- সিলেট
- ৩০০ টাকা মজুরি দাবিতে কর্মবিরতিতে চা শ্রমিকরা
৩০০ টাকা মজুরি দাবিতে কর্মবিরতিতে চা শ্রমিকরা
দেশের ১৬৭টি বাগানে তিন দিনের কর্মসূচি

ছবি- সংগৃহীত
ন্যূনতম মজুরি ৩০০ টাকায় উন্নীত করার দাবিতে কর্মবিরতি পালন করছেন চা শ্রমিকরা। দাবি আদায়ে নির্দিষ্ট সময় কাজে যোগ না দিয়ে আজ বুধবার দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ, সমাবেশ ও মিছিল করেছেন তাঁরা। এর আগে মঙ্গলবার দেশের ১৬৭টি চা বাগানে তিন দিনের (প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত) কর্মবিরতির এই কর্মসূচি শুরু হয়। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতির বাজারে ন্যায্য পারিশ্রমিকের দাবিতে একযোগে আন্দোলনের ডাক দিয়েছে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্র ও বিভিন্ন ভ্যালি।
কর্মসূচির অংশ হিসেবে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ, শ্রীমঙ্গল, জুড়ি, কুলাউড়া, রাজনগর, বড়লেখা ও সদর উপজেলার ৯২টি চা বাগানে আজ দ্বিতীয় দিনের মতো সকাল ৯টা থেকে কর্মবিরতি, প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। এসব বাগানের শ্রমিকরা কাজে যোগ না দিয়ে সকালে কারখানার সামনে অবস্থান নেন।
কমলগঞ্জের শ্রীগোবিন্দপুর, মদনমোহনপুর ও মাধবপুর চা কারখানার সামনে গিয়ে দেখা যায়, বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের মনু-দলই ভ্যালির স্থানীয় বাগান পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি-সম্পাদকের নেতৃত্বে কর্মবিরতি চলছিল। এ সময় বক্তব্য দেন শ্রমিক নেতা ও মাসিক চা মজদুর সম্পাদক সীতারাম বীন, ইউপি সদস্য সাবিদ আলী, মাধবপুর চা বাগান পঞ্চায়েত সভাপতি বাবুল আহমদ, মদনমোহনপুর চা বাগান পঞ্চায়েত সভাপতি উমা শংকর গোয়ালা, সাধারণ সম্পাদক অযোধ্যা প্রসাদ কৈরী, নারীনেত্রী আরতী পাশি, আদরী বাক্তি, সুলতান মিয়া, শ্রীগোবিন্দপুর বাগান পঞ্চায়েত সভাপতি মিলন নায়েক, চা শ্রমিক নেতা সুমন পাইনকা প্রমুখ।
জুড়ী সংবাদদাতা জানান, একই দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ কর্মবিরতি পালন করেছেন উপজেলার চা বাগানের শ্রমিকরা। তাঁরা জুড়ীর ১৮টি চা বাগানে পৃথকভাবে এ কর্মসূচি পালন করেন। সমাবেশে পুচি ডিভিশন বাগান পঞ্চায়েত সভাপতি মতি রুদ্রপাল বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করলেও মজুরি বোর্ড বাস্তবায়ন হচ্ছে না। এখন খেয়েপরে বেঁচে থাকার তাগিদে রাস্তায় নামতে বাধ্য হয়েছি। দৈনিক ১২০ টাকা মজুরি দিয়ে একজন শ্রমিকের কিছুই হয় না। এতে কোনো মৌলিক চাহিদা পূরণ তো দূরের কথা, অনাহারে-অর্ধাহারে দিনাতিপাত করতে হয় চা শ্রমিকদের।
রতনা চা বাগানের কারখানার পাশে কর্মবিরতি পালন করেন রতনা ও এলাপুর চা বাগানের শ্রমিকরা। সেখানে উপস্থিত ছিলেন রতনা চা বাগান পঞ্চায়েত সভাপতি সুমন ঘোষ, সহসভাপতি অনজনা রাজগর, খলিলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক পরিমল বুনার্জি, এলাপুর চা বাগানের সভাপতি চন্দন চাষা, সহসভাপতি চবিলাল সর্দার প্রমুখ।
মন্তব্য করুন