ঢাকা বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪

পুঁজিবাজার পড়ছেই, সব তদারক সংস্থা নিশ্চুপ-নির্লিপ্ত

পুঁজিবাজার পড়ছেই, সব তদারক সংস্থা নিশ্চুপ-নির্লিপ্ত

ফাইল ছবি

আনোয়ার ইব্রাহীম

প্রকাশ: ২৭ অক্টোবর ২০২৪ | ০৪:৫৯ | আপডেট: ২৭ অক্টোবর ২০২৪ | ১২:৩৪

গণঅভ্যুত্থানে সরকার পতন হলেও ৬ আগস্ট থেকে টানা চার কর্মদিবস পুঁজিবাজারে হয়নি শেয়ারের দর পতন। উল্টো ঊর্ধ্বমুখী ছিল শেয়ারদর। বিনিয়োগকারীও বসেছিলেন নড়চড়ে। এর পর সেই পুরোনো গল্প! পতনের ধারা, যা থামার নামগন্ধ নেই। গেল আড়াই মাসে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৯৫ শতাংশ কোম্পানির শেয়ারই হারিয়েছে দর। দিনের পর দিন পুঁজি হারিয়ে বিনিয়োগকারীরা চোখে দেখছেন আঁধার; ক্ষোভে ফুঁসছেন। অথচ স্টক এক্সচেঞ্জ, নিয়ন্ত্রক সংস্থাসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বশীলরা কুম্ভকর্ণের ঘুমে! তাদের এমন নির্লিপ্ত আচরণে বোঝার উপায় নেই, গভীর সংকটের গ্যাঁড়াকলে পড়েছে শেয়ারবাজার।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশের পুঁজিবাজার মানেই দর পতনের ইতিহাস। তবে যখন রাষ্ট্র ব্যবস্থায় সংস্কার চলছে, অর্থনৈতিক সংকট কাটিয়ে ওঠার আভাস মিলছে, তখন এমন দর পতন মেনে নেওয়া যায় না। অর্থনীতির বড় সংকটের মধ্যে থেকেও সরকার ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার সহায়তায় শ্রীলঙ্কার শেয়ারবাজার ঘুরে দাঁড়িয়েছে। পাকিস্তানের পুঁজিবাজার উঠেছে রেকর্ড উচ্চতায়। অথচ দেশের শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীরা পুঁজি রক্ষায় প্রতিদিন করছেন হাপিত্যেশ।

প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাম্প্রতিক সময়ের লেনদেন বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ১২ আগস্ট থেকে গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত আড়াই মাসে তালিকাভুক্ত ৩৬০ কোম্পানির শেয়ার ও ৩৭ মেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে ৩৭৮টি দর হারিয়েছে। এর মধ্যে ২০ থেকে ৭০ শতাংশ দর হারিয়েছে ২৭১ শেয়ার। গত এক বছরের সর্বনিম্ন দরে বা এর চেয়ে সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ ওপরে অবস্থান করা শেয়ার সংখ্যা বেড়ে ১৮৬টিতে উন্নীত হয়েছে। এসব শেয়ার যে কোনো দিন বছরের সর্বনিম্ন দরে নেমে আসতে পারে। শেয়ারের এমন পতনের চিহ্ন রয়েছে মূল্যসূচকে। ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স গত আড়াই মাসে ৯০১ পয়েন্ট হারিয়ে ৬০১৫ থেকে ৫১১৪ পয়েন্টে নেমেছে। সূচক পতনের হার ১৫ শতাংশ। গত ৫০ কর্মদিবসের মধ্যে ১৮ দিন সূচক বেড়েছিল ৭২৩ পয়েন্ট। বাকি ৩২ দিনে ১ হাজার ৬২৪ পয়েন্ট খুইয়েছে।

অথচ সরকার বদলের খবরে সুদিনের আশায় বিনিয়োগকারীরা বড় মূলধন নিয়ে নেমেছিলেন। গত ৮ আগস্ট ড. ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পরের কর্মদিবস ১১ আগস্ট ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ মিলে ২ হাজার ৬৫ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়। এর আড়াই মাস পর গত বৃহস্পতিবার দুই বাজার মিলে মাত্র ৩১২ কোটি টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে। দর পতনের হাল এমনই, বিনিয়োগকারীরা দলে দলে লোকসানে শেয়ার বিক্রি করে বাজার ছাড়ছেন। এ অবস্থায় দর পতন পরিস্থিতি সামাল তো নয়ই, সান্ত্বনা দেওয়ার জন্যও বিনিয়োগকারীর পাশে কেউ নেই।

