ঢাকা বুধবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৩

প্রতিমন্ত্রী পলকের সঙ্গে ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’

প্রতিমন্ত্রী পলকের সঙ্গে ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’

‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ চলচ্চিত্র দেখার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৬ অক্টোবর ২০২৩ | ১৪:৫৩ | আপডেট: ১৬ অক্টোবর ২০২৩ | ১৫:১৬

রাজধানীর যমুনা ফিউচার পার্কের ব্লকব্লাস্টার সিনেপ্লেক্সে বাংলাদেশ-ভারত যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বায়োপিক ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ চলচ্চিত্র দেখার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে চলচ্চিত্র দেখেছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মো. সামসুল আরেফিন, বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জিএসএম জাফরুল্লাহ, যমুনা গ্রুপের পরিচালক ড. মোহাম্মদ আলমগীর আলম, চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি ও তার স্বামী রকিব সরকার, বাংলাদেশ আইসিটি জার্নালিস্ট ফোরামের সভাপতি নাজনীন নাহার ও সাধারণ সম্পাদক সাব্বিন হাসান।

এ ছাড়াও তথ্যপ্রযুক্তি ও বিনোদন সাংবাদিকরা প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে ছবিটি দেখেন।

চলচ্চিত্র শেষে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ব্যক্তিত্ব এবং নেতাকে ধারণ করা খুবই কঠিন। বঙ্গবন্ধুর ভূমিকায় সেই কঠিন কাজটি আরিফিন শুভ খুব সফলভাবেই ধারণ করেছেন। পাঁচ দশকে একটি দেশ ও জাতিকে স্বাধীনতা উপহার দেওয়া, বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের অসামান্য ত্যাগ, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব ধাপে ধাপে গড়ে ওঠা এবং বঙ্গবন্ধু যেভাবে হিমালয়সম ব্যক্তিত্বে পরিণত হন তা খুব সফলভাবে চিত্রায়িত হয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী আবেগাল্পুত হয়ে বলেন, বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর লেখা তিনটি গ্রন্থ উপহার দিয়েছেন। কিন্তু অনেক না বলা কথা, অনেক অজানা ইতিহাস আমরা মুজিব একটি জাতির রূপকার চলচিত্রের মাধ্যমে দেখতে পেলাম। মুক্তিযুদ্ধের পরবর্তী প্রজন্ম আমি। বঙ্গবন্ধুকে দেখিনি, মুক্তিযুদ্ধ দেখিনি। কিন্তু আমাকে যেভাবে চলচ্চিত্রটি আবেগ তাড়িত করেছে, সেভাবে তরুণ প্রজন্ম, পরবর্তী প্রজন্ম এবং আমাদের সন্তানদেরকেও সিনেমাটি একই রকমভাবে আবেগ তাড়িত করবে। বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের যে অবদান, তিনি যেভাবে পর্দার অন্তরাল থেকে বঙ্গবন্ধুকে ‘বঙ্গবন্ধু’ হতে অনুপ্রেরণা দিয়েছেন, ইতিহাসের বাঁকে বাঁকে তার দৃশ্যায়িত হয়। নানা অজানা ইতিহাস আমাদের নতুন প্রজন্ম জানতে পারবে চলচিত্রের মাধ্যমে।

১৯৩০-৩২ থেকে শুরু করে ৭৫ সাল অবধি এত অল্প সময়ের মধ্যে সাদামাটাভাবে বঙ্গবন্ধুর জীবনটা যেভাবে শুরু হয়েছিল। তার কৈশোর থেকে ছাত্রনেতা থেকে জাতীয় নেতা, এমপি থেকে মন্ত্রী, অবিসংবাদিত নেতা, অপরিহার্য নেতা, বঙ্গবন্ধু, এবং জাতির পিতা এটা একটা অসামান্যক ব্যাপার। এত অল্প সময়ের মধ্যে সব অধ্যায়কে কত চমৎকার সাবলীল ও সহজে কঠিন ইতিহাসকে উপস্থাপন করেছে চলচ্চিত্রটি।

বঙ্গবন্ধু শুধু একজন রাষ্ট্রপতিই ছিলেন না, একজন প্রধানমন্ত্রীই ছিলেন না, একজন নেতাই ছিলেন না, তিনি মহান নেতার সঙ্গে জাতির রূপকার ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর এই দেশ এবং জাতির জন্য যা করে রেখে গেছেন, যে দর্শন আমাদের সামনে দিয়ে গেছেন তা আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের আগামী দিনের সংগ্রামী জীবনে সবার সাফল্যের অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।

প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিক, আইনজীবী, চিকিৎসক, পিতা-মাতা, ছাত্র, শিক্ষক, অভিভাবক, সব শ্রেণির পেশার সব রাজনৈতিক মতাদর্শের দর্শকদের সিনেমা হলে এসে মুজিব একটি জাতির রূপকার সিনেমাটি দেখার আহ্বান জানান।

প্রসঙ্গত, চলচিত্রে বঙ্গবন্ধুর চরিত্রে অভিনয় করছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারজয়ী অভিনেতা আরেফিন শুভ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চরিত্রে অভিনয় করেছেন নুসরাত ফারিয়া। তাজউদ্দীন আহমদের চরিত্রে রিয়াজ এবং বঙ্গবন্ধুর স্ত্রী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের চরিত্রে নুসরাত ইমরোজ তিশা অভিনয় করছেন। ছবির অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করছেন খায়রুল আলম সবুজ, দিলারা জামান, সায়েম সামাদ, শহীদুল আলম সাচ্চু, প্রার্থনা ফারদিন দীঘি, রাইসুল ইসলাম আসাদ, গাজী রাকায়েত, তৌকীর আহমেদ, সিয়াম আহমেদ, মিশা সওদাগর, এলিনা শাম্মী প্রমুখ।

আরও পড়ুন