পরীক্ষাগারে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা

পরীক্ষাগারে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা
শাহেরীন আরাফাত
প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০২৩ | ১৮:০০ | আপডেট: ০৩ নভেম্বর ২০২৩ | ২০:০৭
সফটওয়্যার শিল্পের বিশেষজ্ঞদের মতে, উত্তর আয়ারল্যান্ড যুক্তরাজ্যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) একটি পরীক্ষাগার হয়ে উঠছে। বেলফাস্টভিত্তিক আইটি প্রতিষ্ঠান কাইনোস জানিয়েছে, তারা ব্যবসায় জেনারেটিভ এআই ব্যবহারের জন্য ১০ মিলিয়ন পাউন্ড বিনিয়োগ করছে। আইটিভিত্তিক প্রতিষ্ঠানগুলোর জোট দ্য সফটওয়্যার অ্যালায়েন্সের নতুন প্রধান ডেভিড ক্রোজিয়ারের মতে, উত্তর আয়ারল্যান্ডের আরও কোম্পানি এআই খাতে বড় বিনিয়োগে এগিয়ে আসবে। তিনি বলেন, ‘উত্তর আয়ারল্যান্ড ঐতিহাসিকভাবে এন্টারপ্রাইজ সফটওয়্যার শিল্পের বিকাশে খুব শক্তিশালী ভূমিকা ছিল। তাই এটি আশ্চর্যের কিছু নয় যে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো এখানে গবেষণা এবং উদ্ভাবনে বিনিয়োগ করছে। এআই খাত, বিশেষ করে জেনারেটিভ এআই খাতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কাইনোস শেষ কোম্পানি হবে না।’
ক্রোজিয়ার আরও বলেন, ‘উত্তর আয়ারল্যান্ড প্রযুক্তির জন্য গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষাগার হতে পারে। এখানে কাজ করে সফল হলে কোম্পানিগুলো বিশ্বব্যাপী রপ্তানি করবে এ প্রযুক্তি। আমাদের শিক্ষক, শিক্ষাবিদ এবং মা-বাবার পছন্দগুলো বিবেচনা করতে হবে– কীভাবে পরবর্তী প্রজন্মের প্রতিভাকে এ ধরনের প্রযুক্তিতে প্রশিক্ষিত করা যায়। এসব প্রযুক্তি তাদের ভবিষ্যৎ এবং কর্মজীবনের অংশ হবে– এমন মানসিকতা রাখতে হবে।’
উত্তর আয়ারল্যান্ডে সাইবার সিকিউরিটি, চিকিৎসা, রোবটিকস, অর্থনীতিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে এআই প্রযুক্তি নিয়ে গবেষণা হচ্ছে। সেখানকার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা গবেষণা কেন্দ্র (এআইআরসি) এই বছরের শুরুর দিকে কাইনোসের সঙ্গে অংশীদারিত্বের ঘোষণা দেয়। ইতোমধ্যে এআই-সক্ষম সাইবার নিরাপত্তা প্রকল্প নিয়ে গবেষণা ও উন্নয়নের কাজে বেশ খানিকটা এগিয়েছেন কুইন্স ইউনিভার্সিটি বেলফাস্টের গবেষকরা।
ব্যক্তিগত বিনিয়োগের পাশাপাশি দ্য বেলফাস্ট রিজিয়ন সিটি ডিল এবং ডেরি অ্যান্ড স্ট্রাবেন ডিস্ট্রিক্ট সিটি ডিল উত্তর আয়ারল্যান্ডে এআই খাতে আরও তহবিল বরাদ্দ করেছে। ফলে এআই খাতের গবেষণা আরও গতি পাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
কাইনোসের ২০টির বেশি দেশে কাজ রয়েছে। ইতোমধ্যে জাতিসংঘ, যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় অপরাধ সংস্থাসহ বিভিন্ন সংস্থা এআইর জন্য কাজ করছে। প্রতিষ্ঠানটির নতুন প্রধান নির্বাহী রাসেল স্লোন বলেন, ‘কাইনোসের ১০ মিলিয়ন পাউন্ডের বিনিয়োগ কার্যত সহস্রাধিক কর্মীর দক্ষতা বৃদ্ধিতে বিনিয়োগ। আমরা নিশ্চিত করতে চাই যে, তারা যেন আমাদের গ্রাহকের সুবিধার জন্য জেনারেটিভ এআই ব্যবহার করতে পারে।
যদি আপনি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বা বিস্তৃত প্রেক্ষাপটে আমাদের প্রতিষ্ঠানের সব ভূমিকা সম্পর্কে চিন্তা করেন, তাহলে দেখবেন জেনারেটিভ এআইর ফলে সব কাজই পরিবর্তিত হবে। যারা আমাদের সেবা থেকে দূরে থাকছেন, তাদের কাছে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে এআই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এটি কেবল প্রযুক্তি খাতের মধ্যেই নয়, আমি মনে করি, এআই পুরো সমাজ ব্যবস্থায় বিস্তৃতি পাবে। গভীরভাবে দেখলে বোঝা যাবে, সমাজে সবার ভূমিকাই পরিবর্তিত হচ্ছে আর এআই বিকশিত হচ্ছে। আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যে, আমরা এর সঙ্গে নিজেদের পরিবর্তিত এবং বিকশিত করছি।’