বিনিয়োগকারীর ইলেকট্রনিক শেয়ারধারণকারী জাতীয় প্রতিষ্ঠান সিডিবিএলের তথ্য অনুযায়ী, ১ সেপ্টেম্বর থেকে গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বিনিয়োগের জন্য নতুন ৯ হাজার ৭৪৬টি বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও অ্যাকাউন্ট) খোলা হয়েছে। দর পতনের ধারা দেখে বিও অ্যাকাউন্ট খুলেও এখন পর্যন্ত ২ হাজার ৭৫টি অ্যাকাউন্টে বিনিয়োগকারী কোনো শেয়ারই কেনেননি। এ ছাড়া গত আট সপ্তাহে সম্পূর্ণ খালি হওয়া বিও অ্যাকাউন্টের সংখ্যা ১৬ হাজার ৪৩টি বেড়ে ৩ লাখ ২৫ হাজার ৪৭৭টিতে উন্নীত হয়। সম্প্রতি খোলার পর অব্যবহৃত পড়ে থাকা দুই হাজার অ্যাকাউন্ট বাদ দিলেও সব শেয়ার বিক্রি করে খালি হওয়া অ্যাকাউন্ট সংখ্যা ১৩ হাজার ৯৬৮।

কেন এ পরিস্থিতি
জানতে চাইলে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সাবেক পরিচালক ও বিএলআই সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন সমকালকে বলেন, পরিসংখ্যানই বলে দিচ্ছে, শেয়ারবাজারের হাল কতটা করুণ। অথচ দায়িত্বশীল কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান থেকে এমন কোনো বক্তব্য বা বিবৃতি নেই, যা দেখে শেয়ারবাজারের এই দুরবস্থার কথা মানুষ জানতে পারবে। তিনি বলেন, বৈষম্য, দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার সংস্কৃতি দূর করে একটা সাম্যবাদী 

দেশ গড়ার লক্ষ্যে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর নতুন সরকার গঠন হয়েছে। সরকার মানুষের প্রত্যাশা পূরণে অনেক কিছুই করছে। এরই মধ্যে রাষ্ট্রের দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনা এবং বৈষম্য দূর করতে সংস্কার চলছে। অর্থ পাচার ও লুটপাটের কারণে যে অর্থনীতি ভেঙে পড়া দ্বারপ্রান্তে ছিল, তা মাথা তুলে দাঁড়ানোর আশা জাগাচ্ছে। ডলার সংকটে আগে কোম্পানিগুলো এলসি খুলতে পারছিল না, এখন সে সমস্যা নেই। তবে এসবের ইতিবাচক প্রভাব শেয়ারবাজারে নেই।

কেন নেই– এমন প্রশ্নে মিনহাজ মান্নান বলেন, শেয়ারবাজারে শুধু শীর্ষ নেতৃত্বের বদল হয়েছে। আগের অনিয়ম-দুর্নীতির সময় যেসব কর্মকর্তা দায়িত্বে ছিলেন, তারা এখনও বহাল। ফলে বিনিয়োগকারীরা বিশ্বাস করতে পারছেন না, নিয়ন্ত্রক সংস্থার পুরোনো চরিত্র আদৌ বদল হবে কিনা। এ অবস্থায় অনেকেই আস্থা পাচ্ছেন না, বিনিয়োগ তুলে নিচ্ছেন।

লেনদেন পর্যবেক্ষণ করা কয়েকজন বাজারসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানান, সরকার বদলের আগ পর্যন্ত শেয়ারবাজার ছিল কারসাজি চক্রের দখলে এবং ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীনির্ভর। এ বাজারে কারসাজি চক্রের ইচ্ছায় শেয়ারদর বাড়ত-কমত। নিয়ন্ত্রক সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগসাজশ থাকায় চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হতো না বা নিলেও লোক দেখানো ছিল। বিনিয়োগকারীরা এসবেই অভ্যস্ত ছিলেন। কারসাজি চক্রের হোতা বা তাদের অনুসারীদের দেখাদেখি অধিকাংশ বিনিয়োগকারী শেয়ার কেনাবেচা করতেন। অর্থাৎ বিনিয়োগে খুব কম লোকই নিজস্ব চিন্তাধারার ব্যবহার করত। নতুন সরকার এসে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড একচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) নতুন নেতৃত্ব বসানোর পর তারা কারসাজি চক্রের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। আগের তদন্তের ভিত্তিতে করছে জরিমানা। আরও ব্যবস্থা নিতে তদন্ত শুরু করেছে। এসব দেখে চক্রের সবাই গা-ঢাকা দিয়েছেন।

