ঢাকা মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

যন্ত্রে যখন চোখের ক্ষতি

যন্ত্রে যখন চোখের ক্ষতি

.

সাদি সাবেরিন

প্রকাশ: ২৬ আগস্ট ২০২৪ | ০০:০৬

নিজের চোখের কোনো ক্ষতি নিশ্চয়ই কেউ চাইবে না। কিন্তু অজান্তেই হয় সেই ক্ষতি। হাতের মুঠোয় থাকা স্মার্টফোনই ডেকে আনছে সেই ক্ষতি। নতুন ফোন কেনার সময় অনেকেই কয়েকটি বিষয় আমলে আনেন না। যার মধ্যে ডিসপ্লে ও রিফ্রেশ রেট অন্যতম। শুধু ক্যামেরা, ব্যাটারি আর স্টোরেজই মূল বিবেচ্য নয়। নিজের চোখের সুরক্ষায় স্মার্টফোন বড় ধরনের ভূমিকা রাখে।
স্মার্টফোন ছাড়া জীবন অচল– এটা এখন সত্য। যুক্তিতর্কে যা অস্বীকার করার রীতিমতো কোনো সুযোগ নেই। কিন্তু যন্ত্রটির অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার চোখের দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতির অন্যতম কারণ হিসেবে সামনে আসছে।
স্মার্টফোনের ডিসপ্লের বিষয়ে কিছু সতর্কতা জানা জরুরি। নতুন ফোন বা পুরোনো ফোন টানা ব্যবহারে ক্ষতি হবেই। নিজের চোখের যত্নে ক্ষতিকর দিক থেকে রেহাই পাওয়া যায়, যদি কিছু পরামর্শ মেনে চলা সম্ভব হয়।
ব্রাইটনেস
অনলাইন ও অফলাইন দু’ভাবেই ফোনের ফিচারস যাচাই করা শ্রেয়। নিজের চোখের সুরক্ষায় ব্রাইটনেস যাচাই করার বিকল্প নেই। স্মার্টফোনের অতিরিক্ত ব্রাইটনেস চোখের জন্য সরাসরি ক্ষতির কারণ।
সাধারণত ৫০০ থেকে ৭০০ নিটস ব্রাইটনেসের স্মার্টফোন নির্বাচনের পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
কী ধরনের ডিসপ্লে
নতুন স্মার্টফোন কেনার আগে অবশ্যই জানতে হবে ডিসপ্লের ধরন। যেমন– সেটা অ্যামোলেড, না সুপার অ্যামোলেড। উল্লিখিত দুটি  ডিসপ্লে এলসিডি ডিসপ্লের থেকে চোখের সুরক্ষায় সহায়ক। ডিসপ্লেতে ভালো রশ্মি পাওয়া যায়। আবার ডিসপ্লে দুটি ব্যাটারি সাশ্রয়ী।
চলতি সময়ে প্রায় স্মার্টফোন নির্মাতাই অ্যামোলেড ডিসপ্লে নিশ্চিত করছেন। তবে কিছুটা কম দামের ফোনে এখনও এলসিডি ডিসপ্লের ব্যবহার প্রচলিত।
ব্রাইটনেস থাকলে সূর্যের আলোয় স্ক্রিনে ভালো করে কিছু দৃশ্যমান হয় না। তার মানে এই নয় অতিরিক্ত ব্রাইটনেস থাকা ভালো। মাত্রাতিরিক্ত ব্রাইটনেস চোখের ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করে ক্ষতির কারণ হয়।
স্মার্টফোনে অ্যাডাপ্টিভ ব্রাইটনেস আলো সহনীয় দারুণ ফিচার। প্রায় প্রতিটি স্মার্টফোনেই ফিচারটি এখন পাওয়া যায়। অন্যদিকে ফোনের ডার্ক মোড চোখের জন্য সহনীয়।
স্ক্রিন প্রটেকশন
নিশ্চয়ই জেনে থাকবেন, অতিরিক্ত ফোনের ব্যবহার ঘুমের ব্যাঘাত ঘটানোর অন্যতম কারণ। বিষয়টি চোখের জন্য যেন একদমই ভালো নয়। শুধু ঘুম নয়, মাথাব্যথার কারণও হতে পারে ডিভাইস থেকে ছড়ানো নীল আলো। তাই স্ক্রিন প্রটেকশন বা ব্লু লাইট ফিল্টার ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছেন চোখের ডাক্তাররা।
কার্ভ ডিসপ্লে
সাধারণত যেসব স্মার্টফোনে কার্ভ ডিসপ্লে থাকে, ওই ঘরানার ফোন চোখের স্বস্তির কারণ হয়। শুধু স্বচ্ছ ডিসপ্লে নয়, কনটেন্টকে সুস্পষ্ট করে দৃশ্যমান করে। ফলে যে কোনো কনটেন্ট উপভোগ্য হয়ে ওঠে। তাই স্মার্টফোন নির্বাচনে কার্ভ ডিসপ্লে অন্যতম বৈশিষ্ট্য।
রিফ্রেশ রেট
রিফ্রেশ রেট তুলনামূলক ভালো– এমন স্মার্টফোন নির্বাচন করা উচিত। রিফ্রেশ রেট ভালো হলে স্ক্রিন সুদৃশ্য কনটেন্ট প্রদর্শন করে। ভালো স্ক্রিনিং অভিজ্ঞতা পাওয়া যায়। তাই ৯০ থেকে ১২০ গিগাহার্টজ রিফ্রেশ রেট রয়েছে– এমন স্মার্টফোনে চোখের স্বস্তি নিশ্চিত হয়।

আরও পড়ুন

×