ঢাকা বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪

আস্থার ঘাটতিতে চাকরি হারালেন ওপেনএআইয়ের সিইও অল্টম্যান

চ্যাটজিপিটির উদ্ভাবক অল্টম্যান চাকরি হারালেন

চ্যাটজিপিটির উদ্ভাবক স্যাম অল্টম্যান

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৮ নভেম্বর ২০২৩ | ১১:৫৪ | আপডেট: ১৮ নভেম্বর ২০২৩ | ১৩:৪৩

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স) প্রযুক্তির কারণে বিশ্বের বিশাল সংখ্যক মানুষ চাকরি হারাবেন বলে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন চ্যাটজিপিটির উদ্ভাবক স্যাম অল্টম্যান। চ্যাটজিপিটি উদ্ভাবনকারী প্রতিষ্ঠান ওপেনএআইয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) পদ থেকে তিনি নিজেই চাকরি হারালেন। তবে চাকরি হারানোর কারণ অবশ্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার চ্যালেঞ্জ নয়।

ওপেনএআই শুক্রবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় সক্ষমতা নিয়ে আস্থার ঘাটতির কারণে ৩৮ বছর বয়সী অল্টম্যানকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা বোর্ড বলেছে, অল্টম্যানের অবদানের জন্য তারা কৃতজ্ঞ। তবে তারা বিশ্বাস করেন যে, নতুন নেতৃত্ব প্রয়োজন। খবর-বিবিসি

এ ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অল্টম্যান লিখেছেন, তিনি কোম্পানিতে যে সময়টুকু কাজ করেছেন তা উপভোগ করেছেন।

স্যাম অল্টম্যানের হাত ধরে ওপেনএআই এক বছর আগে চ্যাটজিপিটি প্রযুক্তি বাজারে আনে। স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা করাশোনা করা স্যামের জন্ম যুক্তরাষ্ট্রের মিসৌরিতে। এই প্রযুক্তি চালুর পর ধীরে ধীরে মানুষের জায়গা নিচ্ছে চ্যাটজিপিটি। বিশেষজ্ঞদের ধারণা ছিল মাইক্রোসফটের চ্যাটজিপিটি ধীরে ধীরে মানুষের জায়গা নেবে, কাজ হারাবে বহু মানুষ। ইতিমধ্যেই বহু কোম্পানি কর্মীর পরিবর্তে চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করতে শুরু করেছে। হাজার হাজার ডলার অর্থ সাশ্রয় করছে। ফরচুনের প্রতিবেদন অনুয়ায়ী, যেসব কোম্পানি চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করছে, তারা প্রায় ৪৮ শতাংশ অর্থ সাশ্রয় করছে।

ওপেনএআই বিবৃতিতে বলেছে, ওপেনএআইকে নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে স্যামের সক্ষমতা নিয়ে পরিচালনা পর্ষদের আস্থার ঘাটতি দেখা দিয়েছে। তিনি পরিচালনা পর্ষদের সঙ্গে খোলাখুলি যোগাযোগ করছিলেন না, একটা দূরত্ব রেখেছিলেন। যথাযথ প্রক্রিয়া মেনে তাকে চাকরিচ্যুতের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সময়ের জন্য নতুন সিইও হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ওপেনএআইয়ের প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা (সিটিও) মিরা মুরাতিকে। 

কম্পিউটার অ্যালগরিদম আর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আমাদের জীবনে ক্রমবর্ধমানভাবে সংযুক্ত হচ্ছে। অনলাইনে প্রদর্শিত বিষয়বস্তু বেছে নেওয়া, আমরা যে সঙ্গীত শুনি তা দেখিয়ে দেয় ও মানুষের প্রশ্নের সদুত্তর দেয়। মূলত চ্যাটজিপিটি একটি শক্তিশালী মেশিন লার্নিং মডেল। কোনো ভাষা ইনপুট হিসেবে দিলে চ্যাটজিপিটি তা বুঝতে পারে এবং সেই কথার প্রতিক্রিয়াও জানাতে পারে।

whatsapp follow image

আরও পড়ুন

×