
বৃহস্পতিবার প্রধান শেয়ারবাজার ডিএসইতে মোট ৩৪৫ কোম্পানির শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৮২টির, কমেছে ৯৭টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ১৬৬টির দর। ক্রেতার অভাবে ৪৭ শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড কেনাবেচা হয়নি।
তুলনামূলক বেশি শেয়ারের দর কমলেও প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স প্রায় ১৪ পয়েন্ট বেড়ে ৬৩৫২ পয়েন্ট ছাড়িয়েছে। সূচক বৃদ্ধিতে বেশি অবদান রেখেছে অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ, ডেল্টা লাইফ, এমারেল্ড অয়েল, ফারইস্ট লাইফ, প্রগ্রেসিভ লাইফ, রূপালী লাইফ এবং জেএমআই হসপিটাল রিক্যুইজিট কোম্পানির দর। এই সাত শেয়ারই সাকল্যে ১১ পয়েন্টের বেশি যোগ করেছে।
পর্যালোচনায় দেখা গেছে, বীমা খাতের তালিকাভুক্ত ৫৭ কোম্পানির মধ্যে ৫৬টির কেনাবেচা হয়েছে। এর মধ্যে ২৩টির দর বেড়েছে, কমেছে ৪০টির এবং বাকি তিনটির দর ছিল অপরিবর্তিত। দর বৃদ্ধি পাওয়া ২৩ বীমা কোম্পানির মধ্যে জীবন বীমা খাতের কোম্পানিই ১৫টি।
পর্যালোচনায় আরও দেখা গেছে, গতকাল জীবন বীমা খাতের ১৫ কোম্পানির সবগুলোরই দর বেড়েছে। গড়ে এসব শেয়ারের দরবৃদ্ধির হার ছিল ৭ দশমিক ৩২ শতাংশ। ডিএসইতে দরবৃদ্ধির তালিকার শীর্ষ ১০ শেয়ারের মধ্যে ছয়টিই ছিল জীবন বীমা কোম্পানি। এগুলো হলো– প্রগ্রেসিভ লাইফ, সোনালী লাইফ, চার্টার্ড লাইফ, ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ, ফারইস্ট লাইফ এবং ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স। এসব শেয়ারের দর প্রায় ১০ শতাংশ হারে বেড়েছে।
অন্যদিকে সাধারণ বীমা খাতের অধিকাংশ কোম্পানির দর কমলেও সোনারবাংলা ইন্স্যুরেন্সের ৪ শতাংশ বেড়েছে। বিপরীতে ক্রিস্টাল, ঢাকা, প্যারামাউন্ট, ইসলামিক কমার্শিয়াল এবং এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্সের দর সোয়া ৪ থেকে সোয়া ৫ শতাংশ পর্যন্ত কমেছে। দিনের লেনদেন শেষে ফ্লোর প্রাইসে পড়ে থাকা শেয়ার তিনটি বেড়ে ২১৫টিতে উন্নীত হয়েছে। ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স, এমজেএল বাংলাদেশ এবং ন্যাশনাল পলিমার ফ্লোর প্রাইস ছেড়েছে। বিপরীতে সাউথইস্ট ব্যাংক, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স, স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্স, পদ্মা অয়েল, কেঅ্যান্ডকিউ এবং পিএফ প্রথম মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার ফ্লোর প্রাইস থেকে বের হয়েছে।
শেয়ার লেনদেনের পরিমাণ গতকাল ফের হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। ডিএসইতে প্রায় ১ হাজার ৬৪ কোটি টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়, যা বুধবারের তুলনায় প্রায় ২৮১ কোটি টাকা বেশি। এদিন সিমেন্ট, বিবিধ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং মিউচুয়াল ফান্ড ছাড়া বাকি সব খাতের শেয়ার লেনদেন কম-বেশি বেড়েছে।
মন্তব্য করুন