ঢাকা বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪

ব্যাটারি উদ্ভাবন

নতুন গবেষণা

ব্যাটারি উদ্ভাবন

শাহেরীন আরাফাত

প্রকাশ: ২২ জানুয়ারি ২০২৪ | ০০:০৭

ব্যাটারি উদ্ভাবনে নতুন উপকরণের সন্ধানে বিজ্ঞানীরা দীর্ঘদিন ধরেই গবেষণাগারে পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। ঐতিহ্যগতভাবে পরীক্ষা চালিয়ে ত্রুটি সারানোর বড় প্রক্রিয়া চালাতে হয় তাদের। পরীক্ষার পর যখন কাঙ্ক্ষিত ফল না আসে, তখন আবার প্রথম থেকে নতুন করে প্রক্রিয়া শুরু করতে হয়।
সুপার কম্পিউটার ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) সমন্বয়ে নতুন ব্যাটারি উপাদান আবিষ্কৃত হয়েছে, যা ব্যাটারি উদ্ভাবনে মাইলফলক রচনা করবে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।
প্রযুক্তির সাহায্যে ৩২ মিলিয়নের বেশি উপাদানের মধ্যে মাত্র ২৩টি সম্ভাব্য বিকল্প নির্ধারণ করতে সক্ষম হয়েছে মাইক্রোসফট ও প্যাসিফিক নর্থওয়েস্ট ন্যাশনাল ল্যাবরেটরি বা পিএনএনএল গবেষকরা। পরীক্ষায় গবেষকরা বিষয়টি নিশ্চিত করেন। গবেষক দলটি নির্ধারিত সব উপকরণ নিয়ে পরীক্ষা পরিচালনা করে। আরেকটি কার্যকর ব্যাটারি প্রোটোটাইপ তৈরি করে।
বিজ্ঞানীরা আগে উপকরণের সব বৈশিষ্ট্য পূর্বাভাসের জন্য এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করেছেন। আগের গবেষণায় সাধারণত নতুন উপাদান তৈরির বিষয়টি প্রক্রিয়ায় আসেনি।
ক্যালিফোর্নিয়া ইউনিভার্সিটির সান দিয়েগোর কম্পিউটেশনাল ম্যাটেরিয়াল বিজ্ঞানী শুয়ে পিং অং বলেন, গবেষণাপত্রটির চমৎকার বিষয় হলো শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কার্যকর। গবেষকরা আকর্ষণীয় উপাদানে ব্যাটারি তৈরি করেন, যা একটি কঠিন ইলেকট্রোলাইট।
ইলেকট্রোলাইট হলো এমন একটি উপাদান, যা সব আয়ন স্থানান্তর করে। লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারিতে ইলেকট্রোলাইট একটি তরল। ব্যাটারি ছিদ্র হয়ে দুর্ঘটনা হতে পারে বা অগ্নিকাণ্ডের কারণ হতে পারে। কঠিন ইলেকট্রোলাইট দিয়ে ব্যাটারি তৈরি করা পদার্থবিজ্ঞানীদের প্রধান লক্ষ্য। গবেষক দল অনেকটাই এগোতে সক্ষম হয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায়।
গবেষণা প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানা যায়, ৩২ মিলিয়ন উপাদান ‘মিক্স অ্যান্ড ম্যাচ’ প্রক্রিয়ায় সফটওয়্যারের মাধ্যমে ইনপুট দেওয়া হয়। মাইক্রোসফটের কম্পিউটেশনাল রসায়নবিদ নাথান বেকার জানান, প্রথাগত পদার্থবিজ্ঞানের প্রক্রিয়ায় ৩২ মিলিয়ন উপাদানের ওপর গবেষণা চালাতে কয়েক দশক লেগে যেত। মেশিন লার্নিং প্রযুক্তি উপাদানের বৈশিষ্ট্যের ওপর নির্ভর করে মাত্র ৮০ ঘণ্টার মধ্যে ফলাফল তৈরি করতে পারে। বাছাইকৃত ২৩টি উপাদানের মধ্যে পাঁচটি ইতোমধ্যে পরিচিত। গবেষকরা এমন উপাদান বাছাই করেছেন, যা সম্ভাবনাময় বলে মনে হয়েছিল। উপাদানের সঙ্গে সম্পর্কিত, যা গবেষকরা জানতেন কীভাবে ল্যাবে তৈরি করতে হয়; উপযুক্ত স্থিতিশীলতা ও পরিবাহিতা ছিল।
পরে তারা ওই উপাদানকে সংশ্লেষণ করার কাজ শুরু করেন। অবশেষে এটিকে প্রোটোটাইপ ব্যাটারিতে রূপান্তর করেন। গবেষক দলের পদার্থবিজ্ঞানী বিজয় মুরুগেসান বলেন, খুবই উত্তেজিত ছিলাম। সংশ্লেষণের পর্যায় থেকে কার্যকর ব্যাটারিতে যেতে প্রায় ছয় মাস সময় লেগেছিল। তবে এটি হবে সুপারফাস্ট।

whatsapp follow image

আরও পড়ুন

×