কর্মকর্তারা জানান, এখন কোন শেয়ার কিনবেন, আর কোনটা বিক্রি করবেন– এমন পরামর্শ না পেয়ে যে যার মতো কেনাবেচা করতে গিয়ে লোকসান করছেন বলে মনে হচ্ছে। এতে দর পতন থামছে না। মার্জিন ঋণও চলতি দর পতনের বড় কারণ। যেসব মার্চেন্ট ব্যাংক এবং ব্রোকারেজ হাউস বিনিয়োগকারীর শেয়ার কেনার জন্য ঋণ দিয়েছিল, দর পতন বাড়তে থাকায় নিজেদের ঋণের সুরক্ষায় অনেক প্রতিষ্ঠান ‘ফোর্সসেল’ করছে। এতেও দর পতন বাড়ছে। বিপরীতে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য কোনো প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী নেই। মিউচুয়াল ফান্ডগুলো আগেই দুর্নীতির মাধ্যমে লুট হয়েছে। এখন শেয়ারদর কমায়, সেগুলোও কোনো ভূমিকা রাখতে পারছে না।

প্রাইম ব্যাংক সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান সমকালকে বলেন, ব্যাংকে আমানত রাখলে ১০ থেকে ১২ শতাংশ মুনাফা মিলছে। ব্যক্তিশ্রেণীর বড় বিনিয়োগকারীরা নিরাপদ বিনিয়োগ বিবেচনায় ব্যাংকে টাকা রাখছেন। এমনকি যেসব ব্যাংকের হাতে অলস টাকা আছে, তারা ট্রেজারি বিল-বন্ডে বিনিয়োগ করছে। শেয়ারবাজারমুখী টাকার প্রবাহ নেই, উল্টো বড় বিনিয়োগকারী তুলে নিচ্ছে। 

শেয়ারবাজারের দুরবস্থার বর্ণনা দিতে গিয়ে মিনহাজ মান্নান আরও বলেন, ব্যাংক খাতের দুরবস্থার কথা সবাই জানে। কিছু বড় ব্যাংক রীতিমতো লুট হয়েছে। অথচ দায়িত্ব নিয়ে গভর্নর আহসান এইচ মনসুর যেভাবে আশস্ত করেছেন, তাতে ব্যাংক থেকে টাকা তোলার হিড়িক পড়েনি। কিন্তু পুঁজিবাজারে শেয়ার বিক্রি করে টাকা তুলে নেওয়ার হিড়িক পড়েছে। 

ব্রোকারদের সংগঠন ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ডিবিএ) সভাপতি সাইফুল ইসলাম সমকালকে বলেন, বিগত দিনের অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। একই সঙ্গে আর কখনও যাতে অনিয়ম না হয়, সেই রাস্তা বন্ধে সংস্কারও করতে হবে। এসব নিয়ে কারও দ্বিমত নেই। কিন্তু এখন যেভাবে শেয়ার দর হারাচ্ছে, বিনিয়োগকারীরা নিঃস্ব হয়ে বাজার ছাড়ছেন, তারও একটা তাৎক্ষণিক ও সুচিন্তিত প্রতিকার থাকা দরকার, যা এখন পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে না। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শীর্ষ এক ব্রোকারেজ হাউসের কর্মকর্তা জানান, এখন দর পতন রুখতে তাৎক্ষণিক উদ্যোগের প্রয়োজনীয়তার কথা সবাই অনুভব করছেন। একমাত্র নিয়ন্ত্রক সংস্থা তা ভাবছে বলে মনে হয় না। গত বুধ ও বৃহস্পতিবার শেয়ারবাজারের মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর অন্যতম মার্চেন্ট ব্যাংক এবং ব্রোকারেজ হাউসের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে দীর্ঘ তিন ঘণ্টা করে প্রায় ছয় ঘণ্টা বৈঠক করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। ওই দুই বৈঠকে চলতি দর পতনের কারণ বা এর থেকে উত্তরণের কোনো আলোচনাই হয়নি। 

