ঢাকা মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

বিতর্কিত সেই রুপুই ফিরলেন আবাহনীর ম্যানেজার পদে

বিতর্কিত সেই রুপুই ফিরলেন আবাহনীর ম্যানেজার পদে

আবাহনীর ম্যানেজার রুপু। ছবি: ফাইল

ক্রীড়া প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ১৫:০৩

পেশাদার ক্লাব আবাহনীতে নিজের সন্তান অপেশাদার ফুটবলার তন্ময় দাসকে খেলানোর অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে। ম্যানেজার পদে থাকলেও দল গঠনে কোচিং স্টাফকে সত্যজিৎ দাস রুপু তোয়াক্কা করতেন না বলে ফুটবলপাড়ায় গুঞ্জন ছিল। বিভিন্ন সময়ে সংবাদমাধ্যমে নেতিবাচক খবরও প্রচার হয়েছিল। যে কারণে গত মৌসুমে আবাহনীর ফুটবল দলের ম্যানেজার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় রুপুকে। তাঁর জায়গায় দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল সাবেক ফুটবলার নজরুল ইসলামকে। কিন্তু এক মৌসুম পর বিতর্কিত সেই রুপুকে আবারও ম্যানেজার পদে ফেরাল আবাহনী ক্লাব কর্তৃপক্ষ। এটা নিয়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা।

প্রিমিয়ার ফুটবল লিগে সর্বশেষ ছয় মৌসুম ট্রফি শূন্য আবাহনী। বসুন্ধরা কিংসের সঙ্গে টেক্কা দিয়ে টিকতে না পারা ক্লাবটি গত মৌসুমে বেক্সিমকো গ্রুপ থেকে একজন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়। ধানমন্ডিপাড়ার ক্লাবটিতে পরিবর্তনের হাওয়া বইতে থাকে। দল সাফল্য না পেলেও সত্যজিৎ দাস রুপুকে ম্যানেজার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার বিষয়টি ইতিবাচক হিসেবেই নিয়েছিলেন আবাহনীর সমর্থকরা। কিন্তু গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর বেকায়দায় পড়তে হয়েছে ক্লাবটির ঊর্ধ্বতন পরিচালকদের। 

বেক্সিমো থেকে ক্লাবটির ক্ষমতা চলে গেছে অন্যদিকে। কয়েকটি সূত্রের খবর অনুযায়ী, আবাহনীর অন্যতম পরিচালক কাজী নাবিল আহমেদের পরিবারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রুপুর। বর্তমানে ক্লাবটি দেখভাল করছেন কাজী নাবিলের ছোট ভাই কাজী ইনাম আহমেদ। তাঁর চাওয়াতেই নাকি নজরুলকে সরিয়ে ম্যানেজারের চেয়ারে বসানো হয়েছে রুপুকে।

এক মৌসুম পর আবারও আবাহনীর ম্যানেজার পদে ফেরার বিষয়টি গতকাল সমকালের কাছে স্বীকার করেছেন সত্যজিত দাস রুপু। অতীতের বিভিন্ন সমালোচনা প্রসঙ্গে তাঁর উত্তর ছিল এমন, ‘যারা আমাকে নিয়ে অতীতে সমালোচনা করেছেন এবং নেতিবাচক প্রশ্ন তুলেছেন, না জেনেই তারা তা করেছেন। ফুটবল আমার রক্তে-মাংসে মিশে আছে। আমি আগেও নিষ্ঠা ও সততার সঙ্গে কাজ করেছি এবং ভবিষ্যতেও করব। কারও কথার প্রতিবাদ করিনি এবং করবও না। আবাহনীকে এক সুতায় গেঁথে মাঠ পর্যন্ত নিয়ে যাওয়াই হলো আমার কাজ।’

আরও পড়ুন

×