ঢাকা শুক্রবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪

টাকার অভাবে হচ্ছে না সাবিনাদের ম্যাচ!

টাকার অভাবে হচ্ছে না সাবিনাদের ম্যাচ!

সাফ জয়ী বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। ছবি: ফাইল

ক্রীড়া প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ১৩:৩৫

রোববার সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের বাসায় যান সাবিনা খাতুনসহ কয়েকজন নারী ফুটবলার। সৌজন্য এই সাক্ষাতে নিজেদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া সভাপতির কাছে তুলে ধরেন মেয়েরা। তার মধ্যে একটি হলো নারী ফুটবলারদের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো এবং অন্যটি সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের আগে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ আয়োজনের। 

গত ৩১ আগস্ট চুক্তির মেয়াদ শেষ হলে সেটা বাড়িয়ে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত করেছেন সভাপতি সালাউদ্দিন। কিন্তু সাফ শিরোপা ধরে রাখার অভিযানে নামার আগে যে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার দাবি জানিয়েছিলেন সাবিনারা, আর্থিক অভাবের কথা তুলে ধরে তা নাকচ করে দেন দেশের ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রধান। গতকাল বাফুফে ভবনে এই বিষয়টি উঠলে টাকার অভাবের কথা সামনে আনেন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষার।

১৭-৩০ অক্টোবর নেপালের কাঠমান্ডুতে অনুষ্ঠিত হবে নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ। গ্রুপ ‘এ’তে থাকা বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ ২০ অক্টোবর পাকিস্তানের বিপক্ষে। ২৩ অক্টোবর দ্বিতীয় ম্যাচে প্রতিপক্ষ ভারত। সাফের আগে সাবিনাদের ছয়টি ম্যাচ খেলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বাফুফে সভাপতি সালাউদ্দিন। গত জুনে কিংস অ্যারেনায় চায়নিজ তাইপের বিপক্ষে খেলা দুটি ম্যাচেই হেরেছিল পিটার বাটলারের দল। আর জুলাইয়ে ভুটানের মাটিতে অনুষ্ঠিত দুই ম্যাচে জিতেছিলেন মেয়েরা। সেই অনুযায়ী সাফের আগে আরও দুই ম্যাচ খেলার কথা তাদের। কিন্তু আর্থিক সংকটে সেটা অনিশ্চিত। 

এই অবস্থায় যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও স্পন্সরদের দিকে তাকিয়ে আছে বাফুফে। সোমবার সাধারণ সম্পাদক ইমরানের কথাতেই উঠে আসে এই বিষয়গুলো, ‘ফিফা উইন্ডোর বাইরে আমরা চেষ্টা করছি কোনো ম্যাচ আয়োজন করা যায় কিনা। যদি যায়, ভালো হবে। আমাকে যদি বলতে হয়, তাহলে আর্থিক অবস্থার কথাটাও চিন্তা করতে হবে। কারণ সেপ্টেম্বর-অক্টোবরের মধ্যে আমার ছয়টা টুর্নামেন্ট আছে এবং বছর শেষে আমার কিন্তু ফান্ডিংও শেষ হয়ে আসছে। যদি  সরকার বা অন্য কোনো স্পন্সর প্রতিষ্ঠান এগিয়ে আসে, সেটা আমার জন্য সুবিধা হবে। যদি পৃষ্ঠপোষক পাই, তাহলে আমরা চেষ্টা করব, দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ আয়োজন করার জন্য।’

বাফুফে সাধারণ সম্পাদক যে ছয়টি টুর্নামেন্টের কথা বলেছেন, সেগুলোর পুরো খরচ বহন করে সাফ ও এএফসি। আর নারী ফুটবলের উন্নয়নের জন্য ফিফা আলাদা ফান্ডিং করে থাকে। মাত্র দুটি ম্যাচ আয়োজনের সামর্থ্য ফুটবল ফেডারেশনের নেই, এটা অবশ্যই হাস্যকর। গত বছরও টাকা নেই বলে নারী ফুটবল দলকে মিয়ানমারে পাঠায়নি বাফুফে। সে জন্য যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়কে দোষারোপ করেছিল ফেডারেশন। মিয়ানমার সফরের জন্য অদ্ভুত বাজেট তৈরি করে মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছিলেন দুর্নীতির দায়ে ফিফা কর্তৃক নিষিদ্ধ সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ। যেটা নিয়ে অনেক সমালোচনা হয়েছিল।

whatsapp follow image

আরও পড়ুন

×