ঢাকা বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪

দাবা ফেডারেশনের কাছে ১৮ হাজার ইউরো পায় ফিদে

দাবা ফেডারেশনের কাছে ১৮ হাজার ইউরো পায় ফিদে

ছবি- সংগৃহীত

ক্রীড়া প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৭ নভেম্বর ২০২৪ | ১১:১৫

দাবায় গত ১৮ বছর নতুন কোনো গ্র্যান্ডমাস্টার তৈরি হয়নি। ফেডারেশনে অনেক ফান্ড থাকলেও সেগুলো সঠিকভাবে কাজে লাগানো হয়নি। এ নিয়ে অনেক সমালোচনা হয়েছিল। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন টুর্নামেন্ট ও আনুষঙ্গিক বাবদ আন্তর্জাতিক দাবা সংস্থাকে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ দিতে হয়। কিন্তু ২০২১ সাল থেকে এই বছরের জুন পর্যন্ত ফিদের কোনো পাওনা পরিশোধ করেনি বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনের সর্বশেষ কমিটি। 

সেই কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন সৈয়দ শাহাবুদ্দিন শামীম। আর নিয়মিতভাবে ঘরোয়া প্রতিযোগিতা আয়োজন করতে পারেননি তিনি। আর্থিক সংকটের কথা বলে বিশ্ব দাবা সংস্থার অর্থ পরিশোধ না করায় বর্তমানে দাবা ফেডারেশনের দেনার পরিমাণ হয়েছে অনেক। ফেডারেশন সূত্রে জানা গেছে, গত তিন বছর ফিদের পাওনা দেওয়া হয়নি। তাই দেনা বাড়তে বাড়তে তা গিয়ে ঠেকেছে ১৮ হাজার ইউরো। নতুন অ্যাডহক কমিটিকে এখন দেনার বোঝা বহন করতে হবে।

দাবা ফেডারেশনের সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ অ্যাডহক কমিটি গঠনের আগেই ৪২টি ফেডারেশনের সভাপতিকে অপসারণ করেছিল। নানা কারণে গত কয়েক বছর ধরেই দাবা থেকে দূরে ছিলেন বেনজীর। আর্থিক সমস্যার জন্য ফেডারেশনের সাবেক এক কর্মকর্তা বেনজীর আহমেদের না থাকাটা সামনে এনেছেন। 

তিন বছর ধরে দাবা ফেডারেশন আর্থিক সমস্যায় ভুগছে বলে গতকাল সমকালকে জানান আন্তর্জাতিক আরবিটার হারুন অর রশিদ, ‘আমরা গত তিন বছর ধরে ফিদেকে টাকা দিতে পারেনি। আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ, খেলোয়াড় সংখ্যা, বাৎসরকি ফি বাবদ এই অর্থ ১৮ হাজার ইউরোর মতো। আসলে ফেডারেশনে ফান্ড না থাকাতেই অর্থগুলো দেওয়া সম্ভব হয়নি।’

জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের ঘোষিত নতুন অ্যাডহক কমিটিতে বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পেয়েছেন ফিদে মাস্টার ড. তৈয়বুর রহমান সুমন। দাবা ফেডারেশনের এই বকেয়া নিয়ে খুবই হতাশ তিনি, ‘যেখানে শূন্য থেকে শুরু করার কথা। সেখানে আমাদের মাইনাস থেকে শুরু করতে হবে। আমি যেহেতু দাবা খেলোয়াড়, তাই কোথায় কী করতে হবে, সেটা আমার ভালো করেই জানা। কোথায় ইনভেস্টমেন্ট করতে হবে, তা জানি। কিন্তু বড় চ্যালেঞ্জে পড়তে হবে ফান্ড ম্যানেজ করতে। এখনই ফিদে আমাদের কাছে ১৮ হাজার ইউরো পায়। সেটা পরিশোধ করার একটা চাপ। তিন-চার বছর আগে ফেডারেশনে অনেক টাকা এসেছে, তারা তা ঠিকমতো ব্যবহার করতে পারেনি। আমি দায়িত্ব বুঝে নিলে অর্থ স্বচ্ছভাবে ব্যবহার করব।’

whatsapp follow image

আরও পড়ুন

×