শেষ সময়ে তাদের ঠিকানা বদল
হোয়াও ফেলিক্স
স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ: ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৮:০০ | আপডেট: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ০৫:১৭
গ্রীষ্মের দলবদলের মূল আকর্ষণ শেষ হলো শুক্রবার রাতেই, যেখানে ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগের ক্লাবগুলো যে যার মতো করে বেশ কিছু নতুনমুখ রিক্রুট করেছে। শেষ দিকে এসে বার্সার কাণ্ডে অনেকেই হতবাক। ট্রান্সফার উইন্ডো খোলার আগে বেশ হাঁকডাক দিয়েছিল তারা। কিন্তু যে ক’জনকে দলে নিয়েছে, তাদের মধ্যে একজন বাদে বাকিদের জন্য কোনো ফি দিতে হয়নি। সর্বশেষ ডেডলাইন ডেতে দুই পর্তুগিজ হোয়াও কনসালো ও হোয়াও ফেলিক্সকে দলে টেনেছে তারা। দু’জনই লোনে বার্সায় যোগ দিয়েছেন। অন্যদিকে তাদেরই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদ ট্রান্সফার মার্কেট কাঁপিয়ে বেলিংহামকে দলে টানে। শুধু তাই নয়, ফি দিয়ে আরও দু’জনকে নেয় তারা। আর যে দু’জনকে ধারে এনেছিল, তাদেরও নির্দিষ্ট একটা ফি দেয় রিয়াল।
তবে শেষ সময়ে এসে খুব একটা তারকা ঠিকানা বদলায়নি। পিএসজি ফ্রাঙ্কফুর্ট থেকে মুয়ানিকে এনেছে। যেটা নিয়ে অনেক দিন ধরেই গুঞ্জন চলে। তবে দু’পক্ষের বনিবনা হতে খানিকটা সময় লেগে যায়। যে কারণে একেবারে শেষ সময়ে এসে দলবদল করেন এই ফরাসি খেলোয়াড়। এদিকে নুনেজকে উলভারহ্যাম্পটন থেকে কিনেছে ম্যানসিটি।
সিটিজেনরা এবার খুব একটা খেলোয়াড় দলে ভেড়ায়নি। অবশ্য তাদের স্কোয়াডে যে পরিমাণ খেলোয়াড় আছেন, তাতে নতুন নতুন কেনার প্রয়োজন নেই। তা ছাড়া গত মৌসুমে ট্রেবল জিতেছে ম্যানসিটি। যে কারণে পেপ গার্দিওলা নিশ্চিন্তেই গ্রীষ্মের উইন্ডোটা পার করেছেন। তবে সিটির প্রতিদ্বন্দ্বীরা অনেক খেলোয়াড় দলে ভিড়িয়েছে। যার মধ্যে চেলসি কিনেছে ১২ জন। আবার লিভারপুল কিনেছে চার খেলোয়াড়। মূলত গত মৌসুমটা ভালো যায়নি এ দুই ক্লাবের। যে কারণে নতুন মৌসুমে নতুন উদ্যমে শুরু করতেই স্কোয়াড আরও শক্তিশালী করেছে তারা।
একের পর এক খেলোয়াড় কিনলেই যে সাফল্য মিলবে, তাও নয়। তেমনটি হলে প্রতি মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতত পিএসজি। তারা এই গ্রীষ্মেও কম কেনেনি খেলোয়াড়। তার আগে তো আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টগুলোতে যে ফুটবলার ভালো করতেন, তাঁকেই কিনে নিত। লিওনেল মেসি, নেইমার, কিলিয়ান এমবাপ্পেকে নিয়ে বড় স্বপ্নই দেখেছিল তারা, সেই স্বপ্নও বিফলে যায়। কারণটা ভারসাম্যপূর্ণ দল গড়তে পারেনি পিএসজি। যেটা রিয়াল মাদ্রিদ বেশ মন দিয়েই করে থাকে। এ জন্য কেবল কোচকে দোষ দিলে চলবে না। কারণ খেলোয়াড় কেনার ক্ষেত্রে মালিকপক্ষেরও প্রভাব রয়েছে। রিয়াল প্রেসিডেন্ট পেরেজ প্রতি মৌসুমে কোচের সঙ্গে আলোচনা করেই খেলোয়াড় কেনার কথা বলেন। যেটা অনেক ক্লাব করে না। সে জন্য লস ব্লাঙ্কোসদের ট্রান্সফারগুলোও সফলতা পায়। যে অর্থ খেলোয়াড় কিনতে ঢালা হয়, তার কয়েকগুণ উঠে আসে।
- বিষয় :
- হোয়াও ফেলিক্স
- ফুটবল দলবদল