পাঁচ তারকার বাকি রইল কে

ছবি- সংগৃহীত
সুমন মেহেদী
প্রকাশ: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ১৩:১১ | আপডেট: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ১৩:২০
নড়াইল-মাগুরা-বগুড়া এক্সপ্রেস এক টার্মিনালে ভিড়েছিল। বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের ছায়ায় মাশরাফি বিন মুর্তজা, সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ‘পঞ্চপাণ্ডব’ হয়ে উঠেছিলেন। যারা কাঁধে কাঁধ রেখে একসঙ্গে লড়েছেন, বিপদে দলের হাল ধরে ম্যাচ জিতিয়েছেন। কিন্তু একে একে অপ্রত্যাশিত সমাপ্তি লেখা হচ্ছে তাদের। যে যাত্রায় বৃহস্পতিবার বিদায়ের বাজনা বাজিয়েছেন সাকিল আল হাসান। হারাধনের ছেলেদের মতো বাকি রইলেন দুই পাণ্ডব– মুশফিক ও রিয়াদ।
বৃহস্পতিবার কানপুর টেস্টের আগে সাকিব জানিয়ে দিয়েছেন, টি২০ থেকে তিনি অবসরে চলে গেছেন। সুযোগ হলে অক্টোবরে মিরপুরে শেষ টেস্ট খেলবেন। ওই শেষে মিশে আছে অনিশ্চয়তা। সব ঠিক থাকলে ফেব্রুয়ারির চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি দিয়ে ক্যারিয়ার শেষ হবে বাংলাদেশের সেরা ক্রিকেট তারকার। সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি ২০০১ সালে জাতীয় দলে ঢোকেন। ২০০৬ ও ২০০৭-এর দিকে একে একে এসেছেন মুশফিক, সাকিব, তামিম ও রিয়াদ। তারা দীর্ঘদিন একসঙ্গে খেলেছেন ঠিক, কিন্তু সমাপ্তি নিজ ইচ্ছায় ও প্রত্যাশা মতো হয়নি।
দেশসেরা অধিনায়ক খ্যাত মাশরাফি মাঠ থেকে অবসর নিতে পারেননি। ২০১৯ বিশ্বকাপের পর নতুন কোচ রাসেল ডমিঙ্গো কফির দাওয়াত দিলেও আলোচনার দিনক্ষণ আর মেলেনি। ‘অটো রিটায়ার্ড’ হয়ে গেছেন তিনি। তামিম ইকবালের ভারতে গত বছরের বিশ্বকাপে নেতৃত্ব দেওয়ার কথা ছিল। অথচ বিশ্বকাপের ঠিক আগে কান্নায় দিয়েছেন ‘বিদায় ভাষণ’। অবসর ভাঙার ঘোষণা দিলেও আর মাঠে ফেরা হয়নি তাঁর।
পাণ্ডবের যে দু’জন টিকে আছেন, তাদেরও ক্যারিয়ার খয়ে গেছে। মিশে আছে চাপা কষ্ট। টেস্ট থেকে বাদ পড়েছিলেন রিয়াদ। ২০২১ সালে জিম্বাবুয়ে সিরিজে কামব্যাক করে ১৫০ রানের ইনিংস খেলে অবসরের ঘোষণা দেন তিনি। পরে বাদ পড়ে যান ওয়ানডে ও টি২০ থেকে। সেখানেও কামব্যাক করেছেন। ২০২৩-এ ওয়ানডে ও ২০২৪-এ টি২০ বিশ্বকাপ খেলেছেন। কতদিন এই ক্যারিয়ার টেনে নিতে পারবেন তিনিই জানেন। তাঁর মতো, টি২০তে মন খারাপের সমাপ্তি টেনেছেন মুশফিকুর রহিম। দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসেবে খেলে যাচ্ছেন টেস্ট ও ওয়ানডে। তবে ৩৯ বছরের রিয়াদ ও ৩৮ বছরের মুশফিকও আছেন ‘শেষের কবিতা’র পথে। শেষটা শুধু তামিমের মতো বিষাদে ও সাকিবের মতো দুশ্চিন্তার পাহাড় মাথায় নিয়ে না হলেই হয়।