বৈঠকে অংশ নেওয়া এমন প্রতিষ্ঠানের কয়েকজন ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা সিইও সমকালকে বলেন, আলোচনার অধিকাংশ সময়ে বিএসইসির চেয়ারম্যান এবং অন্য কর্মকর্তারা কথা বলেছেন। তাদের দীর্ঘ বক্তব্যের মূলে ছিল আইন অনুযায়ী বাজার পরিচালনা করবেন তারা। আইন বাস্তবায়নের জন্য আগে একটা সক্রিয় বাজার থাকা দরকার, যা তাদের অনুধাবন করা উচিত।

ডিবিএ সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, পরিস্থিতি ভালো নয়। এ অবস্থায় একদিকে দায়িত্বশীল পর্যায় থেকে ভরসা দেওয়া দরকার। তবে এখন মুখের কথায় কিছু হবে বলে মনে হচ্ছে না। কাউকে না কাউকে দর পতন ঠেকানোর উদ্যোগ নিতে হবে। যেমন রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বিনিয়োগ সংস্থা আইসিবি চাইলে শেয়ার কিনে পরিস্থিতি সামাল দিতে পারে। 

আইসিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল হোসেন বলেন, এখন বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরাতে নতুন বিনিয়োগ দরকার। এ জন্য নগদ টাকার দরকার, যা আইসিবির কাছে নেই। এ জন্য তিন হাজার কোটি টাকার সহায়তা চেয়েছিলেন। সরকার তিন হাজার কোটি টাকার ‘সভরেন গ্যারান্টি’ দিতে রাজি হয়েছে। গ্যারান্টি পেলে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছ থেকে তার বিপরীতে ঋণ পাওয়া যাবে। 

শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্টরা জানান, সম্প্রতি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয় বলেছে, অতীতের অনিয়ম-দুর্নীতি ও শেয়ার কেলেঙ্কারির কারণে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, সরকার তাদের বিষয়টি বিবেচনা করে সুবিধা দেবে। সরকার কাউকে সরাসরি ক্ষতিপূরণ দিতে পারে না। সরকার পারে, সরকারি ব্যাংক বা আইসিবির মতো প্রতিষ্ঠানকে আর্থিক সহায়তা দিয়ে বাজারে তারল্য প্রবাহ বাড়াতে। এ কাজ অবিলম্বে না হলে এবং তার জন্য শেয়ারবাজারে আরও বড় পতন হলে, শেষ পর্যন্ত আরও বিনিয়োগকারী ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। তারা সরকারের ওপর আস্থা হারাবেন এবং সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে।

জানতে চাইলে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসএসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র রেজাউল করিম সমকালকে বলেন, বিএসইসি আন্তরিকভাবে পুঁজিবাজারের উন্নয়নে কাজ করছে। এটা ঠিক দর পতন অনেকটা দীর্ঘায়িত হচ্ছে। অনেক শেয়ারের দাম অযৌক্তিক অবস্থানেরও নিচে নেমেছে। সমস্যা তৈরি হয়েছে, উচ্চ সুদহার, মূল্যস্ফীতি এবং মুদ্রার বিনিময় হার। বড় বিনিয়োগকারীরা শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের চেয়ে ব্যাংকে আমানত রাখায় বা ট্রেজারি বন্ডে বিনিয়োগে বেশি নিরাপদ মনে করছেন। তবে এখন শেয়ারের দর কমে আশায় কৌশলীরা বিনিয়োগে ফিরবেন বলে আশা করা যায়।

বিনিয়োগকারীরা এখনই বাজারে নিয়ন্ত্রক সংস্থার হস্তক্ষেপ চাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, আগের কমিশনের সঙ্গে বর্তমান কমিশনের কর্মপন্থায় সুস্পষ্ট পার্থক্য আছে। এ কমিশন বাজারে হস্তক্ষেপ করতে চায় না, করবেও না। বাজারকে নিজে থেকে সামাল দিতে শিখতে হবে। আইসিবির মাধ্যমে তারল্য সহায়তা দিতে সরকারকে অনুরোধ করা হয়েছে।

whatsapp follow image

আরও পড়ুন

×