বরিশালকে হারিয়ে রংপুরকে হটিয়ে কোয়ালিফায়ারে চট্টগ্রাম

বরিশালের উইকেট উদযাপন।
ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ২২:২২ | আপডেট: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ২২:২৭
বিপিএলের গ্রুপ পর্বের শেষ দিনও ছিল সমীকরণের নানা যোগ-বিয়োগ। জিতলে সুপার ফোর, হারলে বিদায় নিতে হত খুলনা টাইগার্সের। শেষ চারের সমীকরণ মিলিয়ে ফেলেছে তারা। চট্টগ্রাম কিংসের সামনে ছিল রংপুর রাইডার্সকে হটিয়ে কোয়ালিফায়ার নিশ্চিত করার চ্যালেঞ্জ।
টুর্নামেন্টের শেষ ম্যাচে সেজন্য টুর্নামেন্টের সেরা দল ফরচুন বরিশালকে হারাতো হতো চট্টগ্রামের। ওই সমীকরণও মিলিয়ে ফেলেছে মোহাম্মদ মিঠুনদের দল। তামিম ইকবালের দলকে ২৪ রানে হারিয়ে কোয়ালিফায়ার নিশ্চিত করেছে তারা। আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি ফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে এই বরিশালের মুখোমুখি হবে চট্টগ্রাম কিংস। টানা ৮ জয় পাওয়া রংপুর রাইডার্সকে খেলতে হবে এলিমিনেটর। ৩ ফেব্রুয়ারি খুলনার মুখোমুখি হবে তারা।
বরিশাল ১২ ম্যাচের ৯টিতে জিতে সবার ওপরে থেকে কোয়ালিফায়ার নিশ্চিত করেছে। চট্টগ্রাম ও রংপুর ৮টি করে ম্যাচ জিতে ১৬ পয়েন্ট তুলেছে। তবে চট্টগ্রামের নেট রান রেট +১.৩৯৫। রংপুরের নেট রান রেট +০.৫৯৬। একইভাবে খুলনা ও রাজশাহী ৬টি করে ম্যাচ জিতেছে। তবে রাজশাহীর (-১.০৩) নেট রান রেটের চেয়ে খুলনার (+০.১৮৪) নেট রান রেট বেশি। যে কারণে শেষ চারে পা রেখেছে তারা।
শনিবার মিরপুর স্টেডিয়ামে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে পারভেজ হোসেন ইমন, হায়দার আলী ও শামীম পাটোয়ারির ব্যাটে ৪ উইকেটে ২০৬ রান করে চট্টগ্রাম। দারুণ এক ফিফটি করেন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে থাকা চট্টগ্রামে ওপেনার পারভেজ ইমন।
চট্টগ্রাম ৬.৫ ওভারে ৫৮ রানের জুটি গড়েন। পাকিস্তানি তরুণ ব্যাটার খাজা নাফি ১৯ বলে ২২ রান করে ফিরে যান। এরপর পারভেজ ইমন ও গ্রাহাম ক্লার্ক ৭০ রানের জুটি গড়েন। ক্লার্ক ফিরে যান ২১ বলে ৩৬ রান করে। দুটি ছক্কা ও একটি চার মারেন তিনি।
ইমন খেলেন ৪১ বলে ৭৫ রানের ইনিংস। তার ব্যাট থেকে আটটি ছক্কার শট আসে। তিনি চার মারেন মাত্র একটি। শেষে হায়দার ও শামীম ঝড়ো ব্যাটিং করে দলের রান দুইশ’র ওপরে নিয়ে যান। পাকিস্তানি মিডল অর্ডার ব্যাটার হায়দার ২৩ বলে ৪২ রান করেন। তিনটি করে চার ও ছক্কা মারেন। শামীম ১২ বলে ৩০ রান করেন। তিনটি চারের সঙ্গে দুটি ছক্কা হাঁকান।
জবাব ৭ উইকেটে ১৮২ রান করতে পারে বরিশাল। ক্রিজে নেমে শূন্য করে ফিরে যান বরিশাল ওপেনার তামিম। তাওহীদ হৃদয় ৯ রানে সাজঘরে ফিরলে ১৩ রানে ২ উইকেট হারায় গেল আসরের চ্যাম্পিয়নরা। সেখান থেকে ডেভিড মালান ও মুশফিকের ব্যাটে ধাক্কা সামলে নেয় বরিশাল। মুশফিক ২২ বলে ২৪ রান করে ফিরে যান।
পরে ডেভিড মালান ও মাহমুদউল্লাহর ব্যাটে জয়ের আশা বেঁচে ছিল বরিশালের। কিন্তু ১৪তম ওভারের শেষ বলে দলের ১২২ রানে আউট হন মালান। ইংলিশ ব্যাটার ৩৫ বলে ৬৭ রান করেন। ছয়টি ছক্কা ও পাঁচটি চারের শট খেলেন তিনি। রিয়াদ শেষ পর্যন্ত খেলে ২৬ বলে ৪১ রান যোগ করতে পারেন।
- বিষয় :
- বিপিএল
- ফরচুন বরিশাল