একই সঙ্গে পথচলা, কত শত কথা বলা- সতীর্থদের কাঁধে হাত রেখে শেষবারের মতো ব্ল্যাক ক্যাপসের জার্সি গায়ে রস টেলর ফিরে গিয়েছিলেন কি তার পুরোনো সেই দিনগুলোতে। যেখানে নিউজিল্যান্ডের হয়ে গেল ষোলোটি বছর ক্রিকেট মাঠের সঙ্গে আত্মার সম্পর্ক গড়েছিলেন, দেশের হয়ে অনেক সুখ-দুঃখের সাক্ষী থেকে ছিলেন। সেই সম্পর্কছিন্ন করার মুহূর্তটিতে ভেতরের ক্ষরণটা কি এত সহজেই আটকানো যায়। 

ম্যাচ শেষে টেইলরকে দেওয়া হয় সম্মাননা। ছবি: এএফপি

যায় না বলেই সোমবার হ্যামিলটনে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ক্যারিয়ারের শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচে জাতীয় সংগীত গাইবার সময় বেরিয়ে এলো রস টেলরের চোখের জল। তার দল তুলেছে ৩৩৩, জিতেছে ১১৫ রানে। ১৬ বলে ১৪ রান তার, বিদায়ী ম্যাচে সেই অর্থে তার স্মরণীয় কিছু না।

কিন্তু ষোলোটি বছর নিউজিল্যান্ডের খেলে যিনি কিনা তিন সংস্করণে ১৮ হাজার ১৯৯ রান করেছেন, ওয়ানডেতে যার কিনা কিউদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৮ হাজার ৬০৭ রান। টেস্টে নিউজিল্যান্ডের হয়ে যিনি কিনা সবচেয়ে বেশি ৭ হাজার ৬৮৩ রান করেছেন- শেষ ম্যাচে এসে ১৪ রান করে আউট হলেই বা কি।

পরিবারের সঙ্গে টেইলর। ছবি: টুইটার

নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেট ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে রস টেলরের এই অর্জনগুলো। মাঠে গার্ড অব অনার দিয়ে সতীর্থরাও সেটা বুঝিয়ে দিয়েছেন তাকে। রস টেলরের বিদায়ে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটে হয়তো একটা শূন্যতা তৈরি হবে; কিন্তু তার মেয়ে ম্যাকেঞ্জি খুশি এটা ভেবে যে, ক্রিকেট খেলতে গিয়ে তার বাবার আঙুল আর ভাঙবে না কখনও।