ফাইনাল উঠেও রংপুর রাইডার্সের খেলা অনিশ্চিত

গ্লোবাল সুপার লিগের ফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ থেকে প্রতিনিধিত্ব করতে যাওয়া রংপুর রাইডার্স। বৃহস্পতিবার পাকিস্তান সুপার লিগের দল লাহোর কালার্ন্দাসকে বৃষ্টি আইনে হারিয়েছেন সৌম্য সরকার, নুরুল হাসানরা। কিন্তু স্থানীয় ক্রিকেটার সংকটে রংপুরের ফাইনালে খেলা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। 

গ্লোবাল সুপার লিগে রংপুর রাইডার্সে আছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের ওয়ানডে দলে থাকা সৌম্য সরকার, আফিফ হোসেন, রিশাদ হোসেন। রোববার থেকে সেন্ট কিটসে শুরু হচ্ছে ওয়ানডে সিরিজ। যে কারণে বোর্ড থেকে ওই তিন ক্রিকেটারকে ছেড়ে দিতে বলা হয়েছে। তাদের বোর্ড থেকে কেবল গ্রুপ পর্ব পর্যন্ত অর্থাৎ ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত ছুটি দেওয়া হয়েছিল। 

অন্য দিকে গায়ানায় শনিবার সকাল ৫টায় ভিক্টোরিয়ার বিপক্ষে সুপার লিগের ফাইনাল খেলবে রংপুর। সৌম্য-আফিফরা জাতীয় দলে যোগ দিলে খেলোয়াড় সংকটে ফাইনাল খেলা হবে না রংপুরের। কারণ টুর্নামেন্টে অন্তত ৭ জন দেশীয় ক্রিকেটার খেলানোর নিয়ম করা হয়েছে। 

কোন সমাধানে আসতে না পারলে তাই রংপুর রাইডার্সকে ফাইনাল থেকে নাম প্রত্যাহার করার মতো সিদ্ধান্ত নিতে হবে। বিষয়টি নিয়ে রংপুর রাইডার্স একটি বিবৃতিতে বলেছে, ‘বোর্ড যদি তাদের সিদ্ধান্তে অটল থাকে তাহলে রংপুরকে ফাইনাল না খেলে মাঠ ছাড়তে হবে। বিশ্ব পর্যায়ে যা বাংলাদেশের সুনাম ক্ষুন্ন করবে। কারণ ক্রিকেটে কোন টুর্নামেন্টের ফাইনালে এমন ঘটনা বিরল। গ্লোবাল সুপার লিগে তো রংপুর একা প্রতিনিধিত্ব করছে না, বাংলাদেশকেও প্রতিনিধিত্ব করছে।’ 

এখন বোর্ড কী সিদ্ধান্ত নেয় তা দেখার অপেক্ষা। তবে তিন খেলোয়াড়কে ছেড়ে দেওয়ার মতো বিলাসিতার সুযোগ নেই বোর্ডের। কারণ বাংলাদেশ দলও ইনজুরি জর্জরিত। মুশফিক, শান্ত ও হৃদয় ইনজুরির কারণে দলে নেই। সৌম্য-রিশাদদের তাই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে একাদশে থাকার সম্ভাবনা জোরালো। ফাইনাল খেলতে হলে রংপুর রাইডার্সের এই তিন ক্রিকেটারের অন্তত একজনকে দরকার। তাদের দলে মোট স্থানীয় ৯ জন ক্রিকেটার আছেন। সর্বশেষ ম্যাচে বেঞ্চে ছিলেন সাইফউদ্দিন ও আরাফাত সানি।     

ফাইনাল নির্ধারণী ম্যাচে ৯ ওভারে রংপুর ১ উইকেট হারিয়ে ৮৫ রান করে। স্টিফেন টেইলর ৩২ রান করেন। সৌম্য ১৩ বলে ২২ ও সাইফ ১৪ বলে ২৭ রান করেন। লাহোরকে ৯ ওভারে ১১১ রানের লক্ষ্য দেওয়া হয়। তারা ৯ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ৮৭ রান করে।