- শেয়ারবাজার
- টানা ১০ দিন লেনদেনের শীর্ষে রুগ্ণ কোম্পানি
টানা ১০ দিন লেনদেনের শীর্ষে রুগ্ণ কোম্পানি

স্বাভাবিক দরবৃদ্ধি ও লেনদেনের শীর্ষ অবস্থানে থাকা রুগ্ণ কোম্পানি ফু-ওয়াং ফুডসের শেয়ার নিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনায় সরব শেয়ারবাজার। এতে শেয়ারদরে কিছুটা লাগামও পড়েছে। তবে লেনদেনে এখনও শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে। গতকাল সোমবার পর্যন্ত টানা ১০ দিন প্রধান শেয়ারবাজার ডিএসইর লেনদেন তালিকায় রয়েছে এ কোম্পানি।
রুগ্ণ এ কোম্পানির ব্যবস্থাপনায় এখন আলোচিত জাপান প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ী মিয়া মামুনের কোম্পানি মিনোরি বাংলাদেশ। মালিকানায় বদল এনে তালিকাভুক্ত রুগ্ণ কোম্পানিগুলোকে ব্যবসায় পুনরুজ্জীবিত করার অংশ হিসেবে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির প্রস্তাবে সায় দিয়ে গত বছর কোম্পানিটির দায়িত্ব নিয়েছিল মিনোরি বাংলাদেশ। সাবেক এমডি আরিফ আহমেদ চৌধুরীসহ তাঁর পরিবার সদস্যদের শেয়ার ক্রয় এবং নতুন করে ২০ কোটি টাকা বিনিয়োগে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির শর্তে মিনোরি বাংলাদেশ ফু-ওয়াং ফুডের পর্ষদ ও ব্যবস্থাপনার এসেছে।
মালিকানা বদলের আগেই এ-সংক্রান্ত খবরে ২০২১ সালের নভেম্বর থেকে ২০২২ সালের জানুয়ারির মধ্যে ১৪ টাকার শেয়ার প্রায় দ্বিগুণ হয়েছিল। তবে গত বছরের জুলাই শেষে সব শেয়ারের দরে ফ্লোর প্রাইস আরোপের পর গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে গত জুনের শেষ পর্যন্ত ফ্লোর প্রাইসেই আটকে ছিল। সর্বশেষ জুলাই মাসে হঠাৎ ব্যাপক উত্থান হয়। ওই মাসের প্রথম দুই সপ্তাহে দ্বিগুণ বেড়ে ৪৬ টাকা ৯০ পয়সায় উঠেছিল। এর পর দরপতনে ফের শেয়ারটির দর ২৫ টাকায় নামলেও আবারও দর ৪৪ টাকা ছাড়িয়েছিল।
ফু-ওয়াং ফুডের শেয়ারদরে ব্যাপক উত্থান হলেও এখনও এর মুনাফায় উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তন নেই। ৩০ জুন ২০২২ সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ছিল মাত্র ১৪ পয়সা। সামান্য এ মুনাফা থেকে গত বছর কোনো লভ্যাংশ দেয়নি। কিন্তু গত বছরের ডিসেম্বরে সমাপ্ত অর্ধবার্ষিক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আধা শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। যদিও ওই সময় পর্যন্ত মাত্র ১০ পয়সা হারে মুনাফা করেছিল এ কোম্পানি। গত মার্চ পর্যন্ত হিসাব বছরের প্রথম ৯ মাসে শেয়ার প্রতি ১১ পয়সা মুনাফা হয়েছে।
এ নিয়ে একাধিক গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশের পর গত রোববার শেয়ারটির দরে বড় পতন হয়েছিল। কিন্তু গতকাল ১০ পয়সা দর বেড়ে ৩৭ টাকা ৫০ পয়সায় উঠেছে। কেনাবেচা হওয়া শেয়ারের মূল্য ছিল পৌনে ৩৮ কোটি টাকা।
ডিএসইতে গতকাল ৪৪৬ কোটি টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়, যা আগের দিনের তুলনায় প্রায় ৯০ কোটি টাকা কম। গত সপ্তাহের শেষ দুই দিনে প্রতিদিনই ৭০০ কোটি টাকার বেশি মূল্যের শেয়ার কেনাবেচা হয়েছিল। লেনদেনের সঙ্গে গতকাল বেশির ভাগ শেয়ারদরও কমেছে। লেনদেন হওয়া ৩০০ শেয়ারের মধ্যে ৬৭টির দর বেড়েছে, কমেছে ৮১টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ১৫২টির দর।
মন্তব্য করুন