মোবাইল অপারেটরদের কার্যক্রম তদারকিতে কানাডাভিত্তিক আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান টিকেসি টেলিকম এবং বিটিআরসি’র মধ্যে টেলিকম মনিটরিং সিস্টেম ক্রয়ের চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে।

সোমবার বিটিআরসি কার্যালয়ে কানাডাভিত্তিক আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান টিকেসি টেলিকমের সঙ্গে বিটিআরসির টেলিকম মনিটরিং সিস্টেম ক্রয় সংক্রান্ত একটি চুক্তি সম্পাদিত হয়। 

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, বিশেষ অতিথি ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব আফজাল হোসেন বক্তব্য প্রদান করেন। বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার এতে সভাপতিত্ব করেন। 

বিটিআরসির পক্ষে ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অপারেশন্স বিভাগের পরিচালক গোলাম রাজ্জাক ও টিকেসি টেলিকমের পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সামির তালহামি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। 

চুক্তি অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটিকে চুক্তি স্বাক্ষরের ১৮০ দিনের মধ্যে টেলিকম মনিটরিং সিস্টেম স্থাপনের কাজ সম্পন্ন করতে হবে। 

৭৭ কোটি ৬৫ লাখ টাকা ব্যয়ে টেলিকম মনিটরিং সিস্টেম ক্রয়ের জন্য সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রীসভা কমিটি অনুমোদন দিয়েছে। 

বিটিআরসি বলছে, সিস্টেমটি বাস্তবায়িত হলে মোবাইল অপারেটরদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ এবং রিপোর্টিং প্রক্রিয়া স্বয়ংক্রিয় হবে। একইসাথে প্রয়োজনীয় সকল তথ্য বাস্তব সময়ে (রিয়েল টাইম) পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব হবে। এতে ভয়েস ও ডাটা ট্রাফিক, নেটওয়ার্ক ব্যবহার এবং মান সম্পর্কিত তথ্য সর্বোপরি বিটিআরসির প্রাপ্য রাজস্ব সম্পর্কে নিয়মিত ও নির্ভরযোগ্য তথ্যপ্রাপ্তি নিশ্চিত হবে। 

ফলে বিটিআরসি’র নীতিনির্ধারণী ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নতি সাধিত হবে এবং সরকারের নিকট প্রতিবেদন পেশ ব্যবস্থা আরও দক্ষ এবং দ্রুত হবে। 

শহর এলাকার পাশাপাশি গ্রামাঞ্চল, দ্বীপ, হাওড়-বাওড়, উপকূলীয় অঞ্চল ও দূর্গম এলাকার টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্কের প্রকৃত অবস্থা তাৎক্ষনিক যাচাই করা সম্ভব হবে।

অপারেটরদের নেটওয়ার্কের লাইভ মনিটরিং এর মাধ্যমে নেটওয়ার্কের সেবার মান আরও সুচারুভাবে যাচাই করা যাবে এবং গ্রাহক সেবার প্রকৃত অবস্থা জানা যাবে। 

অপারেটররা বাস্তবে যেসকল ট্যারিফ বাস্তবায়ন করছে এবং এসব ট্যারিফ প্যাকেজ বিটিআরসি কর্তৃক অনুমোদিত কি না অথবা গ্রাহকরা অন্যায্যভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন কি না তা যাচাই করা সম্ভব হবে এবং এ বিষয়ক অভিযোগসমূহের নিষ্পত্তি কার্যকরভাবে করা সম্ভব হবে। 

প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে নেটওয়ার্ক ক্ষতিগ্রস্থ হলে তা পর্যবেক্ষণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে। 

সরকারের বিভিন্ন নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং নানাবিধ অবকাঠামোগত ব্যবস্থা ও সেবার সঠিক মান উন্নয়নে সিস্টেমটি কার্যকরি ভূমিকা পালন করবে বলে দাবি করেছে বিটিআরসি।