ডিএসইর লেনদেন তিনশ কোটি টাকার ঘরে
.
সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২১ নভেম্বর ২০২৩ | ২১:৩৭
ঢাকার শেয়ারবাজারে লেনদেন আবারও ৩০০ কোটি টাকার ঘরে নেমেছে। কয়েক সপ্তাহ ধরে মন্দ, রুগ্ণ, বন্ধ কোম্পানির শেয়ারের দর বাড়ছে। লেনদেনও নির্দিষ্ট কিছু শেয়ারে আবদ্ধ হয়ে গেছে। গতকাল মঙ্গলবার এ বাজারের ৩০৭ কোম্পানির ৩৪৫ কোটি টাকার শেয়ার কেনাবেচা হলেও শুধু ফু-ওয়াং সিরামিক কোম্পানিরই ৪৫ কোটি টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সাড়ে ১৭ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয় ফু-ওয়াং ফুডসের।
পর্যালোচনায় দেখা গেছে, গতকাল লেনদেনের শীর্ষে থাকা ২০ কোম্পানির মোট ২০৬ কোটি ৪৩ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়, যা মোট লেনদেনের প্রায় ৬০ শতাংশ। অর্থাৎ লেনদেনে আসা বাকি ২৮৭ কোম্পানির ১৩৯ কোটি টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে। আর ক্রেতার অভাবে ৮৫ কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের কোনো কেনাবেচাই হয়নি। এ তালিকায় স্কয়ার ফার্মা ছাড়া ভালো মৌলভিত্তির শেয়ার ছিল না। স্কয়ার ফার্মার ৫ কোটি ৩১ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হলেও ফ্লোর প্রাইসে পড়ে থাকা এ কোম্পানির ৫ কোটি ১০ লাখ টাকার শেয়ারই ব্লক মার্কেটে কেনাবেচা হয়েছে।
গত সোমবারও ডিএসইর লেনদেনের চিত্র ছিল একই রকম। ওই দিন ৪৪২ কোটি টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়। এর মধ্যে রুগ্ণ সিএনএ টেক্সটাইলেরই ৫১ কোটি টাকার লেনদেন ছিল। আধা শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণার পর কোম্পানিটির দর ফ্লোর প্রাইস ছেড়ে ওপরে উঠে আসে। অবশ্য লেনদেন শেষে ফের ফ্লোর প্রাইসেই নামে।
বিভিন্ন ব্রোকারেজ হাউসের কর্মকর্তারা জানান, বাজারে এখন নামমাত্র লভ্যাংশ দেওয়া শেয়ারগুলোরই জয়জয়কার। গত রোববার ফু-ওয়াং সিরামিক কোম্পানি ২ শতাংশ লভ্যাংশ দেওয়ার পর এক দিনেই ২৩ শতাংশ দর বাড়ে। সোমবার সামান্য দর কমে। কিন্তু গতকাল ফের সাড়ে ৭ শতাংশ দর বেড়ে ২৩ টাকা ১০ পয়সায় উঠেছে।
পর্যালোচনায় দেখা গেছে, গতকাল মোট আট কোম্পানির শেয়ারের দর ৫ থেকে ১০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। এগুলো হলো– খুলনা প্রিন্টিং, সেন্ট্রাল ফার্মা, বিডি থাই অ্যালুমিনিয়াম, জুট স্পিনার্স, সোনালী আঁশ, ফু-ওয়াং সিরামিক, ঢাকা ডাইং এবং আজিজ পাইপস। এর মধ্যে সোনালী আঁশ ছাড়া সবগুলোই রুগ্ণ বা লোকসানি কোম্পানি। প্রথম দুটির ব্যবসা কার্যক্রম বন্ধ। আর মুনাফার দিকে এগিয়ে থাকা সোনালী আঁশ স্বল্প মূলধনি কোম্পানি, যার পরিশোধিত মূলধন সাড়ে ৫ কোটি টাকারও কম।
সার্বিক হিসাবে ডিএসইতে গতকাল ৩৮ কোম্পানির শেয়ারের দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৯৭টির দর কমেছে। অপরিবর্তিত ছিল ১৭২টির দর। আরামিট লিমিটেডের শেয়ার ফ্লোর প্রাইস ছেড়ে সামান্য দর বাড়লেও বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স, তাকাফুল ইন্স্যুরেন্স, জেনারেশন নেক্সট, আমরা টেকনোলজিস এবং এপেক্স ফুটওয়্যারের শেয়ার ফের ফ্লোর প্রাইসে নেমেছে।