ঢাকা বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪

দর পতনের বৃত্তে আটকে আছে শেয়ারবাজার

দর পতনের বৃত্তে আটকে আছে শেয়ারবাজার

ফাইল ছবি

সমকাল প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৫ নভেম্বর ২০২৪ | ২২:৫১

শুরুতে আশা জাগিয়েও দর পতনের বৃত্ত থেকে গতকাল সোমবারও বের হতে পারল না শেয়ারবাজার। টানা সপ্তম দিনে বেশির ভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। মূলত বীমা, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক এবং টেলিযোগাযোগ খাতের শেয়ারের দর পতনই পরিস্থিতি বদলে দেয়। এসব খাতের শেয়ারই দর হারিয়েছে সবচেয়ে বেশি।
গতকাল সোমবার দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন হওয়া ৩৯১ কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে ১৪৬টির দর বেড়েছে এবং কমেছে ১৬৩টির। দর অপরিবর্তিত ছিল ৮২টির। সার্বিক নেতিবাচক ধারার মধ্যেও ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ, সিমেন্ট এবং সিরামিক খাতের অধিকাংশ শেয়ারের দর বেড়েছে।
একক কোম্পানি হিসেবে অ্যাটলাস বাংলাদেশের শেয়ারদর প্রায় ১০ শতাংশ বেড়ে ৫৬ টাকা ৪০ পয়সায় উঠেছে, যা ছিল দর বৃদ্ধির শীর্ষে। মাত্র পাঁচ লাখ টাকার লেনদেনে সরকারি মালিকানাধীন এ কোম্পানির শেয়ারের এত দর বেড়েছে। লেনদেন হওয়া শেয়ারের সংখ্যা মাত্র ৯ হাজার। পৌনে ১০ শতাংশ দর বৃদ্ধি নিয়ে এর পরের অবস্থানে ছিল ব্যাপক আলোচিত শেয়ার এমারেল্ড অয়েল। সর্বশেষ ২৬ টাকা ৯০ পয়সায় কেনাবেচা হওয়া এ কোম্পানির পৌনে ৩ কোটি টাকা মূল্যের শেয়ার কেনাবেচা হয়। দর বৃদ্ধির তৃতীয় সর্বোচ্চ স্থানে থাকা পাওয়ার গ্রিডও সরকারি মালিকানাধীন কোম্পানি। শেয়ারটির দর বেড়েছে প্রায় সাড়ে ৯ শতাংশ। সর্বশেষ কেনাবেচা হয় ৪২ টাকা ৮০ পয়সা দরে।
বেশির ভাগ শেয়ারের দর কমায় প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ১০ পয়েন্ট হারিয়ে ৫১৩৬ পয়েন্টে নেমেছে। লেনদেনের প্রথম ১৭ মিনিটের বেশির ভাগ শেয়ারের দর বৃদ্ধিতে ভর করে সূচক প্রায় ৩১ পয়েন্ট বেড়ে ৫১৭৭ পয়েন্ট ছাড়ায়। তবে লেনদেনের শেষ পর্যন্ত ওই অবস্থান থেকে প্রায় ৪৬ পয়েন্ট হারিয়ে ৫১৩১ পয়েন্ট পর্যন্ত নামে।
গতকাল ঢাকার শেয়ারবাজারে প্রায় ৩২০ কোটি টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়। এর মধ্যে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের ১৪ কোটি ৮৮ লাখ টাকার লেনদেন ছিল একক কোম্পানি হিসেবে সর্বোচ্চ। লাভেলোর সোয়া ১৪ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। এর পরের অবস্থানে থাকা ইস্টার্ন ব্যাংক এবং বিচ হ্যাচারির ১১ কোটি টাকা থেকে প্রায় ১২ কোটি টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে। একক খাত হিসেবে ৫৭ কোটি টাকার শেয়ার কেনাবেচা নিয়ে শীর্ষে ছিল ব্যাংকিং খাত, যা ছিল মোট লেনদেনের প্রায় ১৮ শতাংশ। সোয়া ৪২ কোটি টাকা বা সোয়া ১৩ শতাংশ লেনদেন নিয়ে এর পরের অবস্থানে ছিল খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাত।

whatsapp follow image

আরও পড়ুন

×