাতীয় দল নির্বাচন ব্যবস্থাকে দুই স্তরে (নির্বাচক প্যানেল ও নির্বাচক কমিটি) বিভাজন করেন। 

ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান আকরাম খান, জাতীয় দলের ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ সুজন ও প্রধান কোচ ছিলেন নির্বাচক কমিটিতে। এই নিয়মের প্রতিবাদ করে পদত্যাগ করেছিলেন ফারুক। বিএনপি সরকারের সময়ে আলী আজগর লবির বোর্ডেও প্রধান নির্বাচক ছিলেন তিনি।   

আরও পড়ুন

×